রবিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৭

চরিত্রাহীনা নারী সম্পর্কে সনাতন শাস্ত্রের বিধান

অাজকাল অনেক ব্যক্তিকে দেখা যায় সনাতন ধর্মের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে।

হ্যা সনাতন ধর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার অধিকার সকল মানবজাতির অাছে, হোক তিনি সনাতন,ইসলাম,বৌদ্ধ কিংবা খ্রিষ্টান।
কেননা সনাতন ধর্ম সবাইকে বলে "মানুষ হতে,এবং অপরকেও মানুষ রুপে গড়ে তুলতে "

এই লিখাটা নারী জাতিকে হেয় করার জন্য নয়, কেবল নারী জাতির মধ্যে যারা কুকর্মে লিপ্ত তাদের জন্য।

কারণ অামাদের মনে সর্বদা প্রশ্ন থাকে যে সনাতন ধর্মে কি বিবাহের পর বর-কন্যা কাউকে কেউ পরিত্যাগ করতে পারে?
কিংবা পারলে বা কেমন করে?
কিংবা কেনো পারবেনা?

প্রথমত কথা হলো অামার স্ত্রী যদি দুশ্চরিত্রা হয় তবে তাঁর সঙ্গে কি অামার সম্পর্ক রাখতে হবে নাকি সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে?

এটা সহজেই বলা যায় যে কারো স্ত্রী যদি পরকিয়া কিংবা চরিত্রাহীন হয় তবে সেই চরিত্র হীন নারীর সাথে সংসার করাটা মোটেও সম্ভব না।

যেকোন কিবেকবান মানুষের প্রশ্ন যে সনাতন ধর্ম কি এমন প্রশ্নের সমাধান দিতে পারে যে "চরিত্রাহীন নারীর সাথে কি বিচ্ছেদ হতে পারে??"

হ্যা বিবেকবান ব্যক্তি এই প্রশ্নের সমাধান সনাতন ধর্ম দিতে পারে।

দেখে নেয়া যাক সনাতন ধর্ম কি বলে এই বিষয় সম্পর্কে?

স্মৃতিশাস্ত্র পরাশর সংহিতা ১০/৩০
→জারেণ জনয়েদ্গর্ভং গতে ত্যক্তে মৃতে পতৌ।
→তাং ত্যজেদপরে রাষ্ট্রে পতিতাং পাপকারীণীম্।।

*বঙ্গানুবাদ*
"পতি বিদেশ গমন করিলে, কিংবা পতিকে পরিত্যাগ করিয়া অথবা পতির মৃত্যুর পর অন্যের সংযোগে যে রমণী গর্ভধারণ করে সেই পতিতা পাপকারিণীকে পর রাজ্যে পরিবর্জ্জন করিবে।

*ব্যাখা*
উক্ত শ্লোক দেখলে সহজে বুঝা যাচ্ছে যে যে নারী স্বামী ছেড়ে পর পুরুষের সাথে কুকর্মে লিপ্ত হয় তাঁকে এক কথায় বলা হচ্ছে পতিতা। সেই চরিত্রাহীনা নারীকে পরদেশে কিংবা অন্য স্থানে নির্বাসিত করার কথা বলা হচ্ছে।

এর ঠিক পরের শ্লোকে অর্থাৎ পরাশর সংহিতা ১০/৩১
→ব্রাহ্মণী তু যদা গচ্ছে্ৎ পরপুংসা সমন্বিতা।
→সা তু নষ্টা বিনির্দ্দিষ্টা ন তস্যাহমনং পুনঃ।।

*বঙ্গানুবাদ*
"কোন ব্রাহ্মণী(নারী) যদি পর পুরুষের সহিত চলিয়া যায়, তবে তাহাকে নষ্টা বলে, পুনর্ব্বার তাহার গৃহে প্রত্যাবর্ত্তন হইতে পারে না।"

*ব্যাখ্যা"
উক্ত শ্লোক অনুসারে দেখা যাচ্ছে --যে নারী পরপুরুষের সাথে চলে যায় তাকে বলা হচ্ছে নষ্টা। এবং তাঁকে পুনরায় বাড়িতে ঢুকতে না দেয়ার জন্য শাস্ত্র নির্দেশ দিচ্ছে।

উক্ত দুইটা শ্লোক দেখলে স্পষ্ট অনুমেয় যে চরিত্রাহীনা নারীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথায় বলা হচ্ছে। 

এবার অনেকেই বলবেন সনাতন ধর্মে বিবাহ সাত জন্মের বন্ধন।

কিন্তু অাপনাদের এও মনে রাখা উচিত যে একে অপরের প্রতি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও সম্মান থাকলে সাত জন্ম কেনো সাত হাজার জন্মের বন্ধন হতে পারে।

(ভূলক্রটি মার্জনীয়)

Writer & Editor Kanchan Das

রবিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৭

পরমেশ্বরের পা থেকে শূদ্র শ্রেণীর জন্ম নিয়ে বিভ্রান্তির জবাব

ইদানিং দেখা যায় বেশ কিছু ব্যক্তি নিজেদের সব্বোশ্রেষ্ট বলে বেড়ায়, তারা অারো বলে এনারাই সনাতন ধর্মে  অন্য সকলের থেকেও উচু। বাকীরা নিচে। কারণটা এক সেটা হলো পবিত্র বেদের একটা মন্ত্র, যদিওবা পবিত্র বেদমন্ত্রটি ঠিক কি নির্দেশ করেছে তা অামাদের জ্ঞানের পরিসীমার বাইরে। অার অামাদের পার্শ্ববর্তী মুমিনরাও মন্ত্রটাকে নিয়ে সনাতন ধর্মকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতে দ্বিধা করেনা। তাদের জ্ঞাতার্থে এটা অানতে হলো।
উক্ত মন্ত্রটা নিম্নরুপ-----
:
-----ব্রাহ্মণোহস্য মুখমাসীৎ
বাহূ রাজন্যঃ কৃতঃ।
-----ঊরূ তদস্য যদ্বৈশ্যঃ
পদ্ভ্যাং শূদ্রো অজায়ত।।
:
★অনুবাদ- ব্রহ্মপুরুষের মুখ হতে ব্রাহ্মণ, বাহু হতে ক্ষত্রিয়, ঊরু হতে বৈশ্য এবং পা থেকে শূদ্রের উৎপত্তি। :
★(ঋগ্বেদ ১০/৯০/১২)
:
:
বিচার
:
-------নিজেদের দেবসন্তান বা বীর সন্তান কল্পনা করবার আগে একটু সুস্থভাবে এবং স্বাভাবিক ভেবে দেখুন। দেহের পক্ষে চতুর্বিধ অঙ্গ সমানভাবে অপরিহার্য্য। দেহের স্বাস্থ্য এবং শক্তি ( ধী,বাহু,ধারণ,চলৎ) বড় কথা, আমাদের মাথা বড়, না পা বড়- এটি মূর্খদের ছেলেমানুষি তর্ক মাত্র।
.
আবার দেহের পক্ষে যা সত্যি, সমাজদেহের পক্ষেও তা-ই সত্যি।যে কোনও সমাজব্যবস্থা বা রাষ্ট্র ব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে চলতে হলে ধীশক্তি,বাহুশক্তি,ধারণশক্তি এবং চলৎশক্তি সমানভাবে প্রয়োজন।
.
এই চতুর্বিধ শক্তির বাস্তব প্রতিনিধিদের নাম হল ব্রহ্মণ,ক্ষত্রিয়,বৈশ্য, শূদ্র। আমার পা যদি চলৎশক্তি হারিয়ে ফেলে, সেক্ষেত্রে আমার বিশাল মস্তিষ্ক অবসাদগ্রস্ত হয়ে যাবে তখন আমার মস্তিষ্ক প্রসূত হাজারো বুদ্ধি কি-ভাবে বাস্তবায়িত হবে?
আমার দুই হাত যদি বাইরের বাধাবিপত্তি সরিয়ে দিতে না- পারে, তখন আমার মস্তিষ্কের উর্বরতা বা পায়ের সচলতা কি কাজে, কিভাবে লাগবে?
:
গুণ ও কর্মের এই বিভাগ অবশ্যম্ভাবী এবং অপরিহার্য্য।এই অনুযায়ী আমাদের চার বর্ণের অবস্থিতি। কিন্তু পরবর্তীকালে বংশানুক্রমিক জাতিভেদের প্রথার যে উৎপত্তি হল তা এই গুণকর্ম বিভাগেরই বিকৃত রূপ মাত্র।প্রত্যেক সমাজ এবং কর্ম ব্যবস্থায় গুণকর্মের এই বিভাগ শাশ্বত এবং সনাতন, তবুও জাতিভেদপ্রথা হল স্বার্থপর ধর্মব্যবসায়ী মানুষের তৈরী এবং যা নিয়ে মানুষে মানুষে চিরকাল বিবাদ হানাহানি হয়েছে এবং হবে।
:
গুণকর্মের এই বিভাগ এই বেদমন্ত্রে আমরা প্রত্যক্ষ করি, আর যারা এই মন্ত্রের মধ্যে জাতিভেদ প্রথার সূত্রপাত অবিষ্কার করেন, তারা এই মন্ত্রের অপব্যাখ্যা করেন মাত্র।
:
চরম অনুতাপের বিষয় এই যে, এই ভার্চুয়াল ফেসবুকের জগতেও কিছু কিছু হিন্দু সম্প্রদায় ভুক্ত মানুষ প্রকাশ্যে নিজেদের মধ্যে বর্ণ, সম্প্রদায়, জাত নিয়ে সারমেয়দের মত কামড়াকামড়ি করতে তৎপর, যদিও তাদের নিজেদেরও অস্তিত্ব ধ্বংসস্তূপের উপর দাঁড়িয়ে আছে,তবুও তারা কামড়াকামড়ি থেকে বিরত থাকছেনা, কারণ তার নিজেদের বৈদিক হিন্দু না মনে করে অন্য কিছু ভাবতে বেশী পছন্দ করেন।
হিন্দু ঐক্যের কথা চিন্তা করে সকল হিন্দুদের কাছে অনুরোধ এদের থেকে তফাৎ থাকুন।
:
যেখানে অামাদের অস্তিত্ব বিপন্ন সেখানে অাছি জাতপাত নিয়ে।

>>>>> Kanchan Das<<<<<

শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৭

ধর্ম পালন করতে গিয়ে সমালোচিত হবে না


সাধু সাবধান! ধর্ম পালন করতে গিয়ে সমালোচিত হবেন না। কোনটি উচিত আর কোনটি অনুচিত সেগুলো ধর্ম পালনের পূর্বে চিন্তা করুন। নিজে সতর্ক হয়ে অন্যকে সতর্ক করুন।

মাঝে মাঝে কয়েকটি বিষয়ে নিজের বিবেকের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হই ।
আমরা জানি যে অধিকাংশ হিন্দু পাড়া গুলোতে সাপ্তাহিক হরিসভার আয়োজন করা হয়। যেখানে সন্ধ্যা আরতি থেকে শুরু করে গুরুর গান, গৌর আরতি, দেহতত্ত্ব, পঞ্চতত্ত্ব, ভক্তিগীতি, শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা ও ভাগবত পাঠ সহ ভিবিন্ন ধর্মীয় বিষয়ে আলোচনা করা হয়। কিন্তু অত্যান্ত দুঃখের সাথে বলতে হয় আমি আমার নিজ এলাকা সহ বেশকিছু এলাকায় খেয়াল করি যে হরিসভার মধ্যবর্তী সময়ে মুড়ি, চানাচুর , চা, পান ইত্যাদির জল খাবারের ব্যবস্থা করে থাকে উপস্থিত ভক্ত বৃন্দদের জন্য।

উক্ত খাবার গুলো খাওয়া শেষে আবার তারা হরিসভা শুরু করে। হরিসভা বলুন আর গোবিন্দের সেবা বলুন আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো ভক্তি সহকারে গোবিন্দের সেবা করা এবং ঠাকুর ঘরে যদি অন্যান্য দেব-দেবী থাকে তাদের সাথে গুরু সেবা দেওয়া। পাশাপাশি কিছু ভক্তিমূলক গান, হরিনাম সংকীর্তন, গীতা পাঠ সহ ধর্মীয় ও ভক্তিমূলক আলোচনা করা এবং পূজার শেষ প্রসাদ নেওয়া।
.
এখন প্রশ্ন হলো মাঝখানে চা, মুড়ি, চানাচুর, এমনকি পান সিগারেট দিয়ে যে জলখাবারে পর্ব আয়োজন করা হয় তাকে কি আপনি ধর্ম পালন ব্যবস্থার নিয়ম হিসেবে স্বীকৃতি দিবেন নাকি নিয়মের বাহিরের কর্ম কান্ডে স্বীকার করবেন ??

আমাদের ধর্ম গ্রন্থ গুলোতে খাবারের উচ্ছিষ্ট বলে একটা কথা প্রায় শুনা যায়। হরিসভার মাঝখানে এইসব মুড়ি, চানাচুর, চা, পান খেয়ে একই জায়গায় বসে মৃদঙ্গ, করতাল, কাসা, জুড়ি ও হারমুনিয়াম দিয়ে হরিনাম সংকীর্তন করা ও ধর্মীয় আলোচনার মধ্যে কতটুকু শুদ্ধতা বজায় থাকে তা আপনারই ভাল বলতে পারেন।
:
পরের বিষয়টি পড়ার পর বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের কিছু নামধারী বৈষ্ণব আমাকে গালমন্দ করতে এক মিনিটও সময় নিবে না। কিন্তু তাতে কি? সঠিক নিয়মে আসার জন্য ভুলকে সবার সামনে তুলে ধরতে হবে। মহোৎসবে গোবিন্দ, জগন্নাথের ভোগের শেষে যে প্রসাদ ভক্তদের মাঝে বিতরন করা হয় তাই মহাপ্রসাদ। আচ্ছা, ধরুন অদ্য দিবসে আপনার বাড়িতে মহোৎসব, এক হাজার ভক্তের জন্য প্রসাদ তৈরি করতেছে পাঁচ থেকে ছয় জন বৈষ্ণব। আপনার হঠাৎ চোখে পড়লো কয়েকজন বৈষ্ণব মহাপ্রসাদ রান্নার চলাকালীন সময়ে মুখে পান সুপারি দিয়ে বেশ চিবাচ্ছে অথবা চা কিংবা কোল্ড ড্রিংকস খেয়ে প্রশান্তি নিচ্ছে। সত্যি করে বলুনতো বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখবেন?

নামধারী ঐসব বৈষ্ণবরা কি শুদ্ধতা ও সঠিক নিয়মকানুন মেনে মহাপ্রসাদ রান্না করতেছে ? নাকি শুধু ভোগের জন্য আলাদা করে পরিমাণ মতো তৈরি করে ভক্তদের জন্য চিরাচরিতভাবে সম্পূর্ণ শুদ্ধতা ও নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে দায়িত্ব পালন করতেছে। আমি মনে করি এসবের জন্য শুধু নামধারী
বৈষ্ণবদের দোষারপ না করে নিজদেরকে (আয়োজনকারী) সচেতন হতে হবে। তাহলেই এই সীমাবদ্ধতা থেকে কাটিয়ে উঠতে পারবো আমরা। আর তা না হলে ধর্ম পালন করতে গিয়ে এই ধরনের ভুল ত্রুটি বংশ পরম্পরাক্রম যেইভাবে চলে আসতেছে সেইভাবে ভবিষৎ প্রজন্মে চলতে থাকবে।

বুধবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৭

সনাতন ধর্মে মদ্যপান করা কি বৈধ?

বিভিন্ন নাইট ক্লাব অার পুজোর সময় মদপান করাকে কেন্দ্র করে ভিন্ন ধর্মীদের থেকে অামাদের ধুয়ো শুনতে হয়।

ধুয়ো শুনার জন্য মূলত অামরা নিজেরাই দায়ী, কারণ দেব বিগ্রহের স্থান অতি পবিত্র।
সেই পবিত্র স্থানেই অামরা মদপান করি অার অশ্লীল গানে নাচানাচি করি।
যার কারণে জেনেশুনে গালি কিংবা ধুয়ো শুনার ভাগীদার হয়ে যায়।
যা হোক সেই মদপান বা নেশাজাতীয় সনাতন ধর্ম সম্মত কিনা?
কিংবা তা অামাদের ধর্মে বৈধ কি না তা অবশ্যই অামাদের জানা দরকার।
অাসুন দেখি সেই সম্পর্কে অামাদের বৈদিক সংহিতা অার পবিত্র বেদ কি বলে?
পবিত্র ঋগবেদ ৮/২১/১৪ তে বলা হয়েছে---

(বাংলা সংস্কৃত)
নকী রেবন্তঃ সখ্যায়া বিন্দসে পীয়ন্তি তে সুরস্বঃ।
য়দা কুয়োসি নদানু সমূহস্যাদিত পিতেব হূয়সে।।

(হিন্দি সংস্কৃত)
नकी रेवन्तं सख्याय विन्दसे पीयन्ति ते सुराश्वः ।
यदा कृणोषि नदनुं समूहस्यादित्पितेव हूयसे ॥

★বঙ্গানুবাদ-তোমার নেশাকারী সঙ্গী/বন্ধু যদি সবচেয়ে বিদ্বান বা ধনীও হয় তারপরও বজ্রপাততূল্য এবং অবশ্য পরিত্যজ্য।

এখানে উক্ত মন্ত্র অনুসারে বুঝা যাচ্ছে নেশাগ্রস্থ ব্যক্তি ধনী কিংবা বিদ্ধান হলেও তাকে পরিত্যাগ করা উচিত।

-

সুতরাং মদপান নিষিদ্ধ সনাতন ধর্মে।

Writer and Editor  Kanchan Das

শৌচকার্য করার পর কি করা উচিত??

✅প্রশ্ন---- হিন্দু ধর্মে শৌচকার্য করার অাগে ও পরে কি কি করতে হবে এই ব্যপারে কোন গাইড লাইন অাছে কি না? _____________________________________...