সোমবার, ২৪ জুলাই, ২০১৭

কল্কি অবতার ও একটি ব্যক্তিগত বিশ্লেষণ

★বিগত কয়েক বছর ধরে দেখছি ইসলামি পন্ডিতগন বেদে মুহাম্মদ(সা:) আছেন বলে হিন্দুদের সু-কৌশলে ইসলাম গ্রহনের আহ্বান করছেন।আর না জেনে সেই ফাঁদে অনেকেই পা বাড়িয়েছেন।
তাঁরা কল্কিদেব এর সাথে মুহাম্মদ(সা:) সাদৃশ্য ঘটিয়েছেন,যাদের মধ্যে অন্যতম হলেন ডা:জাকির নায়েক।

→মুসলিমদের ভাষ্যমতে সনাতন ধর্ম কোন
গ্রন্থ না এবং বেদ -গীতাও নাকি ঈশ্বরের ঐশী বানি না,অথচ যখন কল্কির কথা বলা হয় তখন নির্লজ্জের মত মুহাম্মদ(সা:) কে মিলিয়ে ধরে,আর এই অপপ্রচার কারীর মূল হোতা হচ্ছেন জাকির নায়েক।তাই
জাকির নায়েককে নিয়ে আবার হাজির হলাম।

→আমি দেখি আমাদের ধর্মে বর্ণিত কলিযুগের শেষ অবতার কল্কি অবতারের
ভবিষ্যত বাণী নিয়ে অনেক সুযোগ
সন্ধানী অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
জাকির নায়েক ইসলাম ধর্মের শেষ নবী
মোহম্মদ (সাঃ)কে দাবী করছেন আমাদের কল্কি অবতার হিসেবে। জাকির নায়েক তার
যুক্তি দেখাতেই পারেন, তার মুসলিম অনুসারীগণ
আবার এতে নেচে উঠতেই পারে। কিন্তু আমি
ব্যক্তিগতভাবে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে বিশ্লেষণ
করে দেখি ওরা কি ঠিক পথেই হাটছে কি না??
.
১।জাকির নায়েক কিন্তু প্রতিবার
দাবী করে এসেছেন যে, হিন্দুদের মূল
ধর্মগ্রন্থ বেদ। প্রতি ক্ষেত্রেই তিনি বেদ ছাড়া
অন্য গ্রন্থকে স্বীকার করতে নারাজ। আমাদের
জন্মান্তরবাদকে অস্বীকার করার
জন্য তিনি পূণর্জন্মের ইস্যুতে কেবল বেদকেই
মূল্য দেন, গীতা কিংবা পূরানকে মূল্যই দেননি বা
নির্ভর করেন নি, বিশ্বাসও করেন নি।
কিন্তু মোহম্মদকে কল্কি অবতার প্রমাণের
ক্ষেত্রে পূরাণের উপর তার
এতো নির্ভর্শীলতা কেন???
এটা কি ইসলামবিরোধী আচরণ নয়?
কারণ কোরান
মুসলিমদের বারবার বলেছে, কোরানের আগের
সকল কিতাবই নাকি সম্পূর্ণ বিকৃত, তাই এইসব গ্রন্থ
থেকে মুসলিমদের বিভ্রান্ত হতে কোরান বারবার
নিষেধ করেছে!!! তবুও ইসলামিক
থিওরী অনুযায়ী এইসকল বিকৃত গ্রন্থের উপর
নির্ভর্শীলতা/বিশ্বাস স্থাপন কি তার ইসলাম বিরোধী
আচরণ নয়?
.
২। এখন আমরা দেখি জাকির নায়েক ইসলামিক থিওরী
অনুযায়ী বিকৃতহিন্দুধর্মগ্রন্থ বেদ এর উপর বিশ্বাস
স্থাপন করে ইসলামের সম্মান বাড়িয়ে দিলেন নাকি
কমিয়ে দিলেন!! “বেদ” এ তিনি কিন্তু
মোহম্মদের নাম সরাসরি খুঁজে পান নাই। কেবল
উপমা ব্যবহার করেছেন। তার জন্য মোটামুটি
বিশ্বাসযোগ্য মন্ত্র হল "অথর্ব "বেদ
এর ২০/১২১/১-৩ নম্বর মন্ত্র।
এই মন্ত্রে তিনি নানান উপমাকে মোহম্মদের
বিভিন্ন পারিপার্শিক বিষয়ের সাথে তুলনা করে(যেমন
১০০ স্বর্ণমূদ্রার সাথে মোহম্মদের ১০০ সাথীর
তুলনা, ১০ টি হারের সাথে ১০ জন সাহাবীর তুলনা,
১০০০০ গাভীর সাথে ১০০০০ সৈন্যের যুদ্ধে যাবার
হাস্যকর তুলনা করে) তিনি প্রমাণ করার চেষ্টা
করেছেন যে মোহম্মদ বেদ এ আছেন
(উটের রথের প্রসঙ্গ নাই বা বললাম)। কিন্তু আমি
যুক্তিতে(আমাকে আবার এক বস্তা যুক্তি ভাববেন না)
বিশ্বাসী। এইরকম উপমা নিয়ে গবেষণা করলে
আমার তো মনে হয় বেদ এ আমাকে খুঁজে
পাওয়াও অসম্ভব হবে না(ভগবান ক্ষমা করুন)!!! তাই
উপমাগুলো বাদ দিলে মন্ত্রের মধ্যে একটাই
নির্ভরযোগ্য শব্দ পাওয়া যায় যেটা কেবল অর্থগত
সাদৃশ্যের দিক থেকে মোহম্মদের নামের
সাথে মিলে যায়(জাকির নায়েকের
ব্যাখ্যা অনুযায়ী, যিনি এখানে আরবী এবং সংস্কৃত
অর্থকে এক করেছেন)।
সেই শব্দটি হল 'নরাশংস'। 'নরাশংস' শব্দ 'নর' এবং
'আশংস'
এই দুই শব্দের সমন্বয়ে গঠিত । নরের অর্থ মানুষ
এবং আশংস শব্দের অর্থ প্রশংসিত (জাকির নায়েকের
ব্যাখ্যা অনুযায়ী) ।
মানে নরাশংস শব্দের অর্থ হল
যিনি প্রশংসিত(জাকির নায়েকের
ব্যাখ্যা অনুযায়ী)। আরবি মোহম্মদ নামের অর্থও
নাকি যিনি প্রশংসিত। দুই অর্থ যেহেতু এক, তাই মুহম্মদ
নাকি বেদ এ আছেন।
তাহলে এই অর্থের সাদৃশ্যের
ভিত্তিতে মোহম্মদকে বেদ এ অন্তর্ভুক্ত করার
চেষ্টা করেছেন জাকির নায়েক।
.
এদিকে কংগ্রেসও নাকি জাকির নায়েকের দাবির সূত্র
ধরে দাবী তুলেছে বেদ এ সোনিয়া গান্ধীর
নামও উল্লেখ আছে(ভগবান ক্ষমা করুন)!!
.
কারণ বেদ এ “সুবর্ণা” শব্দটি আছে যার অর্থ
সোনা, আবার সোনিয়া শব্দের অর্থও সোনা!!
জাকির নায়েকের দাবিকে মেনে নিলে
কংগ্রেসের দাবি কি দোষ করল? এটা কি একটা
হাস্যকর
পরিস্থিতি নয়? .
আপনারা কেউ আবার নিজেকে বেদ
এ কেবল নামের অর্থের সাদৃশ্যের ভিত্তিতে
নিজের নাম খুঁজতে যাইয়েন না।
.
৩। 'বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম' এই আরবি বাক্যের অর্থ,
সকল প্রশংসা আল্লার জন্য। আবার 'দয়ানন্দ কি জয়' এই
বাক্যের
মানেও সকল প্রশংসা দয়ানন্দের জন্য। যেহেতু ২
টি বাক্যের একই মানে, তাই জাকির নায়েকের ঐ
“উপমা তত্বের” ভিত্তিতে আমিও
কি দাবী করতে পারি না 'বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম' এই
কথা বলতে কোরানে আসলে দয়ানন্দ নামক
কোনো ব্যক্তির ভবিষ্যতবাণী করা হয়েছে???
**কতোটা বিশ্বাসযোগ্য হবে আমার দাবী?
তাহলে জাকির নায়েকের দাবীই
বা কতোটা বিশ্বাসযোগ্য?
.
৪। এখন আসি আসল কথায়। জাকির নায়েক নবীকে
হিন্দুদের অবতার বানানোর চেষ্টা করলেন, মানে
তিনি হিন্দুদের অবতারবাদে বিশ্বাস করলেন, মানে
তিনি কূর্ম অবতার, বুদ্ধ অবতার, বরাহ
অবতার প্রভৃতিকে মেনে নিলেন, কারণ এগুলো
অবতারের পরেই না কল্কি অবতারের আগমন।
অবতারবাদকে মেনে নিলেন বিধায়
তিনি ভাগবত গীতায় বিশ্বাস করলেন।
ভাগবতগীতায় বিশ্বাস করলেন বিধায় তিনি
জন্মান্তরবাদকেও মেনে নিলেন,
কারণ ভাগবত গীতায়:-- “অবতারবাদ” এবং “জন্মান্তরবাদ”
সমান গুরুত্ব পেয়েছে।
জাকির নায়েক তাহলে জন্মান্তরবাদেও বিশ্বাস করে
ফেললেন! ইসলাম বিরোধী এইসব কাজ করে
ইসলামের সম্মান
কি তিনি বৃদ্ধি করলেন? আর তাকে নিয়েই ওনার
ভক্তদের কি উল্লাস!!
.
৫। এখন ইসলাম নিয়ে কিছু কথা। ইসলামের মূলনীতি
হল “আল্লা ছাড়া উপাস্য নেই এবং মুহম্মদ তার রাসূল”
এই কথায় যে বিশ্বাস
করবে সেই কেবল মুসলিম, নইলে সে নয়।
ইসলামে গরু কিংবা উট কোরবাণী দেওয়ার বিধান
আছে।
ইসলামে অবিশ্বাসীদেরকে হত্যা করার বিধান
আছে। এইগুলোর কোনটাই কি সনাতন ধর্মের
সাথে মেলে????
.
আমাদের কোনো অবতার কি নতুন কোনো
ধর্মমতের প্রচার করেছেন?? .
পুরোনো সব
নিয়মকে একেবারে নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন?
গো-মাংস আহারে উতসাহিত করেছেন (ভগবান ক্ষমা
করুন)!!
কেউ কি স্রোতের সম্পূর্ণ বিপরীতে
হেটেছেন, অথচ মুহম্মদ সনাতন ধর্মের
আদর্শগত প্রাগৈতিহাসিক
স্রোতের সম্পূর্ণ বিপরীত দিকে হেটেছেন!!
.
এখন প্রশ্ন হচ্ছে:----
ক) সনাতন ধর্মে কোনো অবতার মত প্রকাশের
স্বাধীনতা হরণ করেছেন?
খ) নাস্তিককে কতল করার নির্দেষ সনাতন ধর্মের
কোনো অবতার
দিয়েছেন?
গ) সনাতন ধর্ম ত্যাগ করলে হত্যার বিধান কোনো
অবতার দিয়েছেন?
সর্বোপরি, সনাতন ধর্ম অনুযায়ী দশটি প্রধান অবতার
হচ্ছে স্বয়ং ভগবানের অবতার। তার মানে দশ
অবতারের শেষ অবতার কল্কি অবতাররুপে স্বয়ং
ভগবান অবতরণ
করবেন পৃথিবীতে। কোন সাহসে জাকির নায়েক
মুহম্মদকে কল্কি অবতার বানিয়ে দিলেন? কারণ অন্য
অবতারের মত কল্কি অবতারও স্বয়ং ভগবান, তিনি
কোনো বার্তা বাহক নন।
তাহলে জাকির নায়েকের
যুক্তি অনুযায়ী মুহম্মদ কল্কি অবতার
হলে মুহম্মদই স্বয়ং স্রষ্টা হয়ে যাচ্ছে!!! জাকির
নায়েকের এই
স্পর্ধাকে মুসলিমরা কেমনে ক্ষমা করে দিল?
.
৬। ভবিষ্য পুরাণে মুহম্মদ নামক কারও ভবিষ্যত বাণী
থাকলেও থাকতে পারে, কারণ সেখানে নাকি সম্রাট
অশোক, চন্দ্রগুপ্ত,
মাধবাচার্য প্রভৃতি ব্যক্তিবর্গের ভবিষ্যত বাণী
দেওয়া আছে। কিন্তু তাদের কারও অনুসারীগণ
তো তাদের নেতাকে নিয়ে এইরকম উদ্ভট দাবী
করে নি।
তাহলে মুহম্মদের অনুসারীদের
এতো বাড়াবাড়ি করার কোনো কারণই দেখি না।
.
৭।ভাগবত পুরাণে দশটিসহ আরও বেশ কয়েকটি
অবতারের বর্ণনা সুন্দরভাবে বর্ণনা করা আছে।
কল্কি অবতার সম্বন্ধে বলা আছে যে
“অতঃপর দুইযুগের(কলিযুগ এবং সত্যযুগের)
সন্ধিক্ষণে ভগবান কল্কি অবতার রুপে বিষ্ণুযশ নামক
ব্যক্তির পুত্র হিসেবে জন্ম গ্রহণ করবেন। ঐ
সময় পৃথিবীর প্রায় সমস্ত শাসক অধঃপতিত হয়ে
লুটেরা ও ডাকাতের পর্যায়ে নেমে যাবে।”-
(ভাগবতপুরাণ-১/৩/২৫)
এর অর্থ হল ভগবান এই কলিযুগের শেষের দিকে
“কল্কি অবতার” হিসেবে আবির্ভুত
হবেন। তিনি অসাধু লোকদের বিনাশ করে দায়িত্ব
শেষ করার পর খুব কম সংখ্যক লোক বেঁচে
থাকবে, যারা সৎ এবং ধার্মিক।
“কল্কি অবতারের পর এই পৃথিবীতে আবার সত্যযুগ
শুরু হবে।” সনাতন ধর্ম অনুযায়ী কলি যুগের
সময়কাল হল ৪,৩২,০০০ বছর। এখন কেবল ৫,০০০
বছর চলছে।তার
মানে কল্কি অবতারের জন্ম গ্রহণ
করতে এখনও অনেক দেরি!! আফসোস!!!!
.
৮।কল্কি পুরাণ ২-১৬ কল্কি অবতারের জন্মের পর
মহাস্বস্থি
তার র্নাস হিসেবে নিয়োগ হন,আম্বিকা তার নাড়ি
(Umbilical Cord)কাটেন এবং সাবিত্রি তার গঙ্গাজল
দিয়ে তার শরীর পরিষ্কার করে দেন। মুহাম্মদের
জন্মের
সময় এরা কি উপস্থিত ছিলেন? তার কি শরীর গঙ্গাজল
দিয়ে
ধোয়া হয়েছিল? কোনটাই নয়।
মুহাম্মদ কাসিম নানোত্বি,মীর্জা গুলাম
আহমদ,বাহাউল্লাহ এর মত বিশ্বখ্যাত ইসলামিক পণ্ডিতরাও
তো কোরান-হাদিসে নাকি নবী হিসেবে
শ্রীকৃষ্ণের কথা খুঁজে পেয়েছিলেন,মীর্জা
গুলাম তো বলেই বসেছিলেন, "আমি একথা
পরিস্কারভাবে বলতে চাই যে শ্রীকৃষ্ণ একজন
দূর্লভ মহাত্মা।তিনি একজন নবী যিনি ঈশ্বরের
নির্দেশে নেমে এসেছেন,তিনি ঈশ্বর থেকে
এসেছেন,তিনি ছিলেন জয়ী ও যশবান।তিনি
আর্যদের ভূমি থেকে পাপ দুর করেছেন,তাঁর
ছিল ঈশ্বরের প্রতি পূর্ণ ভালবাসা।তিনি ছিলেন সৎ এর
সহচর ও শয়তানের শত্রু।"
টাইমস অব ইণ্ডিয়া তে কাশিম রশিদ লিখেছিলেন,
“নবী মুহাম্মদ বলেছেন,ভারতে একজন আল্লাহর
নবী ছিলেন যার গায়ের রঙ ছিল কালো এবং তাঁর নাম
ছিল কাহান
(কৃষ্ণ)”
(History of Hamadan Dailmi Chapter Al- Kaaf)
এখন মুসলিমরা কি শ্রীকৃষ্ণকে নবী মানতে
প্রস্তুত??
অনেকেই হয়ত বলতে পারেন পৃথিবীতে
আরো অনেক নবী
এসেছেন হতে পারে শ্রীকৃষ্ণ তেমন কেউ
ছিলেন।এখন কথা
হচ্ছে সর্ম্পূণ মহাভারত জুড়ে কোথাও কিন্তু
শ্রীকৃষ্ণ নিজেকে নবী হিসেবে বলেন নি বরং
হিন্দু ধর্মে নবী বা প্রেরীত রসূল বলে কিছু মানা
হয় না।এমনকি শ্রীকৃষ্ণ নিজেও কোথাও বলেননি
যে তার পর অণ্য কোন ব্যক্তি আসবে ঈশ্বরের
প্রেরিত কোন মানুষ হিসেবে বরং গীতায় (৪.৭-৮)
তিনি বলেছেন ধর্ম রক্ষার জন্য এবং সাধুদের
পরিত্রানের জন্য তিনি যুগে যুগে আবির্ভূত হবেন
বা জন্ম নিবেন। এখন মুসলিমরা কি পূর্ণজন্ম ত্বত্ত
মানতে প্রস্তুত এবং শ্রীকৃষ্ণকে নবী মানতে
প্রস্তুত ?? মুসলিম পন্ডিতই কিন্তু শ্রীকৃষ্ণকে
নবী মেনেছেন এখন সমস্ত মুসলিমরা কি
মানবেন??
এখন আসা যাক সব থেকে মজার এবং হাস্যকর বিষয়
নিয়ে..
র্মীর্জা গোলাম আহমেদ সবার প্রথমে
মুহাম্মদে কল্কি পুরাণে এবং বেদে আছে বলে
দাবী করেন যেখান থেকেই জাকির নায়েক কপি
পেষ্ট করেছেন।এই র্মীর্জা গোলাম আহমেদ
আহমেদিয়া সম্প্রদায়ের প্রবক্তা যাকে কিন্তু
বেশীরভাগ
মুসলিমই কাফের বলে ঘোষনা দিয়েছেন।
আহমেদিয়া সমপ্রদায়েরা র্মীর্জা গোলাম
আহমেদকে সর্বশেষ নবী হিসেবে মানে।
এখন এই ইসলামিক পন্ডিতের কথা কি
আহমেদিয়া ব্যতিত কোন মুসলিম মেনে
নেবেন??কারন এখানেতো তাদেরই এক মুসলিম
পন্ডিত ঘোষনা করেছেন তাহলে তাদের মানতে
অসুবিধা কোথায় যদি শিরক বলে মানতে না চায় তবে
কেনইবা জাকির নায়েক বা অন্যরা সেই ব্যক্তির
লেখা বই পড়ে পুরাণ বেদে নবীর ভবিষ্যত
বাণী করা
আছে বলে দাবী করে!!অনেকে আবার বলে
যে কোথাকার
কোন হিন্দু পন্ডিত নাকি বলেছে পুরাণ বেদে
মুহাম্মদের কথা
আছে তাই হিন্দুদেরকে এটা মানা উচিত!! যদি কোন
এক হিন্দু পন্ডিতের কথাই মানতে বলেন তাহলে
তারাও কি মুহাম্মদ শেষ নবী নয় র্মীর্জা গোলাম
আহমেদ শেষ নবী এটা মেনে নেবেন কারন
এটাওতো তাদেরই পন্ডিত বলেছেন।!
এটা পরিষ্কার যে জাকির নায়েক বা অন্য কেউ তা
কোনদিনই মানবেন না বরং শিরক বলে দাবী
করবেন তাহলে ওই ব্যক্তির লেখা বই কপি পেষ্ট
কেন করছেন??
৯।আর বলা আছে তার বাবার হবে বিষ্ণুযশ যার অর্থ
সৃষ্টিকর্তার গোলাম।অপরদিকে নবী মুহাম্মদ এর
পিতার নাম আব্দুল্লাহ শব্দের অর্থও সৃষ্টিকর্তার
গোলাম!
ব্যাকরণে অতি দুর্বলতার লক্ষন হল এটি।বিষ্ণুযশ
শব্দের অর্থ "ঈশ্বরের মহিমা",সৃষ্টিকর্তার গোলাম
নয়।এছাড়া পদ্ম পুরাণ,সৃষ্টিখণ্ড (৬.২৪২.৮-১২) তে
বর্ণিত আছে
বিষ্ণুযশ প্রথমে স্বয়ম্ভু মনু(প্রথম সৃষ্ট মানুষ)
রুপে জন্ম গ্রহন করেছিলেন যিনি কঠোর
তপোস্যা করে ঈশ্বরের কাছ থেকে বর(ইচ্ছা)
প্রার্থনা করেছিলেন ঈশ্বর যেন তার পুত্র
রুপে আবির্ভুত হন। ঈশ্বর তাঁকে কথা দিয়েছিলেন
তিনি ৩ বার তাঁর পুত্র রুপে অবতীর্ণ হবেন
পরবর্তীতে দশরথ রুপে স্বয়ম্ভু মনু জন্ম গ্রহন
করেন এবং ঈশ্বর রাম রুপে তাঁর ঘরে অবতীর্ণ
হন তারপরে স্বয়ম্ভু মনু বাসুদেব রুপে জন্ম গ্রহন
করেন তখন ঈশ্বর শ্রীকৃষ্ণ রুপে তাঁর ঘরে
অবতীর্ণ
হন এবং সর্বশেষে স্বয়ম্ভু মনু কলিযুগের শেষে
বিষ্ণুযশ রুপে
জন্ম গ্রহন করবেন এবং ঈশ্বর তখন তাঁর ঘরে
অবতীর্ণ হবেন।অপরদিকে মুসলিমরা তো
জন্মান্তরবাদেই বিশ্বাসী নন!সুতরাং মুহাম্মদকে কল্কি
অবতারের সাথে মেলাতে হলে আব্দুল্লাহকেও
স্বয়ম্ভু মনুর মতই তিনবার পুনর্জন্ম নিতে
হয় যে!
১০।কল্কি পুরাণ (৩৩.২০-২৬) অনুযায়ী সর্বশক্তিমান
ঈশ্বর সমস্ত যুদ্ধ শেষ করে পৃথিবীকে পাপমুক্ত
করে যখন বিদায় নেবেন তখন তিনি হিমালয় পর্বতে
তার চতুর্ভুজ রুপ (শঙ্খ,চক্র,পদ্ম,গদা সহ চার হত সহ
রুপ)ধারনপূর্বক গভীর ধ্যানে মগ্ন হবেন।সহস্র
সূর্যের ন্যায়
আলোকজ্জল হবে তার দেহ,দেবতারা পুপষ্পবৃষ্টি
করবেন।
তার দুই স্ত্রীও এই ঘটনার স্বাক্ষী হবে।
এখন কথা হচ্ছে মুহাম্মদকে কি মুসলিমরা ঈশ্বর
হিসেবে মানে?তার কি চতুর্ভজ রুপ আছে যেরকম
বিষ্ণুর রুপের বর্ণনা বিভিন্ন পুরাণে আছে?
কোন মুসলিমরাই এই কথা
মানবে না।সুতরাংমুহাম্মদ আর কল্কি অবতারকে এক
মনে
করা বোকামী ছাড়া আর কিছুই না।
আমার ব্যক্তিগত মত হল, মুহম্মদকে (সাঃ) ইসলাম নামক
ধর্মের একজন বার্তাবাহক
এবং মুসলিম জাতির নিকট তিনি নবীরাসূল। তাঁকে
হিন্দুদের কল্কি অবতার বানাতে গিয়ে জাকির নায়েক
ইসলাম বিরোধী অনেক কাজ করেছেন এবং
অনেক
কিছুর উপর নির্ভর বা বিশ্বাস স্থাপন
করেছেন ইসলামিক দৃষ্টিতে যাকে বলা হয় “শিরক”।
আর অন্যদের
দৃষ্টিতে যা অতি হাস্যকর!!

Writer and Editor Kanchan Das

শৌচকার্য করার পর কি করা উচিত??

✅প্রশ্ন---- হিন্দু ধর্মে শৌচকার্য করার অাগে ও পরে কি কি করতে হবে এই ব্যপারে কোন গাইড লাইন অাছে কি না? _____________________________________...