Sanatan Dharma
সত্যম্ শিবম্ সুন্দরম্ঃ
রবিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৪
শৌচকার্য করার পর কি করা উচিত??
রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
সনাতন ধর্ম ও যুদ্ধনীতি
শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
সনাতন ধর্মে ঘুষ ও দুর্নীতি নিয়ে কঠোর বার্তা
শনিবার, ৮ জুন, ২০১৯
মঙ্গলবার, ২৭ মার্চ, ২০১৮
বৈদিক বর্ণ ব্যবস্থা
সমস্ত বিশ্বের বিভিন্ন প্রাচীন এবং অর্বাচিন সংস্কৃতির মধ্যে সমাজ কে বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভক্তিকরন ইহা দৃষ্টিগোচর হয়।
পরন্তু "সা প্রথমা সংস্কৃতি বিশ্বচারা" রূপে প্রসিদ্ধ এত সমৃদ্ধ বৈদিক সংস্কৃতি মধ্যে যে বর্নাশ্রমব্যবস্থার সুন্দর স্বরূপউপলব্ধ হয় উহা কোন অন্য সংস্কৃতি মধ্যে দৃষ্টিগোচর হয় না। বৈদিক বর্ণাশ্রম ব্যবস্থার প্রারম্ভিক সংগঠিত রূপ মধ্যে সমাজের প্রত্যেক ব্যক্তির একাই মহত্বপূর্ণ বুঝে, কার্য
শ্রম তথা যোগ্যতাকে মুখ্য আধার স্বীকার করে তথা ব্যক্তিকে বিভিন্ন বর্ণে বিভাজিত করে ব্যষ্টি এবং সমষ্টির অতি
সুন্দর সমন্বয় সমুপস্খিত করে। যা বিশ্বের অন্য সংস্কৃতির মধ্যে উপলব্ধ হয় না।
সাহিত্য মধ্যে বর্ণ শব্দের প্রয়োগ সমুপলব্ধ হয়। বর্ণ শব্দ বৃজ বরণে ধাতু দ্বারা নিষ্পন্ন অথবা বর্ণ ধাতু দ্বারা ঘঞ প্রত্যয় যোগে নিষ্পন্ন হয়। বর্ণের অন্য অর্থ কোষ
কার সংকলিত করেছে পরন্তু এই প্রকরনে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এবং শুদ্রের বোধই রয়েছে। তাদের এই শ্রেণীকরনকে বর্ণ ব্যবস্থা বলে। এবং বেদের
অনুসারে হওয়ার জন্য উহাকে বৈদিকী শব্দ দ্বারা অবহিত করা হয়েছে। এই প্রকার এই সমস্ত পদে বর্ণের সাথে আশ্রম ব্যবস্থাও যুক্ত হয়েছে। আশ্রম শব্দও আঞ পূর্বক শ্রমু ধাতু
দ্বারা নিষ্পন্ন হয়। যাকে ব্রহ্মচর্য, গৃহস্থ,বানপ্রস্থ এবং সন্ন্যাস এই চার শ্রেণীকরনে বিভক্ত করা হয়।
বৈদিক মান্যতা অনুযায়ী গুণকর্মের আধারের উপর শ্রেণীর
নির্ধারন হয়েছে। মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী বেদের ভাষ্য এবং ঋগবেদাদী ভাষ্য ভূমিকাই স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন
বেদের অনুসারে বর্ণ ব্যবস্থা করার পরই সমাজের সম্মক উন্নতি সম্ভব।বেদই সব সত্য বিদ্যার পুস্তক তথা ঈশ্বরই সমস্ত
বিদ্যার মূল। অতঃ বৈদিক মন্ত্রের আধারের উপর দেখা যায় তো ইহা স্পষ্ট হয় যে,
"ব্রাহ্মণোস্য মুখমাসীত" ইহা বেদের প্রশ্নোত্তর বিধি দ্বারা বুঝানো হয়েছে। যখন আমরা এই মন্ত্রের অর্থ জানার
প্রয়াস করি তখন পূর্বের মন্ত্র দেখা অতন্ত্য প্রয়োজন হয়ে পড়ে। এই প্রকার- "মুখং কিমস্যাসীৎ কীং বাহু কিমূরু পাদা
উচ্যতে" ইহার অর্থ বোধের জন্য পানিনীয় সূত্রানুসারে,
ধাত্বর্থানাং সমন্ধে সর্বকালোষ্বেতে বা স্যুঃ "ছন্দাসি লুঙ্লিঙ্লিট" এর ধ্যান মন্ত্রে স্থিত অর্থ হচ্ছে, (অস্য) ইহার (মুখম) মুখ (কিম) কোনটি (অসীত) হয়, ছিল অথবা
আছে (কিম বাহু) দুই বাহু কোনটি (কিম উরু) উরু কোনটি (পাদ
উচ্যতে) ইহার পা কোনটি?
এই চার প্রশ্ন করা হয়েছে। ইহার উত্তর বেদমন্ত্র
দিয়েছেন-
→ব্রাহ্মণোস্য মুখমাসীদ্ বাহু রাজন্যঃ কৃতঃ।
→ঊরু তদস্য যদ্বৈশ্যঃ পদ্ভায়াং শুদ্রোঅজায়তঃ।।
(ঋগবেদ ১০।৯০।১২)
.
তাহার মুখ ব্রাহ্মণস্বরূপ, দুই বাহু ক্ষত্রিয়স্বরূপ, যে বৈশ্য ইহা তাহার
উরুস্বরূপ এবং তাহার পা শুদ্রস্বরূপ।
পূর্বে লিখিত প্রশ্নের চার উত্তর এই মন্ত্রে উপস্থিত করা হয়েছে। কিছু বিদ্বান ইহার বিপরীত অর্থ প্রস্তুত করে বলে যে, এই পরম পুরুষের মুখ থেকে ব্রাহ্মন উৎপন্ন হয়েছে ইত্যাদি। ইহা কেবল অনর্গল প্রলাপ মাত্র। ব্রাহ্মণ গ্রন্থে কোথাও মুখাদি থেকে বর্ণের উৎপত্তির বর্ণনা নেই কারন ইহা সৃষ্টি বিরুদ্ধ এবং অবৈজ্ঞানিক।।কাব্য শাস্ত্রে অলঙ্কার কাব্যের শোভা বর্ধক। বেদের মধ্যেও অনেক অলংকারিক বর্ণনা এসেছে। এখানেও বেদ তথা ঈশ্বরের অভিপ্রায় এই যে, সর্বপ্রথম সংসার মধ্যে জীবনাচারের নীতি অনুসারে মনুষ্যকে চার ভাগে ভাগ করা উচিত। যে মুখের কার্য্য করে সে ব্রাহ্মণ, যে বাহুর কার্য করে ক্ষত্রিয়, যে উরুর কার্য করে সে বৈশ্য এবং যে পা এর কার্য করে তাকে শুদ্র বলে অবিহিত করা হয়। প্রথমে মুখের কার্যের উপর দৃষ্টিপাত করা যাক-
.
মুখের কার্যঃ এই ভাগে জ্ঞান প্রাপ্তি করা সমস্ত ইন্দ্রীয় বিদ্যমান। এখানে সত্য অসত্যের নির্ণয় করা হয়। ভালো মন্দ সত্য অসত্যের নির্ণয করে ক্ষত্রিয়াদিকে আজ্ঞা দ্বারা প্রেরিত করে। শ্রবন মনন নিদিধ্যাসন বিবেক আদি যা কিছু বিচার সব মস্তকই করে। যেভাবে শরীরের মধ্যে মস্তক শরীরের মুখ্য ভাগ রূপে প্রধান কার্য করে। এভাবে বিবেকপূর্বক নিঃস্বার্থ এবং পরোপকারী যে মস্তিষ্কের মতো সমাজের কার্য করে তাহাকে ব্রাহ্মণ বলে। সে বিরাট বিশ্বের মানব সমূহের মুখ সদৃশ।
.
বাহুর কার্যঃ সম্পূর্ন শরীরের রক্ষার দায়িত্ব দুই বাহুর উপর আশ্রিত। ইহা শরীরের মধ্যে কোন বিপদ আসলে রক্ষার জন্য উদ্যত হয়। যুদ্ধ ক্ষেত্রে সংগ্রাম এই দুই বাহুই করে। এই রূপ সমাজরূপী পুরুষের উপর সঙ্কটাপন্ন স্থিতি আসলে নিজ বাহুবল দ্বারা ক্ষত্রিয় এদের ত্রান করে। " ক্ষত্রাত্ বিল ত্রায়ন ইত্যুদগ্রয়ত্রস্য শব্দৌ ভুবনেষু রুঢ"
.
উরুর কার্যঃ কটি দেশের অধ দেশকে উরু বলা হয়। এই ভাগকে বৈশ্য বলা হয়েছে। উরু যেমন সর্বত্র গমনে সাহায্য করে। সেইরূপ যিনি উরুর ন্যায় সকল দেশে গমনাগমন ও প্রবেশ করেন, উপার্জিত ধন সঞ্চয় ও সঞ্চিত ধনকে সমাজে যথাযথরূপে বিতরণ করেন, তিনিই বৈশ্য।
.
পা এর কার্যঃ আমাদের শরীরের সমস্ত ভার পা বহন করে। পা এর অভাবে শরীর পঙ্গু হয়ে যায়। তখন সংগ্রামের মধ্যে
বাহুবল কি আসবে? এইরূপ সমাজ সেবক বিনা সেই সমাজ পঙ্গু হয়ে যায়। এবং পা বিনা সমাজের উন্নতি কদাপি সম্ভব নয়।
সেইরূপ যিনি শারীরিক পরিশ্রম দ্বারা সমাজের ভার বহনপূর্বক
সমাজের সেবা করেন, তিনিই শূদ্র।
.
অতএব বৈদিক বর্ণ ব্যবস্থা গুন এবং কর্মের উপরই আধারিত। একজন ক্ষত্রিয়ও ব্রাহ্মণত্ব লাভ করতে পারে। বিশ্বামিত্র যেমন ক্ষত্রিয় হতে ব্রাহ্মণত্ব লাভ করেছিলো। বৈবস্বত মনুর পূত্র নভগ রাজ্য ত্যাগ করে ব্রাহ্মণ হয়ে যায় এবং গুরুকুল
স্থাপিত করে। একজন ব্যক্তির চার পুত্রও ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এবং শুদ্র হতে পারে।
.
.
→কার্টেসি -- অগ্নিবীর ব্লগ।
বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১৮
পবিত্র বেদে অশ্লীলতা বিষয়ে অপপ্রচারের জবাব
☑পবিত্র বেদে অশ্লীলতা বিষয়ে অপপ্রচারের জবাব---
____________________________________
👉অপপ্রচার -- হিন্দু ধর্মগ্রন্থে পিতা+ কন্যার বিবাহ, অবৈধ যৌন সম্ভোগ অনুমতি দেয় ঈশ্বর। (ঋগবেদ ১০ মন্ডল ৬১ সুক্ত( ৫-৮) মন্ত্র।)
➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖
.
☑জবাব-- আজকাল অনলাইনে কিছু তমোনিষ্ঠ পাপবুদ্ধিদের আধিক্য
বৃদ্ধি পেয়েছে। বেদের মহত্ততার হানি ঘটানোর জন্য
এদের প্রচেষ্টা। যদিও বেদের মতো উচ্চ আধ্যাত্মিক
জ্ঞান এসব পাপ বুদ্ধিদের মস্তিষ্কে নেই। যার ফলে এরা
নিজেদের অশ্লিলপূর্ণ জীবনের নোংরা জ্ঞান দিয়ে বেদ বিচার করতে আরম্ভ করেছে।যার দরুন এরা শুধু নিজেদেরই নয় নিজেদের অস্তিত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
.
তাদের দাবি মতে ঋগ্বেদ ১০/৬১/৫-৮ নং মন্ত্রে নাকি পিতা এবং কন্যার মধ্যে অশ্লীল সম্পর্কের কথা অাছে।
- কিন্তু তাদের দেয়া তথ্য অনুসারে এরুপ কোন কথা পাইনি। তাদের দেয়া তথ্যগুলো নিচে খন্ডানো হলো ➖
✅ঋগ্বেদ ১০/৬১/৫--
➖प्रथिष्ट यस्य वीरकर्ममिष्णदनुष्ठितं नु
नर्यो अपौहत् ।
➖पुनस्तदा वृहति यत्कनाया
दुहितुरा अनुभृतमनर्वा ॥
.
✅বঙ্গানুবাদ✅
➖ রাষ্ট্রপতি কে নতুন বা অনর্বা হওয়া চাই। যে বিধানের নির্মাণ করে সভা বা সমিতি দ্বারা রাষ্ট্র এর সঞ্চালন করবে। সভা কে রাষ্ট্রপতির শক্তি প্রাপ্ত হয়ে যায়। নিশ্চিত (সময়) অবদি পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি সভা থেকে শক্তি কে ফেরৎ নিয়ে, নতুন নির্বাচনের জন্য সভা ভঙ্গ করে দেই।
(অনুবাদ--- ভাষ্যকার হরিশরণ সিদ্ধান্তলঙ্কার এর হিন্দি থেকে সরাসরি অনূদিত)
.
✅ঋগ্বেদ ১০/৬১/৬--
➖मध्या यत्कर्त्वमभवदभीके कामं कृण्वाने
पितरि युवत्याम् ।
➖मनानग्रेतो
जहतुर्वियन्ता सानौ निषिक्तं सुकृतस्य योनौ ॥
.
✅বঙ্গানুবাদ✅
➖ নির্বাচন ঠিক সময়ে হয়ে যাওয়া চাই। সভার কোনো কার্য অসম্পূর্ণ থাকে তবে, সভা ভঙ্গ হয়ে নতুন নির্বাচন হয়ে যাওয়া চাই, নতুন সভা সেই কার্য কে পূর্ণ করে নেবে।
(অনুবাদ--- ভাষ্যকার হরিশরণ সিদ্ধান্তলঙ্কার এর হিন্দি থেকে সরাসরি অনূদিত)
.
✅ঋগ্বেদ ১০/৬১/৭
➖पिता यत्स्वां दुहितरमधिष्कन्क्ष्मया रेतः
संजग्मानो नि षिञ्चत् ।
➖स्वाध्योऽजनयन्ब्रह्म देवा वास्तोष्पतिं
व्रतपां निरतक्षन् ॥
.
✅বঙ্গানুবাদ✅
➖রাষ্ট্রপতি সভার সভ্যকে নির্বাচন করে। নির্বাচিত হওয়ার পরে তারা রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচন করে। রাষ্ট্রপতির মুখ্য কার্য রাষ্ট্র রক্ষার নিয়ম কে পালন করানো।
(অনুবাদ--- ভাষ্যকার হরিশরণ সিদ্ধান্তলঙ্কার এর হিন্দি থেকে সরাসরি অনূদিত)
.
.
→পার্ট----- (২)
→অনলাইনে কিছু গুনীজনদের অানাগোনা দেখা যাচ্ছে। এনারা অনলাইনে অনেক পান্ডিত্য দেখাতে গিয়ে কিছু মায়াকান্না করে থাকে। তাদের নতুন উদ্ভাবন হলো পবিত্র বেদে নাকি অশ্লীলতা রয়েছে। এনারা পোস্টের শুরুতে কিছু কথা বলে, যেমন ধরুন--- হিন্দু ধর্মগ্রন্থে বেদে ভয়াবহ অশ্লীলতা,যৌনতা যা লিখতে ও পড়তে লজ্জা করে।
* সম্মানিত হিন্দু বন্ধুগন,আপনারা কেন যে ধর্মগ্রন্থ পড়েন না? 😆😂😂😆
.
→তিনি এমন পান্ডিত্য দেখালেন যে তিনি ছাড়া অার কেউ পবিত্র বেদ পড়ে দেখেনি। 😂😂😂
.
👉তাদের দেওয়া তথ্য মোতাবেক খন্ডন করা হলো নিম্নে---
.
1⃣ যজুর্বেদ ২৩/২০- ঈশ্বর ঘোড়া দ্বারা যৌন কর্ম ও স্ত্রী যোনীপথে বীর্যপাত করতে বলে।
_____________________________
✔জবাব➖ উক্ত মন্ত্রে এরুপ কোন কথা নেই, ভূলভাল উৎস থেকে পড়লে সেটা দায় কি পবিত্র বেদের নাকি বক্তার???
.
👉 মন্ত্রটি নিম্নরুপ---
→ताऽउभौ चतुरः पदः सम्प्र सारयाव स्वर्गे लोके।
→प्रोर्णुवाथां वृषा वाजी रेतोधा रेतो दधातु ॥
.
✔বঙ্গানুবাদ✔
➖ প্রভুর সাথে মিলিত (একাত্মা) হয়েই প্রভুর কৃপাতেই ধর্ম, অর্থ, কাম এবং মোক্ষ এই চার পুরুষার্থ সিদ্ধ করো এবং এই উপায়তেই নিজেকে স্বর্গলোকে স্থাপিত করো ।। প্রভু যেন রাজা প্রজা সকলকে শক্তিশালী বানান ।।
(অনুবাদ- হরিশরণ সিদ্ধান্তলঙ্কার)
.
👉উক্ত মন্ত্রে মনুষ্যকে প্রভুর সাথে একাত্মা হয়ে চার পুরুষার্থ সিদ্ধ করার কথা বলা হচ্ছে।
কোন খারাপ কিছুকে নির্দেশ করছেনা। ✌✌
.
2⃣যজুর্বেদ- ** ২৩/২১- ঘোড়ার বীর্য নাকি রমনীগেনর জীবন ও ভোজন স্বরুপ।
_______________________________
👉জবাব➖ টুপি পড়াবেন ভালো কথা, তবে কেনো হিন্দুদের ভূলভাল বুঝিয়ে টুপি পড়াতে চাচ্ছেন????
ওদের দেয়া যজুর্বেদ ২৩/২১ মন্ত্রটির প্রকৃত সত্য নিম্নরুপ---
→उत्सक्थ्या ऽ अव गुदं धेहि सम् अञ्जिं चारया वृषन् ।
→य स्त्रीणां जीवभोजनः॥
✔বঙ্গানুবাদ✔
➖ রাজা রাষ্ট্রে ব্যভিচার থামানোর জন্য বিলাসী ( ব্যাভিচারী, চরিত্রহীন ) পুরুষকে উল্টো করে ঝুলিয়ে শাস্তি দেবেন তথা রাষ্ট্রে ব্যাভিচারের হানি এবং ক্ষতি ও চরিত্র সংযমের লাভ ও সমাজে চরিত্র সংযমের গুরুত্ব প্রজাদের মধ্যে প্রচার করে বোঝাবেন এবং এই বিষয়ে জ্ঞানের প্রচার রাষ্ট্রে করাবেন , যাতে রাজ্যের প্রজাদের মনোবৃত্তিতে কখনো ব্যাভিচারের চিন্তা না আসে এবং যারা ব্যাভিচারের সঙ্গে যুক্ত, তাদের ও মনোবৃত্তিতে যাতে পরিবর্তন ঘটানো যায় ।।
(অনুবাদ- হরিশরণ সিদ্ধান্তলঙ্কার)
.
👉 এখানে মূলত ব্যভিচার এর শাস্তি এবং মানুষকে সৎ পথে অানার জন্য রাজাকে নির্দেশ দেয়া হচ্ছে সকলকে যাতে ব্যভিচার থেকে দূরে রাখতে পারে। মিথ্যাচারীদের দেয়া কথা ছিটে ফোটাও নেই। ✌✌✌
.
3⃣ যজুর্বেদ- ২৩/২৮-হায় হায়! ! স্থূল ( চওড়া,মোটা) শিশ্ন ( পুরুষাংগ বা নুনু)
পেয়ে নাকি স্ত্রী যোনী কাপে!!!
_____________________________
👉জবাব➖ সকলের মনে হতে পারে এরুপ অপপ্রচার করে কেমন করে?
এগুলো ওদের নিম্ন মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ।
👉মন্ত্রটি নিম্নরুপ---
→यद् अस्या ऽ अम्̐हुभेद्याः कृधु स्थूलम् उपातसत् ।
→मुष्काविदस्या ऽ एजतो गोशफे शकुलाव् इव॥
.
✔বঙ্গানুবাদ✔
➖রাজা রাষ্ট্রে দন্ড ব্যবস্থাকে এই প্রকারে সুব্যবস্থিত করে রাখবেন , যাতে চোর-ডাকাত সেই দন্ডবিধির ভয়ে কম্পিত হয়ে এই চুরি-ডাকাতির পথ ই ছেড়ে দেয়।
(অনুবাদ- হরিশরণ সিদ্ধান্তলঙ্কার)
.
👉 উক্ত মন্ত্রে রাজার প্রতি নির্দেশ দেয়া হচ্ছে যে চুরি ডাকাতির শাস্তি এমন ভাবে করতে হবে যাতে করে শাস্তির ভয়ে চুরি ডাকাতি করা বন্ধ হয়ে যায়। ✌✌✌
(স্বামী মামুয়াচার্য্য Full ফর্মে অাছে) ✋✋ তথাস্তু বৎস।
➖➖➖➖➖➖➖➖
4⃣ ২৩/২৯-দেব গন ক্রীড়া করলে নারীর উরু ও দেখা যায়।
____________________________________
👉জবাব➖ অাবারো একই সিষ্টেমে চলে গেলো।
উক্ত মন্ত্রটি নিম্নরুপ➖
→यद् देवासो ललामगुं प्र विष्टीमिनम् आविषुः ।
→सक्थ्ना देदिश्यते नारी सत्यस्याक्षिभुवो यथा ॥
.
✔বঙ্গানুবাদ✔
➖ যখন রাজাকে বিদ্বান ব্যাক্তিগণ ব্যাপ্ত করে থাকেন, তখনই কোনো রাজসভা রাজ্যের প্রজাদের সঠিক সেবা করতে পারে ।।
(অনুবাদ- হরিশরণ সিদ্ধান্তলঙ্কার)
.
👉উক্ত মন্ত্রটি মূলত রাজার রাজসভায় বিজ্ঞ ব্যক্তিদের নিযুক্ত করার কথা বলা হচ্ছে, যাতে করে রাজ্যের সব লোক সঠিক সেবা পেতে পারে।
➖➖➖➖➖➖➖➖
5⃣ যজুর্বেদ- ২৩/৩১- শুদ্রগন যদি বৈশ্য রমনীতে আসক্তি হয়, তবে বৈশ্য ক্লেশ অনুভব করবে,সুখী হবে।
_______________________________________
👉জবাব➖ 😂😂😂😂😂😂😂😂😂😂😂😂😂😂😂😂😂😂😂
এরকম ফন্ডিত এর অনুগ্রহ লাভ করে স্বামী মামুয়াচার্য্য খুবই ধন্য হলো। 👍🏻
.
👉উক্ত মন্ত্রটি নিম্নরুপ---
→यद्धरिणो यवम् अत्ति न पुष्टं बहु मन्यते ।
→शूद्रो यद् अर्यायै जारो न पोषम् अनु मन्यते ॥
.
✔বঙ্গানুবাদ✔
➖ রাজা যদি বিলাসী হয়ে যায় , তবে সেই রাজা ঐ শুদ্র ব্যাক্তির সমান হয়, যে শুদ্র ব্যাক্তি এক উপপত্নীর প্রেমী হয়ে বংশবৃদ্ধির ধারণাকে কোনো তাৎপর্য দেয় না ।।
(অনুবাদ- হরিশরণ সিদ্ধান্তলঙ্কার)
.
👉 এখানে মূলত রাজার বিলাসীতাকে লক্ষ্য করে বলা হয়েছে। অর্থাৎ রাজা যদি বিলাসী হয় তবে সে শূদ্র ব্যক্তির ব্যভিচারের সমমনা হয়ে যাবে।
.
.
👉 স্বামী মামুয়াচার্য্যের কিছু বলার নেই, যা বলার পাবলিক বলবে। অার মামুয়াচার্য্য দেখবে।
(✋✋ তথাস্তু বৎস)
কাহারো অনুভূতিতে অাঘাত লাগিলে স্বামী মামুয়াচার্য্য দায়ি থাকিবেনা। 😇
.
✅প্রথমত ধন্যবাদ দিতে হয় মিথ্যাচারকারীকে। কেননা সে যদি মিথ্যাচারটি না করতো তবে অামরা সনাতনীরা এতো সুন্দর একটি কথা পেতামনা। যদিওবা পাওয়া যেতো তবে সেটা অারো কিছু দিন পর।
.
✅তাদের করা মিথ্যাচারটি কেবল তাদের স্বজাতি ভাইদের খুশি করানোর জন্য। তাদের দেয়া রেফারেন্সে কোন ধরনের অশ্লীলতা নেই,বরং সেখানে রাষ্ট্রপতি বা রাষ্ট্র(রাজ্য) প্রধানের নির্বাচন এবং রাষ্ট্রপতির কর্তব্য পালনের কথা বলা হয়েছে।
.
👉 অতএব বেদ ঈশ্বরীয় জ্ঞান হওয়ার দরুন এতে কোন
অশ্লিলতা নেই কিংবা থাকার প্রশ্নই অাসেনা । তাই এসব অপপ্রচার থেকে দূরে থাকুন।
.
➖ওঁম শান্তি শান্তি শান্তি।।।
.
.
Writer & Editor Kanchan Das
সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৭
শ্রীমদ্ভাগবদ গীতা ১৮.৪৭-৪৮ নিয়ে অপপ্রচারের জবাব
★অপপ্রচার---- (হিন্দু ধর্ম গ্রন্থ ভবগত গীতার ১৮ অধ্যায়ের ৪৭ এবং ৪৮ নং শ্লোকর এর মধ্যে রয়েছে এর অর্থ "অন্য ধর্ম সত্য হয় , আবার নিজের ধর্মেও যদি ভুল ধরা পড়ে তবুও নিজের ধর্মই শ্রেষ্ঠ ।
আগুনের উপরে যেমন ধোয়া থাকে , নিজের ধর্ম
গ্রন্থ এর মধ্যেও ভুল থাকতে পারে । **** এ থেকেই প্রমান হয় গ্রন্থটা ঈশ্বরের নাকি মানুষের লেখা?
_________________________________________________
.
→★জবাব------- সনাতন ধর্মীয় শাস্ত্রের অর্থকে বিকৃত ভাবে উপস্থাপন করা ভিন্ন ধর্মীদের একটা স্বভাব হয়ে গেছে। সনাতন ধর্মের ভূল খুজে বেড়াচ্ছে কতিপয় কিছু লোক, এবং ভূল বের করতে তারা অাবার ভূলের অাশ্রয় নিচ্ছে। অথচ তারাই অাবার বলে "বলুন সত্য এসেছে মিথ্যা বিলুপ্ত হবে"।
→তাদের সেই বাক্যের বিপরীতে তাই অামাকেও প্রয়োগ করতে হলো পরম সনাতনের সত্যের জয়----
→সত্যমেব জয়তে নানৃতং সত্যেন পন্থা বিততো দেবযান।
→য়েনাক্রমন্তৃষ্যয়ো হ্যাপ্তকামা যত্র তত্
সত্যস্য পরমং নিধানম।।"
.
*বঙ্গানুবাদ*
-----সত্যের জয় এবং অসত্যের পরাজয়
অবশ্যম্ভাবী। সত্যের মাধ্যমে সেই
পবিত্র পথ বিস্তৃত যার দ্বারা ঋষিগন
পরমসত্যের নিকট গমন করেছেন!
[মুন্ডক উপনিষদ ৩.১.৬]
.
.
★এবার তাদের দেয়া মিথ্যাটা দেখা দরকার।
→তারা বলেছে শ্রীগীতার ১৮/৪৭-৪৮ শ্লোকে অাছে পরের ধর্ম সঠিক হলেও, যদি নিজের ধর্মে ভূল থাকে তবে নিজের ধর্ম পালন করতে হবে।
→অাবার বলেছে অাগুনের মধ্যে ধোয়া থাকতে পারে, নিজ ধর্ম গ্রন্থেও ভূল থাকতে পারে।
.
.
→এইটুকুই তাদের মিথ্যাচার।।।
.
→প্রথম অামাদের একটা জিনিস দেখতে হবে সেটা হলো তাদের দেয়া উক্ত শ্লোকে কি অাছে???
.
★শ্রীগীতা ১৮/৪৭
→श्रेयान्स्वधर्मो विगुण: परधर्मात्स्वनुष्ठितात्|
→स्वभावनियतं कर्म कुर्वन्नाप्नोति किल्बिषम् || 47
.
→*অনুবাদ*
---- স্বধর্ম দোষ-বিশিষ্ট হইলেও সম্যক্ অনুষ্ঠিত পরধর্ম অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ । স্বভাব-নির্দিষ্ট কর্ম করিয়া লোকে পাপভাগী হয় না ।
*(অনুবাদক --- গীতাশাস্ত্রী জগদীশচন্দ্র ঘোষ)*
.
★এর পরের শ্লোক (শ্রীগীতা ১৮/৪৮) নিম্মরুপ---
→सहजं कर्म कौन्तेय सदोषमपि न त्यजेत् |
→सर्वारम्भा हि दोषेण धूमेनाग्निरिवावृता: || 48
.
→*অনুবাদ*
------- হে কৌন্তেয়, স্বভাবজ কর্ম দোষযুক্ত হইলেও তাহা ত্যাগ করিতে নাই । অগ্নি যেমন ধূমদ্বারা আবৃত থাকে, তদ্রূপ কর্মমাত্রই দোষযুক্ত ।
*(অনুবাদক --- গীতাশাস্ত্রী জগদীশচন্দ্র ঘোষ)*
.
.
→উল্লেখিত শ্লোক দুটিকে বিশ্লেষন করার অাগে মিথ্যাবাদীদের মিথ্যাটা ধরিয়ে দিই।
.
১) তারা বলেছে→ আগুনের উপরে যেমন ধোয়া থাকে , নিজের ধর্ম গ্রন্থ এর মধ্যেও ভুল থাকতে পারে ।
.
→প্রকৃত পক্ষে উক্ত শ্লোক ধর্ম গ্রন্থের কোন নাম নিশানাও নেই। সবাই ওদের থেকে জবাবদিহি নিবেন যে এখানের দুইটি শ্লোকে কোথায় বলেছে নিজের ধর্ম গ্রন্থে ভূল থাকতে পারে??????
.
→এবার ব্যাখ্যা করা যাক উক্ত শ্লোকে স্বধর্ম অার পরধর্ম বলতে কি বুঝানো হয়েছে????
.
→গীতা ১৮/৪৭-৪৮ পড়ার পূর্বে অামাদের দেখতে এর অাগের শ্লোকগুলিতে কি অাছে?
→গীতা ১৮/৪১-৪৪
→হে পরন্তপ, ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্রদিগের কর্মসকল ভাবজাত গুণানুসারে পৃথক্ পৃথক্ বিভক্ত হইয়াছে । ৪১
.
→শম, দম, তপঃ, শৌচ, ক্ষমা, সরলতা, জ্ঞান, বিজ্ঞান ও সাত্ত্বিকী শ্রদ্ধা - এই সমস্ত ব্রাহ্মণের স্বভাবজাত কর্ম (লক্ষণ) । ৪২
.
→পরাক্রম, তেজ, ধৈর্য, কার্যকুশলতা, যুদ্ধে অপরাঙ্মুখতা, দানে মুক্তহস্ততা, শাসন-ক্ষমতা, এইগুলি ক্ষত্রিয়ের স্বভাবজাত কর্ম (লক্ষণ) । ৪৩
.
→কৃষি, গোরক্ষা ও বাণিজ্য বৈশ্যদিগের এবং সেবাত্মক কর্ম শূদ্রদিগের স্বভাবজাত । ৪৪
.
→উপরের শ্লোক গুলি থেকে এটা স্পষ্ট নির্ণয় করা যাচ্ছে যে ভগবান গুন ও কর্মের দ্বারা যে চতুর্বণ্য সৃষ্টি করেছেন তাদের গুনাবলী গুলি।
→অর্থাৎ যেকোন ব্যক্তির মধ্যে উল্লেখিত গুন বিদ্যমান থাকলে অামরা চিনে ফেলতে পারবো ব্যক্তিটা কোন বর্ণের।
.
→গীতা ১৮/৪৭-৪৮ শ্লোকের স্বধর্ম অার পরধর্ম বলতে চতুর্বর্ণের উক্ত কর্মগুলিকে নির্দেশ করে।
→তাই এখানে সনাতন ধর্ম, ইসলাম ধর্ম, বৌদ্ধ ধর্ম অার খ্রিষ্টান ধর্মকে টেনে অানাটা মুর্খামী ছাড়া কিছুই নয়।
.
→এবার দেখুন কেনো ভগবান বলেছে স্বধর্ম দোষযুক্ত হলেও সেটা করতে হবে কিংবা উত্তম পরধর্ম হলে সেটা কেনো করতে মানা?
.
→অর্জুনকে এটা বলার অর্থ হলো অর্জুন হলো ক্ষত্রিয়। অার ক্ষত্রিয়ের ধর্ম বা কর্ম হলো যুদ্ধ করা। এবং ক্ষত্রিয় ধর্মে বা কর্মে দোষ অাছে সেটা হলো যুদ্ধ করে মানুষ মেরে ফেলা। কিন্তু সেই দোষযুক্ত কাজটি বা কর্মটি বা ধর্মটি অর্জুনকে করতে হবে। অার যদি এটা না করে তবে যুদ্ধে হেরে যাবে অার মৃত্যুবরণ করবে।
.
→একটু বর্তমান অাঙ্গিকে বিচার করুন,,, যেকােন দেশের সেনাবাহিনী সদা নিজেদের দেশরক্ষা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। কিন্তু দেশ রক্ষা করতে গেলে তাদের যুদ্ধ করতে হবে, অার যুদ্ধ করলে অবশ্যই ভিন্ন দেশের সেনাদের মারতে হবে। এই "ভিন্ন দেশের সেনা" মারাটা মানবিক ভাবে দোষ। কিন্তু সেটা কর্তব্য। কেননা ভিন্ন দেশের সেনাকে না মারলে সে অাপনার দেশের সেনাকে মেরে ফেলবে।
.
→ ক্ষত্রিয়ের যুদ্ধকর্মে বা কৃষকের কৃষিকর্মেও প্রাণিহিংসা অনিবার্য; কিন্তু এইরূপ হিংসাদিযুক্ত হইলেও তাহা ত্যাগ করিয়া অন্য বর্ণের কর্ম গ্রহণ করা কর্তব্য নয় । কেননা কর্মমাত্রই দোষযুক্ত।
.
★তাই পরিশেষে বলবো শ্রীগীতার দর্শন না বুঝে ভূল ধরতে গেলে নিজেই ভূলের গর্তে পড়ে যাবেন। তখন অার সুপথে অাসতে পারবেননা।
★*সত্যমেব জয়তেঃ*★
.
.
→ওঁ শান্তি শান্তি শান্তি।।।
Writer & Editor Kanchan Das
শৌচকার্য করার পর কি করা উচিত??
✅প্রশ্ন---- হিন্দু ধর্মে শৌচকার্য করার অাগে ও পরে কি কি করতে হবে এই ব্যপারে কোন গাইড লাইন অাছে কি না? _____________________________________...
-
★সনাতন ধর্ম হাজার বছরে তিল তিল করে গড়ে ওঠা একটি ধর্ম। মানুষের জীবনের প্রত্যেকটি কাজের ব্যাপক পর্যালোচনার পরই ঋষিগণ একটি করে নিয়ম দিয়ে দিয়েছে...
-
অনলাইনে এখন অত্যন্ত গুরুত্ত্বের সাথে প্রচার করা হচ্ছে ঈশ্বরের প্রতিমা নাই, কিন্তুু সনাতনীরা প্রতিমা বানিয়ে পূজা করে কেনো? তাদের জন্য নিম্নের...
-
বর্তমানে অনলাইনে কিছু জ্ঞানপাপীর আগমন হয়েছে তারা সনাতন ধর্মের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অপপ্রচার করে। তাদের অন্যতম নিকৃষ্ট একটি লেখা যেখানে তারা শু...