সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৭

শ্রীমদ্ভাগবদ গীতা ১৮.৪৭-৪৮ নিয়ে অপপ্রচারের জবাব

★অপপ্রচার---- (হিন্দু ধর্ম গ্রন্থ ভবগত গীতার ১৮ অধ্যায়ের ৪৭ এবং ৪৮ নং শ্লোকর এর মধ্যে রয়েছে এর অর্থ "অন্য ধর্ম সত্য হয় , আবার নিজের ধর্মেও যদি ভুল ধরা পড়ে তবুও নিজের ধর্মই শ্রেষ্ঠ ।
আগুনের উপরে যেমন ধোয়া থাকে , নিজের ধর্ম
গ্রন্থ এর মধ্যেও ভুল থাকতে পারে । **** এ থেকেই প্রমান হয় গ্রন্থটা ঈশ্বরের নাকি মানুষের লেখা?
_________________________________________________
.
→★জবাব------- সনাতন ধর্মীয় শাস্ত্রের অর্থকে বিকৃত ভাবে উপস্থাপন করা ভিন্ন ধর্মীদের একটা স্বভাব হয়ে গেছে। সনাতন ধর্মের ভূল খুজে বেড়াচ্ছে কতিপয় কিছু লোক, এবং ভূল বের করতে তারা অাবার ভূলের অাশ্রয় নিচ্ছে। অথচ তারাই অাবার বলে "বলুন সত্য এসেছে মিথ্যা বিলুপ্ত হবে"।
→তাদের সেই বাক্যের বিপরীতে তাই অামাকেও প্রয়োগ করতে হলো পরম সনাতনের সত্যের জয়----
→সত্যমেব জয়তে নানৃতং সত্যেন পন্থা বিততো দেবযান।
→য়েনাক্রমন্তৃষ্যয়ো হ্যাপ্তকামা যত্র তত্
সত্যস্য পরমং নিধানম।।"
.
*বঙ্গানুবাদ*
-----সত্যের জয় এবং অসত্যের পরাজয়
অবশ্যম্ভাবী। সত্যের মাধ্যমে সেই
পবিত্র পথ বিস্তৃত যার দ্বারা ঋষিগন
পরমসত্যের নিকট গমন করেছেন!
[মুন্ডক উপনিষদ ৩.১.৬]
.
.
★এবার তাদের দেয়া মিথ্যাটা দেখা দরকার।
→তারা বলেছে শ্রীগীতার ১৮/৪৭-৪৮ শ্লোকে অাছে পরের ধর্ম সঠিক হলেও, যদি নিজের ধর্মে ভূল থাকে তবে নিজের ধর্ম পালন করতে হবে।
→অাবার বলেছে অাগুনের মধ্যে ধোয়া থাকতে পারে, নিজ ধর্ম গ্রন্থেও ভূল থাকতে পারে।
.
.
→এইটুকুই তাদের মিথ্যাচার।।।
.
→প্রথম অামাদের একটা জিনিস দেখতে হবে সেটা হলো তাদের দেয়া উক্ত শ্লোকে কি অাছে???
.
★শ্রীগীতা ১৮/৪৭
→श्रेयान्स्वधर्मो विगुण: परधर्मात्स्वनुष्ठितात्|
→स्वभावनियतं कर्म कुर्वन्नाप्नोति किल्बिषम् || 47
.
→*অনুবাদ*
---- স্বধর্ম দোষ-বিশিষ্ট হইলেও সম্যক্ অনুষ্ঠিত পরধর্ম অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ । স্বভাব-নির্দিষ্ট কর্ম করিয়া লোকে পাপভাগী হয় না ।
*(অনুবাদক --- গীতাশাস্ত্রী জগদীশচন্দ্র ঘোষ)*
.
★এর পরের শ্লোক (শ্রীগীতা ১৮/৪৮) নিম্মরুপ---
→सहजं कर्म कौन्तेय सदोषमपि न त्यजेत् |
→सर्वारम्भा हि दोषेण धूमेनाग्निरिवावृता: || 48
.
→*অনুবাদ*
------- হে কৌন্তেয়, স্বভাবজ কর্ম দোষযুক্ত হইলেও তাহা ত্যাগ করিতে নাই । অগ্নি যেমন ধূমদ্বারা আবৃত থাকে, তদ্রূপ কর্মমাত্রই দোষযুক্ত ।
*(অনুবাদক --- গীতাশাস্ত্রী জগদীশচন্দ্র ঘোষ)*
.
.
→উল্লেখিত শ্লোক দুটিকে বিশ্লেষন করার অাগে মিথ্যাবাদীদের মিথ্যাটা ধরিয়ে দিই।
.
১) তারা বলেছে→ আগুনের উপরে যেমন ধোয়া থাকে , নিজের ধর্ম গ্রন্থ এর মধ্যেও ভুল থাকতে পারে ।
.
→প্রকৃত পক্ষে উক্ত শ্লোক ধর্ম গ্রন্থের কোন নাম নিশানাও নেই। সবাই ওদের থেকে জবাবদিহি নিবেন যে এখানের দুইটি শ্লোকে কোথায় বলেছে নিজের ধর্ম গ্রন্থে ভূল থাকতে পারে??????
.
→এবার ব্যাখ্যা করা যাক উক্ত শ্লোকে স্বধর্ম অার পরধর্ম বলতে কি বুঝানো হয়েছে????
.
→গীতা ১৮/৪৭-৪৮ পড়ার পূর্বে অামাদের দেখতে এর অাগের শ্লোকগুলিতে কি অাছে?
→গীতা ১৮/৪১-৪৪
হে পরন্তপ, ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্রদিগের কর্মসকল ভাবজাত গুণানুসারে পৃথক্ পৃথক্ বিভক্ত হইয়াছে । ৪১
.
শম, দম, তপঃ, শৌচ, ক্ষমা, সরলতা, জ্ঞান, বিজ্ঞান ও সাত্ত্বিকী শ্রদ্ধা - এই সমস্ত ব্রাহ্মণের স্বভাবজাত কর্ম (লক্ষণ) । ৪২
.
পরাক্রম, তেজ, ধৈর্য, কার্যকুশলতা, যুদ্ধে অপরাঙ্মুখতা, দানে মুক্তহস্ততা, শাসন-ক্ষমতা, এইগুলি ক্ষত্রিয়ের স্বভাবজাত কর্ম (লক্ষণ) । ৪৩
.
কৃষি, গোরক্ষা ও বাণিজ্য বৈশ্যদিগের এবং সেবাত্মক কর্ম শূদ্রদিগের স্বভাবজাত । ৪৪
.
→উপরের শ্লোক গুলি থেকে এটা স্পষ্ট নির্ণয় করা যাচ্ছে যে ভগবান গুন ও কর্মের দ্বারা যে চতুর্বণ্য সৃষ্টি করেছেন তাদের গুনাবলী গুলি।
→অর্থাৎ যেকোন ব্যক্তির মধ্যে উল্লেখিত গুন বিদ্যমান থাকলে অামরা চিনে ফেলতে পারবো ব্যক্তিটা কোন বর্ণের।
.
→গীতা ১৮/৪৭-৪৮ শ্লোকের স্বধর্ম অার পরধর্ম বলতে চতুর্বর্ণের উক্ত কর্মগুলিকে নির্দেশ করে।
→তাই এখানে সনাতন ধর্ম, ইসলাম ধর্ম, বৌদ্ধ ধর্ম অার খ্রিষ্টান ধর্মকে টেনে অানাটা মুর্খামী ছাড়া কিছুই নয়।
.
→এবার দেখুন কেনো ভগবান বলেছে স্বধর্ম দোষযুক্ত হলেও সেটা করতে হবে কিংবা উত্তম পরধর্ম হলে সেটা কেনো করতে মানা?
.
অর্জুনকে এটা বলার অর্থ হলো অর্জুন হলো ক্ষত্রিয়। অার ক্ষত্রিয়ের ধর্ম বা কর্ম হলো যুদ্ধ করা। এবং ক্ষত্রিয় ধর্মে বা কর্মে দোষ অাছে সেটা হলো যুদ্ধ করে মানুষ মেরে ফেলা। কিন্তু সেই দোষযুক্ত কাজটি বা কর্মটি বা ধর্মটি অর্জুনকে করতে হবে। অার যদি এটা না করে তবে যুদ্ধে হেরে যাবে অার মৃত্যুবরণ করবে।
.
→একটু বর্তমান অাঙ্গিকে বিচার করুন,,, যেকােন দেশের সেনাবাহিনী সদা নিজেদের দেশরক্ষা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। কিন্তু দেশ রক্ষা করতে গেলে তাদের যুদ্ধ করতে হবে, অার যুদ্ধ করলে অবশ্যই ভিন্ন দেশের সেনাদের মারতে হবে। এই "ভিন্ন দেশের সেনা" মারাটা মানবিক ভাবে দোষ। কিন্তু সেটা কর্তব্য। কেননা ভিন্ন দেশের সেনাকে না মারলে সে অাপনার দেশের সেনাকে মেরে ফেলবে।
.
→ ক্ষত্রিয়ের যুদ্ধকর্মে বা কৃষকের কৃষিকর্মেও প্রাণিহিংসা অনিবার্য; কিন্তু এইরূপ হিংসাদিযুক্ত হইলেও তাহা ত্যাগ করিয়া অন্য বর্ণের কর্ম গ্রহণ করা কর্তব্য নয় । কেননা কর্মমাত্রই দোষযুক্ত।
.
★তাই পরিশেষে বলবো শ্রীগীতার দর্শন না বুঝে ভূল ধরতে গেলে নিজেই ভূলের গর্তে পড়ে যাবেন। তখন অার সুপথে অাসতে পারবেননা।
*সত্যমেব জয়তেঃ*
.
.
→ওঁ শান্তি শান্তি শান্তি।।।

Writer & Editor Kanchan Das

সোমবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৭

দেবী কালীকে নিয়ে মিথ্যাচারের জবাব

→ বর্তমানে কিছু অকালকুষ্মাণ্ড লোকের  অাগমনে অনলাইনে বেশ কিছু বিভ্রান্তকর লেখা পাচ্ছি। কেবল হিন্দু বিদ্ধেষী মুক্তমণা ব্লগ ছাড়াও ছাগু মার্কা অনেক ব্লগ সাইটে হিন্দু ধর্ম নিয়ে কুৎসার বিবরণ রয়েছে।
.
→তাদের নিকৃষ্ট একটি বিভ্রান্তিকর ও নোংরা মানসিকতার লেখা নিচে দিলাম---

-----হিন্দু ধর্মের মা কালী ও পাঁঠা বলীর জঘন্যতম ইতিহাস:-
কালী দেবীর কাপড় লাগেনা। সে সব সময়
উলঙ্গই থাকে, তাই কালী দিনে বের হয় না
রাতের বেলাতে বের হতে তার ভালো
লাগে।। তো কালী একদিন রাতের বেলায়
বনের মধ্যে ঘুরতে ছিলো, ঘুরতে
ঘুরতে দেখলো সকাল হয়ে যাচ্ছে, কালী এখন কি করবে?
উলঙ্গ অবস্হায় মানুষে যদি দেখে ফেলে তবেতো কালী লজ্জা পাবে।
কালী চিন্তা করলো এখন কি করা
যায়? আমাকে তো সবাই দেখে ফেলবে হঠাৎ কালী দেখতে পেলো এক যুবক ছাগলের পাল নিয়ে যাচ্ছে, কালী তখন
ছাগীর রূপ ধারন করে সেই ছাগলের পালের মধ্যে প্রবেশ করলো।
.
সেই ছাগলের পালের
মধ্যে এক পাঠা নতুন একটা ছাগী দেখে
উত্তেজিত হয়ে পাঠা কালী রূপী ছাগীর সাথেসঙ্গম করে ফেললো।
এবার ছাগী রূপী কালী ভীষন ক্ষেপে
গেলো, যে এতো বড় সাহস আমি
হলাম একজন দেবী আর আমার সাথে এই
আকাম কুকাম করলো পাঠা? সুতরাংএই
পাঠাকে প্রতিদিন আমার (কালীর) সামনে বলী দিতে হবে।
.
এভাবে কালীপূজায় পাঠা বলীর নিয়ম হয়েছে।।
সূত্রঃ- [কালিকাপুরান:অধ্যায় -১৩:
পাঠাবলী খন্ড:ভুবনময় চট্টোপাধ্যায় :
৪র্থ সংকলন ]
এটা কেমন ধর্ম? যে ধর্মের দেবতাকেপাঠায়
অাকাম কুকাম করে?
:
:
-উক্ত লেখাটি ছাপা হয়েছে এখানে→ http://www.newsforbd.net/blog/blogdetail/detail/8171/SotterBizoy/70694 

→[স্ক্রীনশট --- শেষেরটা ]
____________________________________________

---------------জবাব--------------------

→উক্ত লেখাটির জবাব দেয়ার অাগে সেকুলার সনাতনীদের উদ্দ্যেশ্যে কিছু বলতে চাই,
.
→হে সেকুলার সনাতনী, অাপনারা তো সবকিছুতেই নিরপেক্ষতা দেখান, কিন্তু সনাতন ধর্মের ব্যপারে অাপনাদের কেনো এতো নোংরামী???
→অাপনারা সনাতন ধর্মীদের যা না হয় তাই বলবেন এটাকে অাপনারা বাকঃস্বাধীনতা বলে চালিয়ে দেন। কিন্তু যখন সনাতনীরা কিছু বললেই অাপনারা রাস্তায় নামেন মিছিল করেন!
→এই থেকেই বোঝা যাচ্ছে অাপনারা এক একটা বেজন্মার বাচ্চা। কেননা অাপনি নিরপেক্ষতার বানী কেবল সনাতন ধর্মকে অাঘাত করতে ব্যবহার করেন, কিন্তু অন্য ধর্মকে নিয়ে কেউ কিছু বললেই অাপনাদের গাত্র জ্বালা করে।
.
.
→এবার উপরের দেয়া কাহিনীটার সত্যতা কতোটা তা একটু বিশ্লেষন করা দরকার।
.
→হিন্দু বিদ্ধেষীরা উক্ত কাহিনীটা বানিয়েছে তাদের স্বার্থের জন্য। কেননা তারা সনাতন ধর্মকে হেয় করতে পারলেই নিজেদের ধর্মকে শান্তি শান্তি শান্তি বলে ছিল্লাতে পারবে।
.
→উক্ত কাহিনীটা একটু ভূয়া এবং ভ্রান্ত। কেননা তারা কালিকা পুরাণের যে তথ্য দিয়েছে সেটা মিথ্যা বানোয়াট। 
.
→তারা কালিকা পুরাণের ১৩ তম অধ্যায়ের কথা বলেছে। কিন্তু ১৩তম অধ্যায়ে এরকম কাহিনীর ছিটে ফোটাও নেই।
.
→তারা অাবার পাঠাবলী খন্ডের কথা বলেছে,  কিন্তু এটাও তাদের জোচ্চোরি, কারণ কালিকা পুরাণে খন্ড নেই, কালিকা পুরাণ অধ্যায় শ্লোকে বিন্যস্ত। এবং সমগ্র কালিকা পুরাণ ৯৮টি অধ্যায়ে বিভক্ত।
.
→কালিকা পুরাণের ১৩ তম অধ্যায়ের নাম হলো ---- "ধ্যানযোগে মহাদেবের বিশ্বদর্শন"
.
→এই অধ্যায়ের মোট কথা হলো মহাদেব ধ্যানযোগে বিশ্বের যাবতীয় কর্মকান্ড দেখতেছেন।
.
→উক্ত অধ্যায়ে মোট ৫২টি শ্লোক অাছে।
.
→অকালকুষ্মাণ্ডদের দেওয়া কোন কাহিনীর কথা নেই এখানে।
.
→তাই সবার উচিত এদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানো।

.

→[সকলের অবগতির জন্য কালিকা পুরাণের ১৩নং অধ্যায়টির পুরো স্ক্রীনশট দেওয়া হলো]

Writer & Editor Kanchan Das

বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৭

সনাতন ধর্মের ধর্মগ্রন্থে কি ভিনগ্রহের প্রাণীর কথা বলা হয়েছে?

★সনাতন ধর্মে কি ভিনগ্রহে কোন প্রাণীর কথা বলা হয়েছে???
______________________________________
.
→উত্তর---- হ্যা অবশ্যই সনাতন ধর্মের শাস্ত্রে পৃথিবী ছাড়াও অন্যান্য গ্রহে যে প্রাণের অস্তিত্ব অাছে তা উল্লেখ অাছে। এরুপ অবস্থানের ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান ও সনাতন ধর্মীয় গ্রন্থ একই সূত্রে গাথা।
:
→সনাতন ধর্মীয় শাস্ত্র শ্রীমদ্ভাগবতে উল্লেখ আছে--- .
→নভো দদাতি শ্বসতাং পদং যন্নিয়মাদদঃ ।
→লোকং স্বদেহং তনুতে মহান্সপ্তভিরাববৃতম্।।
.
(ভাগবত ৩/২৯/৪৩)
.
অনুবাদ
→পরমেশ্বর ভগবানের নিয়ন্ত্রণে আকাশ অন্তরীক্ষে বিভিন্ন গ্রহদের স্থান প্রদান করে, যেইখানে অসংখ্য প্রাণী বাস করে । তাঁহার পরম নিয়ন্ত্রনে সমগ্র ব্রহ্মান্ডের বিরাট শরীর সপ্ত আবরণসহ বিস্তৃত বিশ্বব্রহ্মান্ডের আবরণের ধারণা হয় ।
.
★এ শ্লোকে বর্ণনা করা হয়েছে সমগ্র ব্রহ্মান্ডের অসংখ্য গ্রহে অসংখ্য প্রাণী বাস করে এবং বিশ্বব্রহ্মান্ডের ৭ টি আবরণ আছে। সে বিষয়টি উল্লেখ করা হইয়াছে । বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের ৭ টি আবরণ আছে । অনন্ত কোটি ব্রহ্মান্ডে অনন্ত কোটি জীব আছে, সে কথা শ্রীমদ্ভাগবত এর উক্ত শ্লোক থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।
.
.
Writer & Editor Kanchan Das

শৌচকার্য করার পর কি করা উচিত??

✅প্রশ্ন---- হিন্দু ধর্মে শৌচকার্য করার অাগে ও পরে কি কি করতে হবে এই ব্যপারে কোন গাইড লাইন অাছে কি না? _____________________________________...