সোমবার, ২৪ জুলাই, ২০১৭

কল্কি অবতার ও একটি ব্যক্তিগত বিশ্লেষণ

★বিগত কয়েক বছর ধরে দেখছি ইসলামি পন্ডিতগন বেদে মুহাম্মদ(সা:) আছেন বলে হিন্দুদের সু-কৌশলে ইসলাম গ্রহনের আহ্বান করছেন।আর না জেনে সেই ফাঁদে অনেকেই পা বাড়িয়েছেন।
তাঁরা কল্কিদেব এর সাথে মুহাম্মদ(সা:) সাদৃশ্য ঘটিয়েছেন,যাদের মধ্যে অন্যতম হলেন ডা:জাকির নায়েক।

→মুসলিমদের ভাষ্যমতে সনাতন ধর্ম কোন
গ্রন্থ না এবং বেদ -গীতাও নাকি ঈশ্বরের ঐশী বানি না,অথচ যখন কল্কির কথা বলা হয় তখন নির্লজ্জের মত মুহাম্মদ(সা:) কে মিলিয়ে ধরে,আর এই অপপ্রচার কারীর মূল হোতা হচ্ছেন জাকির নায়েক।তাই
জাকির নায়েককে নিয়ে আবার হাজির হলাম।

→আমি দেখি আমাদের ধর্মে বর্ণিত কলিযুগের শেষ অবতার কল্কি অবতারের
ভবিষ্যত বাণী নিয়ে অনেক সুযোগ
সন্ধানী অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
জাকির নায়েক ইসলাম ধর্মের শেষ নবী
মোহম্মদ (সাঃ)কে দাবী করছেন আমাদের কল্কি অবতার হিসেবে। জাকির নায়েক তার
যুক্তি দেখাতেই পারেন, তার মুসলিম অনুসারীগণ
আবার এতে নেচে উঠতেই পারে। কিন্তু আমি
ব্যক্তিগতভাবে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে বিশ্লেষণ
করে দেখি ওরা কি ঠিক পথেই হাটছে কি না??
.
১।জাকির নায়েক কিন্তু প্রতিবার
দাবী করে এসেছেন যে, হিন্দুদের মূল
ধর্মগ্রন্থ বেদ। প্রতি ক্ষেত্রেই তিনি বেদ ছাড়া
অন্য গ্রন্থকে স্বীকার করতে নারাজ। আমাদের
জন্মান্তরবাদকে অস্বীকার করার
জন্য তিনি পূণর্জন্মের ইস্যুতে কেবল বেদকেই
মূল্য দেন, গীতা কিংবা পূরানকে মূল্যই দেননি বা
নির্ভর করেন নি, বিশ্বাসও করেন নি।
কিন্তু মোহম্মদকে কল্কি অবতার প্রমাণের
ক্ষেত্রে পূরাণের উপর তার
এতো নির্ভর্শীলতা কেন???
এটা কি ইসলামবিরোধী আচরণ নয়?
কারণ কোরান
মুসলিমদের বারবার বলেছে, কোরানের আগের
সকল কিতাবই নাকি সম্পূর্ণ বিকৃত, তাই এইসব গ্রন্থ
থেকে মুসলিমদের বিভ্রান্ত হতে কোরান বারবার
নিষেধ করেছে!!! তবুও ইসলামিক
থিওরী অনুযায়ী এইসকল বিকৃত গ্রন্থের উপর
নির্ভর্শীলতা/বিশ্বাস স্থাপন কি তার ইসলাম বিরোধী
আচরণ নয়?
.
২। এখন আমরা দেখি জাকির নায়েক ইসলামিক থিওরী
অনুযায়ী বিকৃতহিন্দুধর্মগ্রন্থ বেদ এর উপর বিশ্বাস
স্থাপন করে ইসলামের সম্মান বাড়িয়ে দিলেন নাকি
কমিয়ে দিলেন!! “বেদ” এ তিনি কিন্তু
মোহম্মদের নাম সরাসরি খুঁজে পান নাই। কেবল
উপমা ব্যবহার করেছেন। তার জন্য মোটামুটি
বিশ্বাসযোগ্য মন্ত্র হল "অথর্ব "বেদ
এর ২০/১২১/১-৩ নম্বর মন্ত্র।
এই মন্ত্রে তিনি নানান উপমাকে মোহম্মদের
বিভিন্ন পারিপার্শিক বিষয়ের সাথে তুলনা করে(যেমন
১০০ স্বর্ণমূদ্রার সাথে মোহম্মদের ১০০ সাথীর
তুলনা, ১০ টি হারের সাথে ১০ জন সাহাবীর তুলনা,
১০০০০ গাভীর সাথে ১০০০০ সৈন্যের যুদ্ধে যাবার
হাস্যকর তুলনা করে) তিনি প্রমাণ করার চেষ্টা
করেছেন যে মোহম্মদ বেদ এ আছেন
(উটের রথের প্রসঙ্গ নাই বা বললাম)। কিন্তু আমি
যুক্তিতে(আমাকে আবার এক বস্তা যুক্তি ভাববেন না)
বিশ্বাসী। এইরকম উপমা নিয়ে গবেষণা করলে
আমার তো মনে হয় বেদ এ আমাকে খুঁজে
পাওয়াও অসম্ভব হবে না(ভগবান ক্ষমা করুন)!!! তাই
উপমাগুলো বাদ দিলে মন্ত্রের মধ্যে একটাই
নির্ভরযোগ্য শব্দ পাওয়া যায় যেটা কেবল অর্থগত
সাদৃশ্যের দিক থেকে মোহম্মদের নামের
সাথে মিলে যায়(জাকির নায়েকের
ব্যাখ্যা অনুযায়ী, যিনি এখানে আরবী এবং সংস্কৃত
অর্থকে এক করেছেন)।
সেই শব্দটি হল 'নরাশংস'। 'নরাশংস' শব্দ 'নর' এবং
'আশংস'
এই দুই শব্দের সমন্বয়ে গঠিত । নরের অর্থ মানুষ
এবং আশংস শব্দের অর্থ প্রশংসিত (জাকির নায়েকের
ব্যাখ্যা অনুযায়ী) ।
মানে নরাশংস শব্দের অর্থ হল
যিনি প্রশংসিত(জাকির নায়েকের
ব্যাখ্যা অনুযায়ী)। আরবি মোহম্মদ নামের অর্থও
নাকি যিনি প্রশংসিত। দুই অর্থ যেহেতু এক, তাই মুহম্মদ
নাকি বেদ এ আছেন।
তাহলে এই অর্থের সাদৃশ্যের
ভিত্তিতে মোহম্মদকে বেদ এ অন্তর্ভুক্ত করার
চেষ্টা করেছেন জাকির নায়েক।
.
এদিকে কংগ্রেসও নাকি জাকির নায়েকের দাবির সূত্র
ধরে দাবী তুলেছে বেদ এ সোনিয়া গান্ধীর
নামও উল্লেখ আছে(ভগবান ক্ষমা করুন)!!
.
কারণ বেদ এ “সুবর্ণা” শব্দটি আছে যার অর্থ
সোনা, আবার সোনিয়া শব্দের অর্থও সোনা!!
জাকির নায়েকের দাবিকে মেনে নিলে
কংগ্রেসের দাবি কি দোষ করল? এটা কি একটা
হাস্যকর
পরিস্থিতি নয়? .
আপনারা কেউ আবার নিজেকে বেদ
এ কেবল নামের অর্থের সাদৃশ্যের ভিত্তিতে
নিজের নাম খুঁজতে যাইয়েন না।
.
৩। 'বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম' এই আরবি বাক্যের অর্থ,
সকল প্রশংসা আল্লার জন্য। আবার 'দয়ানন্দ কি জয়' এই
বাক্যের
মানেও সকল প্রশংসা দয়ানন্দের জন্য। যেহেতু ২
টি বাক্যের একই মানে, তাই জাকির নায়েকের ঐ
“উপমা তত্বের” ভিত্তিতে আমিও
কি দাবী করতে পারি না 'বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম' এই
কথা বলতে কোরানে আসলে দয়ানন্দ নামক
কোনো ব্যক্তির ভবিষ্যতবাণী করা হয়েছে???
**কতোটা বিশ্বাসযোগ্য হবে আমার দাবী?
তাহলে জাকির নায়েকের দাবীই
বা কতোটা বিশ্বাসযোগ্য?
.
৪। এখন আসি আসল কথায়। জাকির নায়েক নবীকে
হিন্দুদের অবতার বানানোর চেষ্টা করলেন, মানে
তিনি হিন্দুদের অবতারবাদে বিশ্বাস করলেন, মানে
তিনি কূর্ম অবতার, বুদ্ধ অবতার, বরাহ
অবতার প্রভৃতিকে মেনে নিলেন, কারণ এগুলো
অবতারের পরেই না কল্কি অবতারের আগমন।
অবতারবাদকে মেনে নিলেন বিধায়
তিনি ভাগবত গীতায় বিশ্বাস করলেন।
ভাগবতগীতায় বিশ্বাস করলেন বিধায় তিনি
জন্মান্তরবাদকেও মেনে নিলেন,
কারণ ভাগবত গীতায়:-- “অবতারবাদ” এবং “জন্মান্তরবাদ”
সমান গুরুত্ব পেয়েছে।
জাকির নায়েক তাহলে জন্মান্তরবাদেও বিশ্বাস করে
ফেললেন! ইসলাম বিরোধী এইসব কাজ করে
ইসলামের সম্মান
কি তিনি বৃদ্ধি করলেন? আর তাকে নিয়েই ওনার
ভক্তদের কি উল্লাস!!
.
৫। এখন ইসলাম নিয়ে কিছু কথা। ইসলামের মূলনীতি
হল “আল্লা ছাড়া উপাস্য নেই এবং মুহম্মদ তার রাসূল”
এই কথায় যে বিশ্বাস
করবে সেই কেবল মুসলিম, নইলে সে নয়।
ইসলামে গরু কিংবা উট কোরবাণী দেওয়ার বিধান
আছে।
ইসলামে অবিশ্বাসীদেরকে হত্যা করার বিধান
আছে। এইগুলোর কোনটাই কি সনাতন ধর্মের
সাথে মেলে????
.
আমাদের কোনো অবতার কি নতুন কোনো
ধর্মমতের প্রচার করেছেন?? .
পুরোনো সব
নিয়মকে একেবারে নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন?
গো-মাংস আহারে উতসাহিত করেছেন (ভগবান ক্ষমা
করুন)!!
কেউ কি স্রোতের সম্পূর্ণ বিপরীতে
হেটেছেন, অথচ মুহম্মদ সনাতন ধর্মের
আদর্শগত প্রাগৈতিহাসিক
স্রোতের সম্পূর্ণ বিপরীত দিকে হেটেছেন!!
.
এখন প্রশ্ন হচ্ছে:----
ক) সনাতন ধর্মে কোনো অবতার মত প্রকাশের
স্বাধীনতা হরণ করেছেন?
খ) নাস্তিককে কতল করার নির্দেষ সনাতন ধর্মের
কোনো অবতার
দিয়েছেন?
গ) সনাতন ধর্ম ত্যাগ করলে হত্যার বিধান কোনো
অবতার দিয়েছেন?
সর্বোপরি, সনাতন ধর্ম অনুযায়ী দশটি প্রধান অবতার
হচ্ছে স্বয়ং ভগবানের অবতার। তার মানে দশ
অবতারের শেষ অবতার কল্কি অবতাররুপে স্বয়ং
ভগবান অবতরণ
করবেন পৃথিবীতে। কোন সাহসে জাকির নায়েক
মুহম্মদকে কল্কি অবতার বানিয়ে দিলেন? কারণ অন্য
অবতারের মত কল্কি অবতারও স্বয়ং ভগবান, তিনি
কোনো বার্তা বাহক নন।
তাহলে জাকির নায়েকের
যুক্তি অনুযায়ী মুহম্মদ কল্কি অবতার
হলে মুহম্মদই স্বয়ং স্রষ্টা হয়ে যাচ্ছে!!! জাকির
নায়েকের এই
স্পর্ধাকে মুসলিমরা কেমনে ক্ষমা করে দিল?
.
৬। ভবিষ্য পুরাণে মুহম্মদ নামক কারও ভবিষ্যত বাণী
থাকলেও থাকতে পারে, কারণ সেখানে নাকি সম্রাট
অশোক, চন্দ্রগুপ্ত,
মাধবাচার্য প্রভৃতি ব্যক্তিবর্গের ভবিষ্যত বাণী
দেওয়া আছে। কিন্তু তাদের কারও অনুসারীগণ
তো তাদের নেতাকে নিয়ে এইরকম উদ্ভট দাবী
করে নি।
তাহলে মুহম্মদের অনুসারীদের
এতো বাড়াবাড়ি করার কোনো কারণই দেখি না।
.
৭।ভাগবত পুরাণে দশটিসহ আরও বেশ কয়েকটি
অবতারের বর্ণনা সুন্দরভাবে বর্ণনা করা আছে।
কল্কি অবতার সম্বন্ধে বলা আছে যে
“অতঃপর দুইযুগের(কলিযুগ এবং সত্যযুগের)
সন্ধিক্ষণে ভগবান কল্কি অবতার রুপে বিষ্ণুযশ নামক
ব্যক্তির পুত্র হিসেবে জন্ম গ্রহণ করবেন। ঐ
সময় পৃথিবীর প্রায় সমস্ত শাসক অধঃপতিত হয়ে
লুটেরা ও ডাকাতের পর্যায়ে নেমে যাবে।”-
(ভাগবতপুরাণ-১/৩/২৫)
এর অর্থ হল ভগবান এই কলিযুগের শেষের দিকে
“কল্কি অবতার” হিসেবে আবির্ভুত
হবেন। তিনি অসাধু লোকদের বিনাশ করে দায়িত্ব
শেষ করার পর খুব কম সংখ্যক লোক বেঁচে
থাকবে, যারা সৎ এবং ধার্মিক।
“কল্কি অবতারের পর এই পৃথিবীতে আবার সত্যযুগ
শুরু হবে।” সনাতন ধর্ম অনুযায়ী কলি যুগের
সময়কাল হল ৪,৩২,০০০ বছর। এখন কেবল ৫,০০০
বছর চলছে।তার
মানে কল্কি অবতারের জন্ম গ্রহণ
করতে এখনও অনেক দেরি!! আফসোস!!!!
.
৮।কল্কি পুরাণ ২-১৬ কল্কি অবতারের জন্মের পর
মহাস্বস্থি
তার র্নাস হিসেবে নিয়োগ হন,আম্বিকা তার নাড়ি
(Umbilical Cord)কাটেন এবং সাবিত্রি তার গঙ্গাজল
দিয়ে তার শরীর পরিষ্কার করে দেন। মুহাম্মদের
জন্মের
সময় এরা কি উপস্থিত ছিলেন? তার কি শরীর গঙ্গাজল
দিয়ে
ধোয়া হয়েছিল? কোনটাই নয়।
মুহাম্মদ কাসিম নানোত্বি,মীর্জা গুলাম
আহমদ,বাহাউল্লাহ এর মত বিশ্বখ্যাত ইসলামিক পণ্ডিতরাও
তো কোরান-হাদিসে নাকি নবী হিসেবে
শ্রীকৃষ্ণের কথা খুঁজে পেয়েছিলেন,মীর্জা
গুলাম তো বলেই বসেছিলেন, "আমি একথা
পরিস্কারভাবে বলতে চাই যে শ্রীকৃষ্ণ একজন
দূর্লভ মহাত্মা।তিনি একজন নবী যিনি ঈশ্বরের
নির্দেশে নেমে এসেছেন,তিনি ঈশ্বর থেকে
এসেছেন,তিনি ছিলেন জয়ী ও যশবান।তিনি
আর্যদের ভূমি থেকে পাপ দুর করেছেন,তাঁর
ছিল ঈশ্বরের প্রতি পূর্ণ ভালবাসা।তিনি ছিলেন সৎ এর
সহচর ও শয়তানের শত্রু।"
টাইমস অব ইণ্ডিয়া তে কাশিম রশিদ লিখেছিলেন,
“নবী মুহাম্মদ বলেছেন,ভারতে একজন আল্লাহর
নবী ছিলেন যার গায়ের রঙ ছিল কালো এবং তাঁর নাম
ছিল কাহান
(কৃষ্ণ)”
(History of Hamadan Dailmi Chapter Al- Kaaf)
এখন মুসলিমরা কি শ্রীকৃষ্ণকে নবী মানতে
প্রস্তুত??
অনেকেই হয়ত বলতে পারেন পৃথিবীতে
আরো অনেক নবী
এসেছেন হতে পারে শ্রীকৃষ্ণ তেমন কেউ
ছিলেন।এখন কথা
হচ্ছে সর্ম্পূণ মহাভারত জুড়ে কোথাও কিন্তু
শ্রীকৃষ্ণ নিজেকে নবী হিসেবে বলেন নি বরং
হিন্দু ধর্মে নবী বা প্রেরীত রসূল বলে কিছু মানা
হয় না।এমনকি শ্রীকৃষ্ণ নিজেও কোথাও বলেননি
যে তার পর অণ্য কোন ব্যক্তি আসবে ঈশ্বরের
প্রেরিত কোন মানুষ হিসেবে বরং গীতায় (৪.৭-৮)
তিনি বলেছেন ধর্ম রক্ষার জন্য এবং সাধুদের
পরিত্রানের জন্য তিনি যুগে যুগে আবির্ভূত হবেন
বা জন্ম নিবেন। এখন মুসলিমরা কি পূর্ণজন্ম ত্বত্ত
মানতে প্রস্তুত এবং শ্রীকৃষ্ণকে নবী মানতে
প্রস্তুত ?? মুসলিম পন্ডিতই কিন্তু শ্রীকৃষ্ণকে
নবী মেনেছেন এখন সমস্ত মুসলিমরা কি
মানবেন??
এখন আসা যাক সব থেকে মজার এবং হাস্যকর বিষয়
নিয়ে..
র্মীর্জা গোলাম আহমেদ সবার প্রথমে
মুহাম্মদে কল্কি পুরাণে এবং বেদে আছে বলে
দাবী করেন যেখান থেকেই জাকির নায়েক কপি
পেষ্ট করেছেন।এই র্মীর্জা গোলাম আহমেদ
আহমেদিয়া সম্প্রদায়ের প্রবক্তা যাকে কিন্তু
বেশীরভাগ
মুসলিমই কাফের বলে ঘোষনা দিয়েছেন।
আহমেদিয়া সমপ্রদায়েরা র্মীর্জা গোলাম
আহমেদকে সর্বশেষ নবী হিসেবে মানে।
এখন এই ইসলামিক পন্ডিতের কথা কি
আহমেদিয়া ব্যতিত কোন মুসলিম মেনে
নেবেন??কারন এখানেতো তাদেরই এক মুসলিম
পন্ডিত ঘোষনা করেছেন তাহলে তাদের মানতে
অসুবিধা কোথায় যদি শিরক বলে মানতে না চায় তবে
কেনইবা জাকির নায়েক বা অন্যরা সেই ব্যক্তির
লেখা বই পড়ে পুরাণ বেদে নবীর ভবিষ্যত
বাণী করা
আছে বলে দাবী করে!!অনেকে আবার বলে
যে কোথাকার
কোন হিন্দু পন্ডিত নাকি বলেছে পুরাণ বেদে
মুহাম্মদের কথা
আছে তাই হিন্দুদেরকে এটা মানা উচিত!! যদি কোন
এক হিন্দু পন্ডিতের কথাই মানতে বলেন তাহলে
তারাও কি মুহাম্মদ শেষ নবী নয় র্মীর্জা গোলাম
আহমেদ শেষ নবী এটা মেনে নেবেন কারন
এটাওতো তাদেরই পন্ডিত বলেছেন।!
এটা পরিষ্কার যে জাকির নায়েক বা অন্য কেউ তা
কোনদিনই মানবেন না বরং শিরক বলে দাবী
করবেন তাহলে ওই ব্যক্তির লেখা বই কপি পেষ্ট
কেন করছেন??
৯।আর বলা আছে তার বাবার হবে বিষ্ণুযশ যার অর্থ
সৃষ্টিকর্তার গোলাম।অপরদিকে নবী মুহাম্মদ এর
পিতার নাম আব্দুল্লাহ শব্দের অর্থও সৃষ্টিকর্তার
গোলাম!
ব্যাকরণে অতি দুর্বলতার লক্ষন হল এটি।বিষ্ণুযশ
শব্দের অর্থ "ঈশ্বরের মহিমা",সৃষ্টিকর্তার গোলাম
নয়।এছাড়া পদ্ম পুরাণ,সৃষ্টিখণ্ড (৬.২৪২.৮-১২) তে
বর্ণিত আছে
বিষ্ণুযশ প্রথমে স্বয়ম্ভু মনু(প্রথম সৃষ্ট মানুষ)
রুপে জন্ম গ্রহন করেছিলেন যিনি কঠোর
তপোস্যা করে ঈশ্বরের কাছ থেকে বর(ইচ্ছা)
প্রার্থনা করেছিলেন ঈশ্বর যেন তার পুত্র
রুপে আবির্ভুত হন। ঈশ্বর তাঁকে কথা দিয়েছিলেন
তিনি ৩ বার তাঁর পুত্র রুপে অবতীর্ণ হবেন
পরবর্তীতে দশরথ রুপে স্বয়ম্ভু মনু জন্ম গ্রহন
করেন এবং ঈশ্বর রাম রুপে তাঁর ঘরে অবতীর্ণ
হন তারপরে স্বয়ম্ভু মনু বাসুদেব রুপে জন্ম গ্রহন
করেন তখন ঈশ্বর শ্রীকৃষ্ণ রুপে তাঁর ঘরে
অবতীর্ণ
হন এবং সর্বশেষে স্বয়ম্ভু মনু কলিযুগের শেষে
বিষ্ণুযশ রুপে
জন্ম গ্রহন করবেন এবং ঈশ্বর তখন তাঁর ঘরে
অবতীর্ণ হবেন।অপরদিকে মুসলিমরা তো
জন্মান্তরবাদেই বিশ্বাসী নন!সুতরাং মুহাম্মদকে কল্কি
অবতারের সাথে মেলাতে হলে আব্দুল্লাহকেও
স্বয়ম্ভু মনুর মতই তিনবার পুনর্জন্ম নিতে
হয় যে!
১০।কল্কি পুরাণ (৩৩.২০-২৬) অনুযায়ী সর্বশক্তিমান
ঈশ্বর সমস্ত যুদ্ধ শেষ করে পৃথিবীকে পাপমুক্ত
করে যখন বিদায় নেবেন তখন তিনি হিমালয় পর্বতে
তার চতুর্ভুজ রুপ (শঙ্খ,চক্র,পদ্ম,গদা সহ চার হত সহ
রুপ)ধারনপূর্বক গভীর ধ্যানে মগ্ন হবেন।সহস্র
সূর্যের ন্যায়
আলোকজ্জল হবে তার দেহ,দেবতারা পুপষ্পবৃষ্টি
করবেন।
তার দুই স্ত্রীও এই ঘটনার স্বাক্ষী হবে।
এখন কথা হচ্ছে মুহাম্মদকে কি মুসলিমরা ঈশ্বর
হিসেবে মানে?তার কি চতুর্ভজ রুপ আছে যেরকম
বিষ্ণুর রুপের বর্ণনা বিভিন্ন পুরাণে আছে?
কোন মুসলিমরাই এই কথা
মানবে না।সুতরাংমুহাম্মদ আর কল্কি অবতারকে এক
মনে
করা বোকামী ছাড়া আর কিছুই না।
আমার ব্যক্তিগত মত হল, মুহম্মদকে (সাঃ) ইসলাম নামক
ধর্মের একজন বার্তাবাহক
এবং মুসলিম জাতির নিকট তিনি নবীরাসূল। তাঁকে
হিন্দুদের কল্কি অবতার বানাতে গিয়ে জাকির নায়েক
ইসলাম বিরোধী অনেক কাজ করেছেন এবং
অনেক
কিছুর উপর নির্ভর বা বিশ্বাস স্থাপন
করেছেন ইসলামিক দৃষ্টিতে যাকে বলা হয় “শিরক”।
আর অন্যদের
দৃষ্টিতে যা অতি হাস্যকর!!

Writer and Editor Kanchan Das

২৪টি মন্তব্য:

  1. আগে জানতাম ছাগল থাকে মাঠে, কিন্তু এখন দেখছি ইন্টারনেটেও ছাগল পাওয়া যায়।

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. ঠিকি বলেছেন আজকাল ইন্টারনেটেও এরকম অহরহ ছাগল পাওয়া যাচ্ছে

      মুছুন
  2. হা হা হা,,,,হাসি উঠলো উনার বিস্তর ব্যাখ্যা দেখে,,,,কিন্তু কি ব্যাখ্যা দিলেন এইসব??
    কোন এভিডেন্স ছাড়াও ব্যাখ্যা,,,আবার যুক্তি খন্ডন করতে গিয়ে সেখানে পাঠকদের জন্যই প্রশ্ন রেখে দেন??😜
    নিজের ভগবান নিয়েও মসকারার চলে কথা বলনে,,,,এই কেমন হিন্দু😜

    উত্তরমুছুন
  3. কুরআন ৩:৬৪ এ আছে-
    "তুমি বলঃ হে আহলে কিতাব(স্রষ্টাপ্রেরিত গ্রন্থসমূহের অনুসারীরা)! আমাদের মধ্যে ও তোমাদের মধ্যে যে বাক্যে সুসাদৃশ্য রয়েছে তার দিকে এসো, যেন আমরা আল্লাহ(স্রষ্টা) ব্যতীত কারও ইবাদাত(উপাসনা) না করি এবং তাঁর সাথে কোন অংশী স্থির না করি এবং আল্লাহকে পরিত্যাগ করে আমরা পরস্পর কেহকে রাব্ব(প্রভু) রূপে গ্রহণ না করি। অতঃপর যদি তারা ফিরে যায় তাহলে বলঃ সাক্ষী থেকো যে, আমরা মুসলিম (আল্লাহর নিকট আত্মসমপর্নকারী)।"

    এর অনুসরণেই জাকির নায়েক যা করেছেন-
    ১. হিন্দু ধর্ম ও আমাদের মধ্যে সাদৃশ্যপূর্ণ বিষয়গুলোই তুলেছেন। যেহেতু উপরোক্ত কুরআনের বাণীতে তাই করতে বলা হয়েছে। আর যেহেতু কুরআন অবিকৃত, আর অন্যান্য গ্রন্থ মানুষের হাত দ্বারা বিকৃত। তাই কুরআন কে যা সমর্থন করে তাই বিশ্বাস করা যাবে, তাই করেছেন জাকির নায়েক, এক্ষেত্রে তিনি ইসলামবিরোধী নন।
    ২. হিন্দুদের গ্রন্থ থেকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন উপাস্য এক, তার কোন প্রতিমা নেই, মূর্তিপুজা ঈশ্বরের নির্দেশ নয় ঈশ্বর অপছন্দ করেন ইত্যাদি। যেগুলোর সাথে কুরআনের মিল রয়েছে।

    কুরআন অনুযায়ী, খ্রিষ্টানদের বাইবেল আল্লাহর প্রেরিত ইনজীল কিতাব এর উপরেই মানুষ দ্বারা লিখা হয়েছে। ফলে অনেক কিছু বিকৃত হয়ে গেছে, অপব্যাখ্যা হয়ে গেছে। তবে কুরআনের সাথে যা মিলে যায়, তা অবশ্য অবিকৃত। সে সকল কথাগুলোর উপর বিশ্বাস করা মানে ক্রুসিফিকশনের উপর বিশ্বাস করে ফেলা নয়। বরং বাইবেলের সত্যকে সত্য বলা, মিথ্যাকে মিথ্যা বলা। হিন্দুদের গ্রন্থে যেহেতু কিছু কথা কুরআনের সাথে সাদৃশ্য পাওয়া যায়, আমরা ধারণা করতে পারি, এসব আল্লাহর কোন কিতাবের উপরেই লিখা হয়েছে। অতএব অবিকৃত কুরআনের সাথে যেসব কথা মিলে যাবে, তা ঈশ্বরের বাণীরূপে বিশ্বাস করতে পারি, যা মিলবেনা তা ঈশ্বরের বাণী নয়, বরং তার উপর বিশ্বাস আমরা করি না। আর কেউ কেউ ধারণা করেন যে শ্রীকৃষ্ণ, আর রামচন্দ্র আল্লাহর দূত হয়ে থাকতে পারেন। তারা এও বলেছেন যে, যদি তারা আল্লাহর নবী হয়ে থাকেন, তাহলে তারা কখনোই শিরক করতে বলেননাই (নিজেদের প্রভু দাবী বা মূর্তিপূজা করতে বলেননাই)। কারণ সকল নবীর আহবান ছিল একটাই- এক আল্লাহর (মহান স্রষ্টা) উপাসনা কর, তাকে ছাড়া কারো উপাসনা করো না, তার প্রভুত্বে অংশীস্থাপন করোনা। একথার বিপরীতে অন্য ধর্মের গ্রন্থে যা আছে, কেবল ঐ সকল কথা/মন্ত্র গুলোকেই আমরা অবিশ্বাস করি।

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. কুরআনের কোন জিনিসটা ভুল দেখা। তোদের বেদ থেকে আমি অনেকগুলো ভুল দেখাতে পারব, যেগুলো বাপের জন্মেও কেউ খণ্ডন করতে পারবে না।

      মুছুন
  4. nije to jahannami.keno anno ke o jahannam a dachen?bibek bolte kichu ache ki afnar?keno chukh thakte o andho afnara?nijer tawri bastur puja.shib er linggo puja esab kemon dhormo re bhai?

    উত্তরমুছুন
  5. শালায় কি লিখছি নিজেই জানে না

    উত্তরমুছুন
  6. শালায় কিলিখছেনিজেই জানে না

    উত্তরমুছুন
  7. মুসলিমরা বিশ্বাল করে প্রত্যেক এলাকায়/দেশে আল্লাহ ঐ এলাকার মানুষের ভাষায় নবী এবং বিধান পাঠিয়েছেন৷ এর সংখ্যা লক্ষাধিক৷ আমরা জানি ২৫+ নবীর নাম৷
    হ্যা, হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে সরাসরি কিছু তো ইসলামে নেই৷ কিম্ত নিসন্দেহে এ অঞ্চলে নবী রসুল এসেছেন৷
    কিন্তু যদি এমন হয় যে হিন্দু ধর্মের এসকল চরিত্রের কেউ আসলে নবী বা রসূল ছিলেন৷ সেটা অসম্ভব নয়, আবার নিশ্চিতও নয়৷
    যদি হয়, তবে মূল শিক্ষা কালের বিবর্তনে বিকৃত৷ তবে আপনি বলছেন যে, ইসলাম মনে করে "পূর্বের ধর্মগ্রন্থ সব সম্পূর্ণ বিকৃত" এটা আমরা মনে করি না৷ বিকৃত মানে সম্পূর্ণ পরিবর্তন তো নয়৷ কিছু সত্য থাকাই স্বাভাবিক!!

    এটা যখন আমাদের বিশ্বাস৷ তখন তো আমরা কলকি অবতারের সাথে হুবহু মিল খুজব না৷ আমরা ততটুকু মিল খুজব যতটুকু হলে বিষয়টা অগ্রায্য করা যায় না৷ ব্যাস৷


    আশা ছিল যে, হিন্দু হিসেবে আপনি তাত্তিক বিশ্লেষণে প্রমান করার চেষ্টা করবেন যে এ দাবি সত্যি নয়৷ আপনি সে চেষ্টা কমই করেছেন৷

    আর এ দাবি জাকির নায়েকের আগে অনেকেই করেছেন৷ তার মধ্য একজন হলেন ড. বেদ প্রকাশ উপাধ্যায়৷ তার লেখা বই
    "কল্কি অবতার ও মুহাম্মদ সাহেব"

    উত্তরমুছুন
  8. প্রধান ধর্মগ্রন্থ বেদ। বেদের চারটি খন্ড ঋগবেদ, সামবেদ, যযূবেদ এবং অথর্ব বেদ। এরপর উপনিষদ। এছাড়া আছে পুরানা, মনুস্রুতি, গিতা, মহাভারত ইত্যাদি। ঈশ্বর সম্পর্কে হিন্দু ধর্মে কি বলে?

    1) ঈশ্বর মাত্র একজন; দ্বিতীয় কেউ নেই।

    ছান্দগ্য উপনিষদের: অধ্যায় ০৬ অনুঃ ২ পরিঃ ০১।

    2) সবশক্তিমান ঈশ্বরের কোন বাবা মা নেই। তার কোন প্রভু নেই। তার চেয়ে বড় কউ নেই।

    শ্বেতাসত্র উপনিষদের: অধ্যায় ০৬ অনুঃ ০৯।

    3) তারা অন্ধকারে নিমজ্জিত আছে; যারা প্রাকৃতিক বন্তুর পূঁজা করে। যেমনঃ আগুন, গাছ, সাপ ইত্যাদি।

    যযুবেদ অধ্যায় ৪০ অনুঃ ০9

    4) সবশক্তিমান ঈশ্বরের মত কেউ নেই( তার কোন প্রতিমূর্তি নেই, প্রতিমা নেই, রুপক নেই, ভস্কয নেই)।

    শ্বেতাসত্র উপনিষদের: অধ্যায় ০৪ অনুঃ ১৯।

    5) সবশক্তিমান ঈশ্বরকে কেউ দেখতে পাই না।

    শ্বেতাসত্র উপনিষদের: অধ্যায় ০৪ অনুঃ ১০ পরিঃ ২০।

    6) যাদের বিচার বুদ্ধি কেড়ে নিয়েছে জাগতিক আকাঙ্খা তারাই অপদেবতার পূজা করে।

    ভগবত গীতা : অধ্যায় ০৭ অনুঃ ২০।

    7) লোকে জানে আমি কখনও জন্মাইনি ও উদ্ভূত হয়নি; আমি এই বিশ্বজগতের সবময় প্রভু

    ভগবত গীতা : অধ্যায় ১০ অনুঃ ০৩।

    8) সবশক্তিমান ঈশ্বরের কোন মূর্তি নেই।

    যযুবেদ অধ্যায়ঃ ৩২ অনুঃ ০৩

    9) তারা আরো বেশি অন্ধকারে নিমজ্জিত আছে; যারা মানুষের তৈরী বস্তুর পূঁজা করে। যেমন- মাটির পতুল, ভাস্কর্য ইত্যাদি।

    যযুবেদ অধ্যায় ৪০ অনুঃ ০9

    10.. সৃষ্টিকর্তা সুমহান

    গ্রন্থঃ ২০ খন্ডঃ ৫৮ মন্ত্রঃ ৩।

    11) সত্য একটাই; ঈশ্বর একজনই, জ্ঞানীরা ইশ্বরকে ডেকে থাকেন অনেক নামে।

    ঋগবেদের গ্রন্থঃ ০১ অনুঃ ৬৪ পরিঃ ৪৬।

    12) সবশক্তিমান ঈশ্বর নিরাকার ও পবিত্র।

    যযুবেদ অধ্যায় ৪০ অনুঃ ০৮।

    13) ঈশ্বর বাদে আর কারো উপাসনা কর না; শুধুমাত্র তার উপসনা কর যিনি সুমহান ঈশ্বর।

    ঋগবেদ গ্রন্থঃ ০৮ খন্ডঃ ০১ মন্ত্রঃ ০১।

    আর ব্রক্ষাসূত্র বলেঃ ঈশ্বর মাত্র একজনই; দ্বিতীয় কউ নেই। কেউ নেই, কউ নেই আর কেউ কখনও ছিলোও না।

    উত্তরমুছুন
  9. ইহা আমার ১ মিলিয়ন ডলার প্রশ্ন হিন্দুদের কাছে , কেন তারা মূর্তি পূজা করে ?

    অথচ , হিন্দু ধর্মে মূর্তি পূজা করা নিষিদ্ধ । ।

    হিন্দু ধর্মে পূজা নিষিদ্ধ :-
    রেফারেন্স সহ প্রমান দিলাম :-

    ১. না তাস্তে প্রাতীমা আস্থি ( রীগ বেদ ৩২ অধ্যায় ৩ নং অনুচ্ছেদ )
    অর্থাৎ ঈশ্বরের কোন প্রতি মূর্তি নেই ।

    ২. যারা নিজের বিবেক বুদ্ধি হারিয়েছে তাঁরাই মূর্তি পূজা করে ( ভগবৎ গীতা অধ্যায় ৭, অনুচ্ছেদ ২০ নম্বর ) ।
    রেফারেন্স সহ দিলাম ।

    ৩. হিন্দুরা অনেক দেব দেবির পুজা করলেও হিন্দু ধর্ম গ্রন্থ গুলোতে হিন্দুদের কেবল মাত্র এক জন ইশ্বরের উপাসনা করতে বলা হয়েছে॥

    বেদের ‘ব্রহ্ম সুত্র’ তে আছে “একম ব্রহ্মা দ্বৈত্য নাস্তি নহিনা নাস্তি কিঞ্চন” অর্থাৎ ইশ্বর এক তার মত কেউ নেই কেউ নেই সামান্যও নেই । আরও আছে “সে একজন তারই উপাসনা কর” (ঋকবেদ ২;৪৫;১৬)।
    “একম এবম অদ্বৈত্তম” অর্থাৎ সে একজন তাঁর মত আর দ্বিতীয় কেউ নেই (ঋকবেদ ১;২;৩) ।
    “এক জনেই বিশ্বের প্রভু” (ঋকবেদ ১০;১২১;৩) ।

    ৪. হিন্দু ধর্মে মুর্তি পুজা করতে নিষেধ করা হয়েছে॥
    ভগবত গীতা – অধ্যায় ৭ – স্তব ২০ - [ যাদের বোধশক্তি পার্থিব আকাঙক্ষার মাধ্যমে বিলুপ্ত হয়ে গেছে শুধু তারাই উপদেবতার নিকটে উপাসনা করে। ]

    ৫. ভগবত গীতা – অধ্যায় ১০ – স্তব ৩ -
    [ তারা হচ্ছে বস্তুবাদি লোক ,তারা উপদেবতার উপাসনা করে ,তাই তারা সত্যিকার স্রস্টার উপাসনা করে না।]

    ৬. যজুর্বেদ – অধ্যায় ৪০- অনুচ্ছেদ ৯ –
    [ অন্ধতম প্রভিশান্তি ইয়ে অশম্ভুতি মুপাস্তে – যারা অশম্ভুতির পুজা করে তারা অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। তারা অধিকতর অন্ধকারে পতিত হয় শাম মুর্তির পুজা করে । অশম্ভুতি হল – প্রাকৃতিক বস্তু যেমন- বাতাস,পানি,আগুন । শাম মুর্তি হল – মানুষের তৈরী বস্তু যেমন - চেয়ার ,টেবিল ,মূর্তি ইত্যাদি।]

    জানি , হিন্দুরা মূর্তি দিয়ে পূজা নিষিদ্ধের এইসব কথা বা রেফারেন্স কখনো মানতে চাইবে না , একটা কথা , যে জেগে জেগে ঘুমায় , তাকে ঘুম থেকে জাগানো খুব কঠিন ।

    বাংলাদেশের সরকারের উচিত বাংলাদেশের সব মূর্তি ভেঙ্গে ফেলা । এতে হিন্দুরা খুব খুশি হবে । কারন , তাদের কাজ বাংলাদেশ সরকার করে দিচ্ছে । তাই ।।

    এ প্রসঙ্গে মহান রাব্বুল আলামীন আল্লাহ সূরা নিসার ৩৬ নম্বর আয়াতে বলেছেন:-

    وَاعْبُدُوا اللَّهَ وَلَا تُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا وَبِذِي الْقُرْبَى وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينِ وَالْجَارِ ذِي الْقُرْبَى وَالْجَارِ الْجُنُبِ وَالصَّاحِبِ بِالْجَنْبِ وَابْنِ السَّبِيلِ وَمَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ مَنْ كَانَ مُخْتَالًا فَخُورًا (36)-

    Worship Allah and associate nothing with Him, and to parents do good, and to relatives, orphans, the needy, the near neighbor, the neighbor farther away, the companion at your side, the traveler, and those whom your right hands possess. Indeed, Allah does not like those who are self-deluding and boastful. ( Quran , 4 :36 )

    আর উপাসনা কর আল্লাহর, শরীক করো না তাঁর সাথে অপর কাউকে। পিতা-মাতার সাথে সৎ ও সদয় ব্যবহার কর এবং নিকটাত্নীয়, এতীম-মিসকীন, প্রতিবেশী, অসহায় মুসাফির এবং নিজের দাস-দাসীর প্রতিও। নিশ্চয়ই আল্লাহ পছন্দ করেন না দাম্ভিক-গর্বিতজনকে। (কুরআন , ৪:৩৬ )

    মহান রাব্বুল আলামীন আল্লাহ আমাদেরকে সবকিছু যুক্তির সাথে বুঝার তৌফিক দান করুক যাতে আমরা শিরক না করি ।। আমীন ।

    নারায়ে তাকবীর
    আল্লাহু আকবর ।।

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. তোমারা কোন গোয়ালের ছাগল।।।

      মুছুন
    2. ১. না তাস্তে প্রতিমা অস্তি মানে ঈশ্বরের কোনো প্রতিমূর্তি নেই।
      জবাবঃ
      না তাস্তে প্রতিমা অস্তি এটা কোনো সম্পূর্ণ শ্লোক নয়। নিজেদের ভন্ডামির সুবিধার্থেই তারা সম্পূর্ণ শ্লোক না দিয়ে আংশিক শ্লোক দিয়ে থাকে। সম্পূর্ণ শ্লোকটি হলোঃ
      ন তস্য প্রতিমা অস্তি যস্য নাম মহদযশঃ ৷
      হিরণ্যগর্ভ ইত্যেষ মা মা হিংসীদিত্যেষ যস্মান্ন জাত ইত্যেষঃ৷৷
      [ শুক্ল-যজুর্বেদ ৩২৷৩ ]
      অর্থঃতাঁহার তুলনা বা সাদৃশ্য নাই যাঁহার নামে মহৎ যশ। আপনারা একটু লক্ষ্য করলেই বুঝতে পারবেন এখানে প্রতিমা অর্থ মূর্তি হলে কোনোভাবেই অর্থ মিলে না। কারণ মহৎ যশ থাকার সঙ্গে মূর্তি না থাকার কোনো সম্পর্কই নেই। উল্টো আমরা দেখতে পাবো, পৃথিবীতে যারা মহৎ যশ সম্পন্ন ও শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি, যুগে যুগে তাদেরই বিগ্রহ বা প্রতিমূর্তি নির্মাণ করা হয়েছে।
      এখানে প্রতিমা অর্থ হলো তুলনা, মানে ঈশ্বরের তুলনা নেই। যেমন আমরা বলি মাতৃপ্রতিম, মানে মাতৃতুল্য। সংস্কৃত প্রতিমা আর বাংলা প্রতিমা এক নয়।
      ২. যজুর্বেদ অধ্যায় ৪০ মন্ত্র ৯ এ বলা হয়েছে যারা প্রাকৃতিক বস্তুর পুজা করে তারা অন্ধকারে প্রবেশ করে, আরো অন্ধকারে প্রবেশ করে যারা শামবস্তু বা মূর্তির পুজা করে।
      জবাবঃ
      নিজেদের মিথ্যাচার ধরা পড়ে যাবার ভয়ে তারা ১০ ও ১১ নং মন্ত্র এরিয়ে যায়। আসলে সেখানে সম্ভূতি ও অসম্ভূতি নামে দুটো শব্দ আছে। জাকির নায়েকের অনুসারীরা সম্ভুতি এর অর্থ করে মূর্তি বা জড় জিনিসের পূজা আর অসম্ভূতি অর্থ করে প্রকৃতিপূজা। কিন্তু এটা তাদের ধারাবাহিক মিথ্যাচারেরই একটা অংশ। আসলে সম্ভূতি অর্থ সৃষ্টি এবং অসম্ভূতি অর্থ বিনাশ। যেমন আমরা বলি সজ্ঞানসম্ভূত মানে সজ্ঞানে সৃষ্ট। ৯ নং মন্ত্রে বলা হয়েছে, যারা কেবলমাত্র সম্ভূতি বা অসম্ভূতির উপাসনা করে, তারা অন্ধকারে লিপ্ত। ১০ নং মন্ত্রে বলা হয়েছে, এর কারণ এই দুইরকম উপাসনার ফল দুরকম। ১১ নং মন্ত্রে বলা হয়েছে, সম্ভূতি ও বিনাশ (অসম্ভূতি) কে যারা সমন্বয় করতে পারে, তারাই বিনাশ (অসম্ভূতি) দ্বারা মৃত্যুকে তরণ করে সম্ভূতির দ্বারা অমৃতকে লাভ করে। এবার যদি আমরা তাদের দেওয়া অনুবাদ অর্থাৎ সম্ভূতি মানে মূর্তিপুজাও ধরি, তবুও ১১ নং মন্ত্রে সম্ভূতি বা মূর্তিপুজা করতেই বলা হয়েছে।
      ৩. গীতা অধ্যায় ৭ অনুচ্ছেদ ২০ এ বলা হয়েছে যারা নিজেদের বিবেকবুদ্ধি হারিয়েছে, তারাই নাকি মূর্তিপুজা করে।
      জবাবঃ
      মূল মন্ত্রটি হলো জড় কামনা-বাসনার দ্বারা যাদের জ্ঞান অপহৃত হয়েছে, তারা অন্য দেব-দেবীর শরণাগত হয় এবং তাদের স্বীয় স্বভাব অনুসারে বিশেষ নিয়ম পালন করে দেবতাদের উপাসনা করে। লক্ষ্য করি, এখানে মূর্তিপুজার কোনো কথাই নেই, আছে দেবোপসনার কথা যেটাকে জাকির নায়েকের অনুসারীরা মূর্তিপুজা বানিয়ে ফেলেছে। আমরা জানি, গীতা হলো শ্রীকৃষ্ণের বাণী। আর একমাত্র শ্রীকৃষ্ণই ঈশ্বরের পূর্ণ অবতার, অন্যান্য দেবদেবী হলেন আংশিক অবতার। তাই শ্রীকৃষ্ণ মানুষকে অন্য দেবদেবীর উপাসনা না করে তারই উপাসনা করতে বলেছেন। তাই হিন্দুদের মধ্যে ইস্কন সম্প্রদায়কে দেখা যায়, যারা শুধুমাত্র শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা করে। আর যারা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা করেন, তারাও কিন্তু মূর্তিপুজাই করেন। কিন্তু এই দেবোপসনা যে বৃথা নয়, তা ২১ ও ২২ নং মন্ত্রেই আছে। জাকির নায়েকের অনুসারীরা ইচ্ছা করেই পরের মন্ত্রগুলো বাদ দেয় যেন তাদের মিথ্যাচার ধরা না পড়ে।
      আসুন গীতা ৭ম অধ্যায় অনুচ্ছেদ ২০,২১ ও ২২ এ কি বলা হয়েছে দেখে নিই।

      কামৈস্তৈস্তৈর্হৃতজ্ঞানাঃ প্রপদ্যন্তেহন্যদেবতাঃ।
      তং তং নিয়মমাস্থায় প্রকৃত্যা নিয়তাঃ স্বয়া।।২০।।
      অনুবাদঃ জড় কামনা-বাসনার দ্বারা যাদের জ্ঞান অপহৃত হয়েছে, তারা অন্য দেব-দেবীর শরণাগত হয় এবং তাদের স্বীয় স্বভাব অনুসারে বিশেষ নিয়ম পালন করে দেবতাদের উপাসনা করে।

      যো যো যাং তনুং ভক্তঃ শ্রদ্ধয়ার্চিতুমিচ্ছতি।
      তস্য তস্যাচলাং শ্রদ্ধাং তামেব বিদধাম্যহম্।।২১।।
      অনুবাদঃ পরমাত্মরূপে আমি সকলের হৃদয়ে বিরাজ করি। যখনই কেউ দেবতাদের পূজা করতে ইচ্ছা করে, তখনই আমি সেই সেই ভক্তের তাতেই অচলা শ্রদ্ধা বিধান করি।

      স তয়া শ্রদ্ধয়া যুক্তস্তস্যারাধনমীহতে।
      লভতে চ ততঃ কামান্ময়ৈব বিহিতান্ হি তান্।।২২।।
      অনুবাদঃ সেই ব্যক্তি শ্রদ্ধাযুক্ত হয়ে সেই দেবতার আরাধনা করেন এবং সেই দেবতার কাছ থেকেই আমারই দ্বারা বিহিত কাম্য বস্তু অবশ্যই লাভ করেন।

      মুছুন
    3. ৪. আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মিথ্যাচার হলো গীতা অধ্যায় ১০ স্তব ৩
      [ তারা হচ্ছে বস্তুবাদি লোক ,তারা উপদেবতার উপাসনাকরে ,তাই তারা সত্যিকার স্রস্টার উপাসনা করে না।]
      জবাবঃ
      আমরা দেখবো আসলে গীতা অধ্যায় ১০ স্তব ৩ এ কি বলা হয়েছে
      যো মামজমনাদিং চ বেত্তি লোকমহেশ্বরম্।
      অসংমূঢ়ঃ স মর্ত্যেষু সর্বপাপৈঃ প্রমুচ্যতে।।৩।।
      অনুবাদঃ যিনি আমাকে জন্মরহিত, অনাদি ও সমস্ত গ্রহলোকের মহেশ্বর বলে জানেন, তিনিই কেবল মানুষদের মধ্যে মোহশূন্য হয়ে সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হন।

      ৫. ভূয়া, বানোয়াট তথ্যঃ
      বেদের ব্রহ্ম সুত্র তে আছে “একম ব্রহ্মা দ্বৈত্য নাস্তি নহিনা নাস্তি কিঞ্চন” অর্থাৎ ইশ্বর এক তার মত কেউ নেই কেউ নেই সামান্যও নেই ।
      জবাবঃ
      ব্রহ্ম সুত্র বেদের নয়।ব্রহ্ম সুত্র উপনিষদ দর্শনের ব্যাখ্যা।

      ৬. ভূয়া,মিথ্যা তথ্যঃ
      “সে একজন তারই উপাসনা কর” (ঋকবেদ২ঃ৪৫ঃ১৬)
      জবাবঃ
      ঋগ্বেদের ২য় মন্ডলে আছেই ৪৩টা সূক্ত।সেখানে ৪৫সূক্তেরসূক্তের ১৬নং ঋক কোথা থেকে আসলো??

      ৭. ভূয়া ব্যাখ্যাঃ
      “একম এবম অদ্বৈত্তম” অর্থাৎ সে একজন তাঁর মত আর দ্বিতীয় কেউ নেই (ঋকবেদ১ঃ২ঃ৩) ।
      জবাবঃ
      ঋগ্বেদের ১ম মন্ডলের ২য় সূক্তের ৩য় ঋকে গিয়ে পাওয়া গেলো এই মন্ত্রটি,

      ঋষি,মধুচ্ছন্দা।ছন্দ,গায়েত্রী।
      বয়ো তব প্রপৃঞ্চতী ধেনা জিগাতী দাশুষে।উরুচী সোমপীতয়ে।।(ঋগ্বেদ ১/২/৩)��
      অর্থঃ
      হে বায়ু, তোমার সোমগুণ প্রকাশক বাক্য সোম পানর্থে হব্যদাতা যজমানের নিকট আসছে,অনেকের নিকট আসছে।
      *সোমরস-এক ধরণের লতার রস,যা ঘৃতের মত দেবতাদের নিকট প্রিয় পানীয়।

      ৮. মিথ্যা তথ্যঃ
      “এক জনেই বিশ্বের প্রভু” (ঋকবেদ১০ঃ১২১ঃ৩) ।জবাবঃ
      ঋগ্বেদের ১০ম মন্ডলের ১২১সূক্তের ৩য় ঋকে গিয়ে পাওয়া যায় এই মন্ত্রটি,

      ঋষি-হিরণ্যগর্ভ। ছন্দ-ত্রিষ্টুপ্।
      যঃ প্রাণতো নিমিষতো মহিত্বৈক ইদ্রজা জগতো বভূব।
      য ঈশে অস্য দ্বিপদশ্চতুষ্পদঃ কস্মৈ দেবায় হবিষা বিধেম।।(ঋগ্বেদ,১০/১২১/৩)��
      অর্থঃ
      যিনি নিজ মহিমা দ্বারা যাবতীয় দর্শননেন্দ্রিয়সম্পন্ন গতিশক্তিযুক্ত জীবদের অদ্বিতীয় রাজা হয়েছেন,যিনি এ সকল দ্বিপদ চতুষ্পদের প্রভু।আমরা উপসনায় কি নৈবেদ্য দেবো?

      মুছুন
    4. দেখুন এখানে তুলসীরামের অনুবাদ দেওয়া হলো
      ৩২ঃ৩
      Na tasya pratimåíasti yasya nåma mahadya‹a¨.
      ☢️
      There is none and nothing like Him, no picture,
      no icon, no simile, no metaphor. Great is His Name,
      mighty His glory. “
      ⬇️
      ৪০ঃ৮
      Sa paryagåcchukramakåyamavraƒam asnåvi-
      ra|m ‹uddhamapåpaviddham. Kavirman∂¶∂
      paribhμu¨ svayambhμuryåthåtathyatoíarthån
      vyadadhåcchå‹vat∂bhya¨ samåbhya¨
      ☢️
      The Supreme Soul is omnipresent, omnipotent,
      without body, without any flaw, without sinews, pure,
      sinless, visionary poetic creator and omniscient, existent
      in the heart and mind of all, transcendent, self-existent,
      who for the infinite ages of eternity creates, organises,
      reveals and sustains all the forms of existence as they
      are and ought to be.
      ⬇️
      40:9
      Andha≈ tama¨ pra vi‹anti yeísambhμutim-
      upåsate. Tato bhμuya iva te tamo yaíu
      sambhμutyå|m ratå¨
      ☢️
      Down into the darkest dark do they fall who
      worship only the primordial prakriti. Still deeper and
      darker do they fall who worship only the existential
      forms and are lost therein.
      সুতরাং নিজের মনগড়া ব্যখ্যা রাখুন এটি পিডিএফ বই থেকে কপি করা।আর মুসলিমরা কোনো মিথ্যাচার করে না

      মুছুন
  10. উপরের উক্তি গুলো সম্পূর্ণ সত্য।

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. দেখুন এখানে তুলসীরামের অনুবাদ দেওয়া হলো
      ৩২ঃ৩
      Na tasya pratimåíasti yasya nåma mahadya‹a¨.
      ☢️
      There is none and nothing like Him, no picture,
      no icon, no simile, no metaphor. Great is His Name,
      mighty His glory. “
      ⬇️
      ৪০ঃ৮
      Sa paryagåcchukramakåyamavraƒam asnåvi-
      ra|m ‹uddhamapåpaviddham. Kavirman∂¶∂
      paribhμu¨ svayambhμuryåthåtathyatoíarthån
      vyadadhåcchå‹vat∂bhya¨ samåbhya¨
      ☢️
      The Supreme Soul is omnipresent, omnipotent,
      without body, without any flaw, without sinews, pure,
      sinless, visionary poetic creator and omniscient, existent
      in the heart and mind of all, transcendent, self-existent,
      who for the infinite ages of eternity creates, organises,
      reveals and sustains all the forms of existence as they
      are and ought to be.
      ⬇️
      40:9
      Andha≈ tama¨ pra vi‹anti yeísambhμutim-
      upåsate. Tato bhμuya iva te tamo yaíu
      sambhμutyå|m ratå¨
      ☢️
      Down into the darkest dark do they fall who
      worship only the primordial prakriti. Still deeper and
      darker do they fall who worship only the existential
      forms and are lost therein.তাই ওর ব্যখ্যা ভুল

      মুছুন
    2. ১০ আর ১১ নং মন্ত্র বাদ দিয়ে আবার সেই ৯ নং মন্ত্রের রেফারেন্স কেন? এবার দেখব ১০ আর ১১ নং মন্ত্রে কি বলা হয়েছে, এই ১০ আর ১১ নং মন্ত্র তুলসীরামের অনুবাদ থেকেই দেওয়া হলঃ

      10. Different is the result the say, from primordial prakriti, and different is the result, they say from extensial forms. This have we heard from the wise who revealed it to us.

      11. One who knows the immortal/constant primordial prakriti and the mortal/mutable existential and knows that Supreme Spirit is along with both, masters the fact of death by the mortal and realizes the immortal by the primordial.

      তাহলে বুঝা গেল, কেবল primordial prakriti বা কেবল existential form এর worship বা পূজা করা অন্ধকারে প্রবেশের কারণ। কিন্তু ১১ নং মন্ত্র বলছে, যে জানে Supreme Spirit এই দুটো (primordial prakriti ও existential form) দুটোর সাথেই আছে, সে existential form দ্বারা মৃত্যু/death কে ত্বরণ করে primordial prakriti দ্বারা অমৃতকে লাভ করে।

      আমার ব্যাখ্যা ঠিকই আছে কিন্তু আপনার মতো ভন্ড বাটপার থার্ড ক্লাস চিটার বাটপাররা তুলসীরাম হোক বা যার অনুবাদই হোক, ১০ ও ১১ নং মন্ত্র গোপন রেখে শুধু ৯ নং মন্ত্রের রেফারেন্স দেয়। কিন্তু তুলসীরামের অনুবাদ থেকেই প্রমাণ করলাম, ১০ আর ১১ নং মন্ত্র দেখলেই আপনাদের ভন্ডামি ধরা পড়ে যাবে।

      মুছুন
  11. কি রে ভাই কোথাকার গাজা খাস????

    উত্তরমুছুন

শৌচকার্য করার পর কি করা উচিত??

✅প্রশ্ন---- হিন্দু ধর্মে শৌচকার্য করার অাগে ও পরে কি কি করতে হবে এই ব্যপারে কোন গাইড লাইন অাছে কি না? _____________________________________...