বর্তমানে অনলাইনে কিছু জ্ঞানপাপীর আগমন হয়েছে তারা সনাতন ধর্মের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অপপ্রচার করে।
তাদের অন্যতম নিকৃষ্ট একটি লেখা যেখানে তারা শুরুতেই বলে দেই "হিন্দু ভাইয়েরা মন খারাপ করবেননা আমি শুধু জানতে চাই"
এই লেখাটা হলো একধরনের ভাঙ্গা ক্যাসেট এর মতো, আর ঐ সমস্ত জ্ঞানপাপীরা হলো রেডিও এর মতো, শুধু বলেই যাবে কারো কথা শুনতে চায় না।
তাই তাদের সেই লেখাটার বিরুদ্ধে লেখা অতীব জরুরী বলে মনে করি।
কেননা সবাই তো অার সত্যটাকে বের করতে চায় না।
.
আসুন তাদের অপপ্রচারের জবাবটা দিয়ে দিই----
----------------------------------------
★তাদের দাবি---
রিগবেদ অধ্যায়-৩, খন্ড-৩১, শ্লোক: ১-২ ‘‘পিতা
তার মেয়ের সাথে অশ্লীলকর্মে
লিপ্ত’’- =>এছাড়া মা- ছেলে দূষ্কর্ম,
এমন বিশ্রি বর্ণনা যেই গ্রন্থে তা কি
করে সৃষ্টিকর্তার বাণী হতে পারে?
.
★আমার জবাবঃ- তাদের এই দাবিটা পড়েই এদের দৌড় সম্পর্কে ভালো ধারণা হয়ে গেছে, কেননা ঋকবেদে অধ্যায় : খন্ড : শ্লোক -দিয়ে কোন মন্ত্র নেই,ঋগবেদে মন্ত্রগুলো সুক্ত ও মন্ডলে বিভক্ত। তবুও তাদের সেই রেফারেন্স অনুসারে ঋগ্বেদে পেলাম---
→ শাসদ্বহির্দুর্হিতুর্নপ্তাং গাদ্ধিদ্ধাঁ ঋতস্য দীধিতিং সপর্য্যন।
→পিতা যত্র দুহিতুঃ সেকমৃঞ্জন্ সং শগ্ম্যেন মনসা দধম্বে।।
(ঋগ্বেদ-- ৩/৩১/১)
.
★অনুবাদ- “ঐ আত্মহীন পিতা, যে পরিবারের ধারক(পোষক), নির্দেশ করে তার নাতি(পুত্র তুল্যা)যে তার কন্যার সন্তান এবং যজ্ঞ করার দক্ষতার উপর আস্থা রাখে, সন্মানক(তার জামাই কে)নানাবিধি উপহারের সঙ্গে, সেই পিতা বিশ্বাস করে কন্যার গর্ভধারণের উপর, নিজেকে সমর্থন করে শান্তিপূর্ণ ও খুশি মনে”
.
★ভাবার্থ- “হে মানব! যেমন একটি কন্যা পিতা হতে জন্মলাভ করে, সুতরাং এই উষা(ভোর) জন্ম নেয় সূর্য হতে, যেমন স্বামী গর্ভধারণ করাই তার স্ত্রীর, সুতরাং এই সূর্য স্থাপন করে তার বীর্য(তেজঃ) ভোরের আলোকে রশ্মি আকারে। এই উষা হল সূর্যের কন্যা তুল্য যেখান থেকে জন্ম নেই একটি পুত্র উষা লগ্নে সকালের আকারে”
.
★এটি ভোরের অপূর্ব সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য বর্ণনাকারী একটি বেদ মন্ত্র। ভোরে উদিত সূর্য রশ্মি হল এখানে “বীর্য” অর্থ্যাৎ “সূর্যের তেজ” ।এখানে সেই মূহর্ত অর্থ্যাৎ উষালগ্ন যা অপূর্ব সুন্দর তাই নারী রূপে কল্পিত সূর্যকন্যা এবং সকাল যা আলোক তেজঃ রূপি ও পুত্ররূপে কল্পিত উষার পুত্র।
(অনুবাদ- পন্ডিত সত্যকাম বিদ্যালংকার)
.
★তাদের দাবি --
শিব ৬০,০০০ বিবাহ করেছিল সে মারা
যাবার পর তার লিঙ্গকে পূজা করা হয়
একজন শিষ্টাচার হিন্দু কোন যুক্তিকতায়
তার স্ত্রীর দুধ দিয়ে শিবের
গোপন অঙ্গ ধৌত করে? এটা কি
সৃষ্টিকর্তার বৈশিষ্ট্য? এমন কুরুচিপূর্ন
আদেশ সৃষ্টিকর্তা দিতে পারেন কি?
.
★আমার জবাবঃ- এই দাবিটা কোথা থেকে পেয়েছে তার কোন সূত্র নেই, শিব ৬০হাজার বিবাহ করেছিল এটা কোন শাস্ত্রে আছে তা কিন্তু এরা উল্লেখ করেনি, করবেই বা কি করে, মিথ্যাবাদীরা কখনো সত্য লুকাতে পারে?
তবুও একটা কথা বলতেই হয় শিব পার্বতীকে বিবাহ করেছিলেন।
যেই সতী তিনিই আবার পরজন্মে পার্বতী।
.
সৌরপুরাণ ৫৮/১৪ এবং ৫৮/১৫ তে স্পষ্ট উল্লেখ আছে---
→গৃহীহেতি শিবঃ প্রাহ পার্ব্বতী পর্ব্বতেশ্বরম্।
→তদ্ধস্তে ভগবান্ শম্ভুরঙ্গুলীয়ং প্রবেশয়েৎ।। ১৪
→ইমঞ্চ কলসং হৈমমাদায় ত্বং নগোত্তম।
→যাহি গত্বা ত্বনেনৈব তামুমাং স্নাপায় ত্বরা।। ১৫
.
★বঙ্গানুবাদ- শম্ভু, পর্ব্বতেশ্বরকে কহিলেন, -- আমি পার্বতীকে গ্রহণ করিলাম। পরে দেবীর হস্তে একটি অঙ্গুরীয় প্রদান করিয়া নগোত্তমকে কহিলেন, -- আপনি এই হৈম কলস লইয়া গিয়া সত্ত্বর ইহা দ্বারা সেই উমাকে স্নান করাইয়া দিবেন।
.
★শিবলিঙ্গ→ শিবলিংঙ্গ মানে যৌনাঙ্গ যে এই কথাটি লিখেছেন সে সংস্কৃত ভাষা সম্পর্কে কোন জ্ঞান রাখেন না। শিব সংস্কৃতে शिव, Siva যার বাংলা অর্থ শুভ বা মঙ্গল আর লিংঙ্গ অর্থ প্রতিক বা চিন্হ যার সম্পুর্ন অর্থ হচ্ছে সর্বমঙ্গলময় বিশ্ববিধাতার প্রতীক। আবার ব্যাকারনে যেটা পুরুষ বোঝায় তাকে পুঃলিংঙ্গ, যেটা দ্বারা নারী বোঝায় তাকে স্ত্রীলিংঙ্গ,যেটা দ্বারা নারী পুরুষ উভয়ই হতে পারে তাকে উভয় লিংঙ্গ ও যেটা দ্বারা জর বস্তু বোঝায় তাকে ক্লীবলিংঙ্গ বলে, কোন ভাবেই এটা যৌন অঙ্গ’কে বোঝায় না, উধারনস্বরুপ চেয়ার দেখলে বুঝি এটা একটা জর বস্তু তাই এটিকে ক্লীবলিংঙ্গ বলা হয়, তেমনি ভাবে যে কালোপাথরটি (শিবলিংঙ্গ) দ্বারা আমরা শিবকে বুঝি, তাই ওটাকে আমরা শিবলিংঙ্গ বলি, ওটা শিবের প্রতিক, বাংলাদেশের প্রতিকি যেমন বাংলাদেশের পতাকা বহন করে, তেমনি শিবলিংঙ্গ শিবের প্রতিকি বহন করে,পতাকাকে স্যালুট করলে যেমন দেশকে সন্মান করা হয় তেমনি শিব লিংঙ্গের পুজা করলে শিবের পুজা করা হয়।
.
★কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের লিখা একটা কাব্য আছে "দেবতায় মনুষ্যত্ব আরোপ" সেখানে রবীন্দ্রনাথ উল্লেখ করেছেন অল্পবিদ্যধারী আধুনিক মানুষরা কিভাবে প্রাচীনা মানুষদের দর্শন ও চিন্তা ভাবনার বিপরীতে, মানুষের বিভিন্ন দোষ ও স্বভাবকে তারা দেবতাদের উপর চাপিয়ে দিয়ে, দেবতাদের তার তাদের স্বভাবের প্রতিছবি হিসাবে দেখে বা চিন্তা করে।
এরজন্য সংস্কৃত লিঙ্গ শব্দের ৩১ টি ও সংস্কৃত যোনি শব্দের ৩৪টি আলাদা আলাদা অর্থ থাকলেও কুৎসাকারীরা প্রতিক্ষেত্রে লিঙ্গ মানে পুরুষযৌনাঙ্গ ও যোনি মানে স্ত্রীযৌনাঙ্গ ধরে বসে।
যদি শিবলিঙ্গকে অর্থগত দিক দিয়ে বিবেচনা করা হয় তবে এটা "মঙ্গলের(শিব) প্রতিক(লিঙ্গ)" হবে এবং যদি সনাতন দর্শন এর দিক দিয়ে বিবেচনা করা হয় তবে এটা “লিঙ্গশরীরের প্রতিক” হবে এবং যদি এটা আধ্যাত্ম দিক দিয়ে বিবেচনা করা হয় তবে এটা "শিবশক্তির" প্রতিক হবে, তিনটি ক্ষেত্রেই শেষে সেই একই জিনিস -"লিঙ্গশরীরের" দিকে নির্দেশ দেয়।
লিঙ্গশরীর কি?
সাঙ্খ্য, বেদান্ত ও যোগ দর্শন মতে শরীর তিন প্রকার -
১.স্থুল শরীর
২.লিঙ্গ শরীর
৩.করণ শরীর
লিঙ্গশরীর হল এক কথাই সূক্ষ বা ভৌতিক দেহ। জীবদেহের মন ও বুদ্ধির কারক হল এই লিঙ্গশরীর। ইহা কার্যগত ভাবে নাড়ী ও ষটচক্র নিয়ে গঠিত। নাড়ীর মাধ্যমে শক্তি সক্রিয় থাকে এবং ছয় চক্র - মূলাধার, স্বাধিষ্ঠান, মণিপুর, অনাহত, বিশুদ্ধ ও আজ্ঞা দ্বারা সেই শক্তি নিয়ন্ত্রিত হয়। এই লিঙ্গশরীর জীবের জীবনের আধার, তাই এই লিঙ্গ শরীরটিই জীবনের প্রতিক। সাঙ্খ্য দর্শনের তত্ত্ব অনুসারে এই লিঙ্গশরীরটির সঙ্গে ২৫টি তত্ব অন্তর্ভুক্ত, যথা - পুরুষ, প্রকৃতি, বুদ্ধি, অহংকার, মন, ৫টি ইন্দ্রিয়, ৫টি কর্মেন্দ্রিয়, ৫ম তন্মাত্র, ৫ম মহাভূত। পুরাণে গিয়ে এই পুরুষ শিব নামে ও প্রকৃতি মা শক্তি নামে আখ্যায়িত হয়েছে।
.
★তারপর একটা ভুল ধারনা আছে যে এই জ্ঞানপাপীরা বলে কেবল স্ত্রী লোক নাকি শিবলিঙ্গের পূজা করে।
কিন্তু তারা জানেনা নারী পুরুষ সকলেই শিবলিঙ্গের পূজা করে। তারা জানবেই বা কি করে ঐযে প্রথমেই বলেছিনা ওরা হলো রেডিও শুধু একতরফা বলে থাকে শুনেনা।
.
★তাদের দাবি --
শিব তার নিজের ছেলে গনেশকে
চিনতে পারেনি গর্দান কেটে
ফেলেছিলেন তাহলে তিনি তার
সৃষ্টিকে কি করে চিনবেন? ভুলে
যাওয়া কি সৃষ্টিকর্তার বৈশিষ্ট্য?
.
★আমার জবাবঃ- এই প্রশ্নটা শুনে একটু রাগ হয়েছিল, কেননা একজন পিতা তার সন্তানকে চিনবেনা এটা কোন ধরনের কথা, এইসব জ্ঞানপাপীরা কি সনাতন ধর্মের শাস্ত্র পড়ে পন্ডিতগিরী করে নাকি কপি মেরে মেরে পন্ডিতগিরী করে সেটা কেবল ভগবানই জানেন।
.
★তাদের প্রশ্নের উত্তরটা দিবো কেবল একটা টপিকে, "শিব কি গণেশকে চিনতো নাকি চিনতোনা???
কে কার মস্তক চিন্ন করলো এই প্রসঙ্গে যাবোনা।
কেবল প্রমাণ করবো শিব গণেশ কে জন্মের পর থেকে চিনতো যে গণেশ তাঁর পুত্র।
.
★লিঙ্গপুরাণ, পূূর্ব্বভাগ, ১১৫তম অধ্যায়ের ১১-১৪ তম শ্লোকে উল্লেখ আছে---
"সর্বেশ্বর ভগবান ভবপুত্রকে জাতমাত্র অবলোকন করিয়া তদুদ্দেশে কর্তব্য জাত-কর্ম্মানি সংস্কার স্বয়ং করিলেন। তারপর জগদীশ্বর সুকোমল হস্তদ্বারা তনয়কে গ্রহণ করিয়া আলিঙ্গন করত মস্তকে চুম্বন করিলেন"
.
এই থেকে প্রমাণ হয়, গণেশের জন্মের পরই শ্রীশিব তাকে চিনতেন, আহারে জ্ঞানপাপীরা এখানেও তোমাদের ভওতাবাজির ইতি ঘটলো??
.
★তাদের দাবি --
দেবদাসীর ও যোগিনীর মত পতিতা
চরিত্রের সাথে ভগবান ও ব্রাহ্মনগণ কি
করে অশ্লীলকর্মে লিপ্ত হন? যদি তারা
প্রকৃতার্থে ভগবান হয়ে থাকেন?
.
★আমার জবাবঃ- এই প্রশ্নটা ততোটা গুরুত্ব বলে মনে করি না, কেননা যোগিনী কিন্তু পতিতাবৃত্তি করেছিল এরকম কোন বিখ্যাত নারী সনাতন ধর্মে ছিল না। যদি জ্ঞানপাপীরা কারো নাম নির্দিষ্ট করে বলতো তবে অবশ্যই সেটা বিশ্লেষণ করতাম।
কিন্তু তারা অন্ধকারে ঢিল মারলো।
তারপর আবার বললো ভগবান ও ব্রাহ্মণগণ কোন অশ্লীল কর্মে লিপ্ত হলো।
কিন্তু বললোনা কে করলো?
কোন ব্রাহ্মণ সেটাই তো জানলাম না, যদিওবা কোন ব্রাহ্মন করে থাকে তবে সেটা সনাতন ধর্মের কি দোষ???
ব্রাহ্মন এর কথায় কি সনাতন ধর্ম চলে???
সনাতন ধর্মতো ঈশ্বর প্রেরিত পবিত্র বেদ এবং শ্রীগীতার আলোকে চলে।
মানুষের মধ্যে যদিও কেউ খারাপ কাজ করে তবে ধর্মের দোষ দিয়ে লাভ নেই। কারণ সনাতন ধর্ম সর্বদাই মানুষকে সঠিক পথে চলতে বলে।
.
★তাদের দাবি →অশ্লীল ভঙ্গিমায় উলঙ্গ নারী, মুখে ও
দাঁতে রক্ত ও হাতে রক্তাক্ত তলোয়ার
কি করে সৃষ্টিকর্তা হতে পারে?
উদাহরন- দূর্গা।
.
★আমার জবাবঃ- এরা এতোটাই বিকৃত মস্তিষ্কের হতে পারে তা অকল্পনীয়। এদের মাথাতে সর্বদা অশ্লীলতা ঘুরাপাক খায়, সেইজন্য সবকিছুতেই অশ্লীলতা খুজে পায়।
সনাতন শাস্ত্রে দূর্গা শব্দটিকে বিশ্লেষন করা হয়েছে এভাবে---
★দৈত্যনাশার্থবচনো দকারঃ পরিকীর্তিতঃ।
★উকারো বিঘ্ননাশস্য বাচকো বেদসম্মত।।
★রেফো রোগঘ্নবচনো গশ্চ পাপঘ্নবাচকঃ।
★ভয়শত্রুঘ্নবচনশ্চাকারঃ পরিকীর্তিত।।
.
★ অর্থাৎ, ""দ" অক্ষরটি দৈত্য বিনাশ করে, উ-কার বিঘ্ন নাশ করে, রেফ রোগ নাশ করে, "গ" অক্ষরটি পাপ নাশ করে এবং অ-কার শত্রু নাশ করে। এর অর্থ, দৈত্য, বিঘ্ন, রোগ, পাপ ও শত্রুর হাত থেকে যিনি রক্ষা করেন, তিনিই দুর্গা।"
.
★অন্যদিকে শব্দকল্পদ্রুম বলেছে, "দুর্গং নাশয়তি যা নিত্যং সা দুর্গা বা প্রকীর্তিতা"। অর্থাৎ, যিনি দুর্গ নামে অসুরকে বধ করেছিলেন, তিনি সব সময় দুর্গা নামে পরিচিত।
.
★অসুরেরা মা দূর্গাকে দেখে ভয় পায়, কিন্তু এই জ্ঞানপাপীরা যদি মা দূর্গাকে দেখে যদি ভয় পায় তবে আমার কিছু করার নেই।
.
★তাদের দাবি -- কৃষ্ণা যদি সৃষ্টিকর্তা
হয় তবে সে কেন তার মামীর সাথে
অবৈধ সম্পর্ক রাখলো? তবে কি
সৃষ্টিকর্তা মানুষের সাথে এমন অবৈধ
কর্মে লিপ্ত হয় যা তার নিজেরই
আইনের বর্হিভূত?
.
★আমার জবাবঃ-
→এই জ্ঞানপাপীরা কিন্তু রেডিওর মতো সেটা প্রমাণ হয়েই যাচ্ছে।
তা না হলে দেখেন শ্রীকৃষ্ণ নাকি মামির সাথে প্রেম করেছে???
কিন্তু কোনো রেফারেন্স তো দেয়নি উল্টো পরমেশ্বরের নামে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। জাহান্নামে যাবিরে জ্ঞানপাপীরা।
.
★আমরা সকলেই এই কথাটা ভালো করেই জানি যে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ দেবকী এবং বসুদেবের সন্তান রুপে এই ধরাধামে অবতীর্ণ হন। (শ্রীমদ্ভাগবত → ১০/৩/৮)
যিনি দেবকীর ভাই তিনিই শ্রীকৃষ্ণের মামা এটাই স্বাভাবিক।
দেবকী ছিলেন দেবক এর কন্যা(ভাগবত-১০/১/৩১)
এবং কংস ছিলেন দেবকীর খুল্লতাত বা কাকাতো ভাই (ভাগবত- ১০/১/৩০)
কংসের ছিলেন দুই স্ত্রী অস্তি এবং প্রাপ্তি।
তাহলে পুরোটা ক্লিয়ার যে কংসের স্ত্রীর সাথে শ্রীকৃষ্ণের কোন সম্পর্ক নেই।
আর বাকী থাকে রাধা, রাধা সঙ্গে কংসের বিবাহ হয়নি সেটা ওপরের ব্যখ্যা থেকেই জেনেছি, কেননা রাধার সঙ্গে কংসের কোন দিন দেখায় হয়নি, যার সাথে দেখা হয়নি তার সাথে বিবাহ হবে এটা যৌক্তিক কতোটুকু সেটা আপনারাই বিবেচনা করবেন।
.
★তাদের দাবি -- কিভাবে রাম সৃষ্টিকর্তা হতে পারে কারণ সে
প্রয়োজনে খাবার খেয়েছে, ঘুম
গেছে, বিয়ে করেছে
দৈহিক তাড়নায়, রাম নিজের স্ত্রীকে
সন্দেহ করেছে এসব কি সৃষ্টিকতার কর্ম?
যদি রাম সৃষ্টিকর্তাই হন কেন তিনি
হনুমানের সাহায্য চাইবেন? তাহলে
কি সৃষ্টিকর্তার ক্ষমতার কমতি আছে?
.
★আমার জবাবঃ-
শ্রী রাম হচ্ছে ঈশ্বরের ৭ম অবতার।তিনি মানুষ রুপে পৃথিবীতে জন্মগ্রহন করেছিলেন। সুতরাং মানুষের মত কাজকর্ম রাম করেছিলেন কারন তিনি মানুষ কিন্তু ঈশ্বরের অবতার। শ্রীমদভগবত গীতার ৯:১১ তে ভগবান বলেছেনঃ আমি যখন মানুষ রুপে অবতীর্ন হই,মুর্খেরা আমাকে অবজ্ঞা করে তারা আমার পরম ভাব সম্বন্ধে অবগত হন না, এবং তারা আমাকে সর্বভূতের মহেশ্বর বলে জানে না।। অর্থাৎ ভগবান মানুষরুপে পৃথিবীতে অবতীর্ন হতে পারেন।
শ্রীরাম মানুষরুপে অবতীর্ণ হয়েছেন তাই মানুষের মতো বেচে ছিলেন এই ধরাধামে, এতে অবাক হওয়ার কোন কারণ নেই জ্ঞানপাপীগণ।
.
★শ্রীরাম কি মাতা সীতাকে সন্দেহ করেছিল??
.
★জ্ঞানপাপীরা তোমরা নিজেরাই দেখো --- বাল্মীকি রামায়ন কি বলে---
.
★पश्यतस्तां तु रामस्य समीपे हृदयप्रियाम् |
★जनवादभयाद्राज्ञो बभूव हृदयं द्विधा||६-११५-११
Valmiki Ramayana 6.115.11 পড়লে বুঝতে পারা যাচ্ছে "শ্রী রাম লক্ষ্য করলেন সীতা দেবী কে নিয়ে কিছু লোক কুত্সা রটিয়ে বেড়াচ্ছে এর জন্য সীতা দেবী মন দুঃখী"।
.
★पृथक्स्त्रीणां प्रचारेण जातिं त्वं परिशङ्कसे |
★परित्यजेमां शङ्कां तु यदि तेऽहं परीक्षिता
||(६-११६-७)
Valmiki Ramayana 6.116.7 পড়লে বুঝতে পারা যাচ্ছে "শ্রী রাম সীতা দেবী কে বুজাচ্ছেন এক অভদ্র মহিলার আচরণ দ্বারা আপনি দুঃখী হয়েন না"
.
★त्वया तु नरशार्दूल क्रोधमेवानुवर्तता |
★लघुनेव मनुष्येण स्त्रीत्वमेव पुरस्कृतम् ||
६-११६-१४
Valmiki Ramayana 6.116.14 পড়লে বুঝতে পারা যাচ্ছে "সীতা দেবী শ্রী রাম কে বুজাচ্ছেন তিনি দুর্বল ও আবেগে এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন ও
womanliness অগ্রাধিকার দিয়েছেন"
.
★चितां मे कुरु सौमित्रे व्यसनस्यास्य भेषजम् |
★मिथ्यापवादोपहता नाहं जीवितुमुत्सहे ||
६-११६-१८.
Valmiki Ramayana 6.116.18 পড়লে বুঝতে পারা যাচ্ছে "সীতা দেবী মিথ্যা দোষারোপ থেকে মুক্ত হবার জন্য লক্ষ্মণ কে আদেশ দিচ্ছে আগুনের চিতা তৈরী করার জন্য"
.
জ্ঞানপাপীরা এবার বুঝলে তো তোমাদের জ্ঞানের পরিধি কতোটুকু???
শ্রীরাম মাতা সীতাকে সন্দেহ করেনি।
.
★তাদের দাবি --
রাম হনুমানের দুই ভাইকে কেন অকারনে
খুন করলেন যেখানে রামের সাথে
তাদের কোন শত্রুতা ছিলনা?
সৃষ্টিকর্তা হয়ে অপরাধ করা কি সম্ভব?
.
★আমার জবাবঃ- রাম হনুমানের ভাইকে হত্যা করেননি। হত্যা করেছেন সুগ্রীবের ভাই বালিকে।কারণ বালি সুগ্রীবের স্ত্রীকে বন্ধি রেখেছিলো, এবং সুগ্রীবকে ধন সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করেছিল বালি। আর বালি ছিলো একজন দুরাচারী শাসক। অধার্মিকদের দন্ড প্রধানের জন্য এবং সাধুদের রক্ষার জন্য ঈশ্বর অবতার রুপে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন।
.
★তাদের দাবি --
রাবন যদি শয়তান হয়ে একদিনে
লঙ্কায় পৌঁছাতে পারে তবে রাম
সৃষ্টিকর্তা হয়ে কেন ১২ বছর লাগলো
তাও আবার হনুমানের সাহায্যে?
শয়তানের শক্তি সৃষ্টির্কতা হতে কি
করে বেশি হওয়া সম্ভব?
.
★আমার জবাবঃ- শ্রীরাম সমুদ্র পার হয়েছেন সমগ্র বানর সেনা নিয়ে। বানর সেনারা শ্রীরামকে সহায়তা করতে চেয়েছিল, অার ভগবান সর্বদা ভক্তদের অভিলাষ পূরণ করেন সেটা অার নতুন কিসের???
অার সমুদ্র পার হতে ১২ বছর লাগেনি। শ্রীরাম ১৪ বছরের জন্য বনবাসে গিয়েছিল----
★বাল্মীকি রামায়ণ-- অযোধ্যা কান্ড, ১১তম সর্গের ২৬ তম শ্লোকে কৈকয়ী দশরথকে বলেছেন " "Rama has to take refuge in the forest of Dandaka for fourteen years and let him become an ascetic wearing rags, deer skin and matted hair"
এখানে স্পষ্ট ক্লিয়ার শ্রীরামকে চৌদ্দ বছরের জন্য বনে পাঠানোর জন্য বলতেছে"।
এবং অযোধ্যা কান্ডের,১৯ তম সর্গের, ২নং শ্লোকে শ্রীরাম বলতেছেন---
★ एवम् अस्तु गमिष्यामि वनम् वस्तुम् अहम् तु अतः |
★जटा चीर धरः राज्ञः प्रतिज्ञाम् अनुपालयन् || २-१९-२
.
★Translation --- "Let it be, as you said it. I shall fulfil the king's promise, go to the forest from here to reside there, wearing braided hair and covered with a hide."
.
অর্থাৎ শ্রীরাম বনে যাওয়ার ব্যপারে না বলেননি।
.
এখানে স্পষ্ট ক্লিয়ার রাম চৌদ্দ বছরের জন্য বনে গিয়েছিল, সমুদ্র পার হতে ১৪ বছর লেগেছিল সেটা মিথ্যা কথা।
.
★তাদের দাবি --
কৃষ্ণা সৃষ্টিকর্তা হয়ে কিভাবে নারীদের
স্নানরত দৃশ্য উপভোগ করেন ও তাদের
পোষাক লুকিয়ে রেখে দেন?
.
★আমার জবাবঃ- শ্রীকৃষ্ণ কি নারীদের স্নানরত দৃশ্য উপভোগ করতে ছিলো সেটা এই লেখাটি পড়লে বুঝতে পারবেন।
.
তবুও আপনাদের জন্য কয়েকটা প্রমাণ দিচ্ছি যেটার মাধ্যমে বুঝতে সহজ হবে---
★ভাগবত:- ১০/২২/৮
"পরীক্ষিত বললেন- ভগবান শ্রীকৃষ্ণ হলেন যোগেশ্বরগণেরও ঈশ্বর, তার অজানা কোন কিছুই ছিলনা। তিনি তাদের(গোপী) মন বাসনা সফল করার জন্য বয়স্য পরিবৃত হয়ে সেই যমুনাপুলিনে আগমন করলেন। "
.
★ভাগবত:- ১০/২২/৯
"তীরে পরিত্যক্ত গোপ কন্যাদের বস্ত্রগুলি সংগ্রহ করে তিনি সহ একটি কদম বৃক্ষের ওপর আরোহন করলেন এবং তার সঙ্গী বালকেরা এই কৌতুক দেখে হাসতে লাগলো এবং তিনিও হাসতে লাগলেন এবং কুমারীদের পরিহাস করতে বলতে লাগলেন।
.
এখানে কিন্তু উপভোগ করার কোন কথায় নেই, কাপড় নিয়ে তৎক্ষনাৎ গোপীদের সেটা বলেও দিয়েছে।
.
আবার কি কারণে কাপড় গুলি নিয়েছে সেটা হলো---
★ভাগবত:- ১০/২২/১৯
"প্রিয় গোপীকাগণ তোমরা যে ব্রত গ্রহণ করেছিলে তা অত্যন্ত নিষ্টার সঙ্গে পালন করেছো তাতে কোন সন্দেহ নেই, অজ্ঞানতই তোমাদের একটা ক্রুটি ঘটে গিয়েছে, ব্রত পালনকালে জলে বিবস্ত্র হয়ে স্নান করা ভালো নয়, এতে জলের দেবতার(বরুন) প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করা হয়, তাঁর কাছে অপরাধ হয়, সুতরাং তোমরা পাপ মোচনের জন্য তার কাছে জোড়হাত মাথায় ঠেকিয়ে তাকে প্রণাম করে নিজেদের কাপড় নিয়ে যাও।"
.
এই শ্লোক অনুসারে সমগ্র মানব সমাজ একটি শিক্ষা পেলো সেটা হলো বিবস্ত্র হয়ে স্নান করা ধর্ম বিরুদ্ধ কাজ।
এখানে কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ একা ছিলেননা, ভাগবত ১০/২২/২২ অনুসারে সেখানে বয়স্যরাও ছিলেন। তাদের দেওয়া তথ্যমতে শ্রীকৃষ্ণ একাই ছিলেন।
কিন্তু পুরো ঘটনাটাই বিপরীত।
সেখানে প্রথমত শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন, দ্বিতীয়ত গোপ বালকেরা ছিলেন, তৃতীয়ত জলের দেবতা বরুনদেব ছিলেন এবং চতুর্থত ঘটনার শেষের দিকে বয়স্যরাও ছিলেন।
তাই জ্ঞানপাপীরা সাবধান হও, তা নাহলে মিথ্যাবাদী প্রমাণ হতেই থাকবে।
.
.
Writer and Editor Kanchan Das
Thanks for your pretty informatic post. Grateful. :)
উত্তরমুছুনআপনাকেও ধন্যবাদ দাদা লেখাটি পড়ার জন্য।
উত্তরমুছুনচমৎকার
উত্তরমুছুনkichu lekha copy kore post korte chai ...?
উত্তরমুছুনNamita দিদি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
উত্তরমুছুন#জয়ন্ত দাদা অবশ্যই করতে পারেন। প্রচার করুন, মিথ্যাবাদীদের মুখের ওপর ছুড়ে দিন যাতে দ্বিতীয়বার করার সাহস না থাকে।
উত্তরমুছুনজয় শ্রীকৃষ্ণ।
হিন্দু ধর্মের গোপন তথ্য । হিন্দু গ্রন্থে হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর পরিচয় ও হিন্দু সম্প্রদায়কে ইসলাম গ্রহনের নির্দেশ । যে জন্য যুগে যুগে বহু সত্য সন্ধানী শিক্ষিত হিন্দু , ইসলাম গ্রহন করেন ।
উত্তরমুছুন¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤
কল্কি অবতারের (শেষ নবীর) নামঃ
নরাশংস । আহমদ ।
পিতার নামঃ বিষ্ণুযশ ।
মাতার নামঃ সুমতি ।
জন্মস্থলঃ সম্ভল ।
জন্মতারিখঃ মাধব মাসের শুক্ল পক্ষের দ্বাদশ তারিখ ।
¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤
এবার উপরের পরিচয়টা যে হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর সেটা দেখুন ।
নাম-
সংস্কৃতেঃ নরাসংশ = অর্থঃ প্রশংসিত(বেদঋগ্বেদ ১-১৮-৯)
আরবীতেঃ মুহাম্মদ= অর্থঃ প্রশংসিত । (কুরঅন ৪৮-২৯, ৩৩-৪০)
এবং আহমদ শব্দ বেদঋগ্বেদে ৮-৬-১০ ,
ও কুরআনে ৬১-৬ ।
পিতার নামঃ
সংস্কৃতেঃ বিষ্ণুযশ=অর্থঃ প্রভুর দাশ , (শ্রীমদ্ভাগবত মহাপুরান ১-৩-২৫)
আরবীতেঃ আবদুল্লাহ = অর্থঃ প্রভুর দাশ
মাতার নামঃ
সংস্কৃতেঃ সুমতি=অর্থঃ শান্তি (কল্কি পুরান ১-৪),
আরবীতেঃ আমিনা=অর্থঃ শান্তি ।
জন্মস্থানঃ
সংস্কৃতেঃ সম্ভল=অর্থ শান্তির ঘর (শ্রীমদ্ভগবত মহাপুরান ১২-২-১৮)
আরবীতেঃ দারুল আমান=অর্থঃ শান্তির ঘর । মক্কাকে বালাদুল আমিন অর্থ শান্তির শহরও বলা হয় ।
জন্ম তারিখঃ
মাধব মাসের শুক্ল পক্ষের দ্বাদশ তারিখ জন্ম গ্রহণ করবেন । অর্থাত বৈশাখ মাসের (শুক্লপক্ষ) প্রথম অংশে ১২ তারিখে জন্ম গ্রহণ করবেন । কল্কিপুরান ১-২-১৫
বিক্রমী ক্যালেন্ডারে বৈশাখ মাসকে বসন্ত কাল বলে ।
আরবীতেঃ রবি অর্থ= বসন্ত ,আওয়াল অর্থ= প্রথম অংশ । একত্রে রবিউল আওয়াল অর্থঃ বসন্তের প্রথম অংশ ।
দ্বাদশ অর্থ ১২ ।
প্রশিদ্ধ মতানুযায়ী ১২ রবিউল আওয়ালে হযরত মুহাম্মদ সাঃ জন্ম গ্রহন করেছেন ।
¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤
এবার দেখুন ইসলাম গ্রহনের জন্য আদেশঃ
কল্কি অবতারের ২৩ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে,
" লা ইলাহা হরতি পাপম্ ইলইলাহা পরম পাদম্ ,
জন্ম বৈকুন্ঠ অপ ইনুতি ত জপি নাম মুহাম্মদ"
অর্থঃ আল্লাহ এর আশ্রয় ব্যতিত পাপ মুক্তির কোন উপায় নেই । আল্লাহর আশ্রয় প্রকৃত আশ্রয় । স্বর্গ পাওয়া . প্রভুর পরিচয় লাভ এবং ক্ষমা পেতে হলে মুহাম্মদ সাঃ কেই মানতে হবে ।
বৈকুন্ঠে জন্মলাভের আশা করলে তার আশ্রয় ব্তিত অন্য কোন উপায় নেই । এজন্য মুহাম্মদ সাঃ এর প্রদর্শিত পথে অনুসন্ধান অপরিহার্য ।
(মোটকথা ইসলামে দিক্ষিত হতে হবে । )
¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤
এবার দেখুন হিন্দু শাস্ত্রে আল্লাহ , মুহাম্মদ , রসূল শব্দ যোগে শ্লোক ।
"হোতার মিন্দ্রো হোতার মিন্দ্রো মহাসুরিন্দ্রবোঃ ,
অল্লো, জ্যেষ্টং ,
পরমং , পূর্ণং , ব্রক্ষণং অল্লাম ।
অল্লো রসূল মুহাম্মদ রকং বরস্য অল্লো-অল্লাম ।
আদাল্লং বুক মেকং অল্লা বুকংল্লান লিখাতকম । "
অর্থঃ অল্লোপণিষদ দেবতাদের রাজা আল্লাহ আদি ও সকলের বড় ইন্দ্রের গুরু । আল্লাহ পূর্ণ ব্রহ্ম , মুহাম্মদ আল্লাহর রসূল । পরম বরণীয় আল্লাহই । তাঁর অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ আর কেউ নেই । আল্লাহ অক্ষয় , অব্যয় , স্বয়ম্ভু ।
¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤
এছাড়া আরো তথ্য আছে যা সত্য সন্ধানীদেরকে ইসলাম গ্রহনের জন্য আহ্বান করে ।
পরিতাপের বিষয় হল , হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মগুরুরা এগুলো সতর্কতার সাথে লুকিয়ে রাখেন । এমন কি পাঠ করা শ্রবণ করা পর্যন্ত অনেক ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ করেছেন । যদি এগুলো সবার হাতের নাগালে হত অবিশ্যম্ভাবী ভাবে হিন্দু জাতি শুধু ইতিহাসে থাকত ।
তথ্য গুলো সংগ্রহ করেছি শ্রী রমন কুমার রায় । পিতাঃ শ্রী পরেশ কুমার রায় । বর্তমান নাম মাহফুজূর রহমান এর বই থেকে যিনি ইতিপূর্বে এক ঠাকুরের ছেলে হয়েও ঠাকুরের পদ পদতলে পিষ্ট করে কঠিন ঈমানী পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এখন একজন গর্বিত মুসলিম ।
নিশ্চয় আল্লাহর কাছে একমাত্র মনোনীত দ্বীন হচ্ছে ইসলাম । (ইমরান ১৯)
Bokchoda Sanskrit slok gulo vulval meaning kore dilei holo..R Sanatan Dharma 4000 bochorer besi purono...Tokhon baler allahr nam gondho chilona..R Lawra Muhammed 520AD te jonno hoyeche.Diye akta Chor Lawra Muhammed jamon tai likhe diyeche r tora katua ra seta Dhormo bole manis...Thu
মুছুনকল্কি অবতার আসবেন কলিযুগের শেষে। কলিযুগ শুরু হয় খ্রিস্টপূর্ব ৩১০২ সালে ও কলিযুগের মোট আয়ু ৪,৩২,০০০ বছর। অর্থাৎ কল্কির আসতে আরো ৪,২৭,০০০ বছর বাকি।
মুছুনকল্কি অবতারের পিতার নাম বিষ্ণুযশ বা বিষ্ণুইয়াশ যার অর্থ বিষ্ণুর গর্ব কিন্তু মুহাম্মদ সাঃ এর পিতার নাম আবদুল্লাহ অর্থ আল্লাহর বান্দা বা আল্লাহর দাস। এদুটোর অর্থ মিলল না।
কল্কি অবতারের মাতার নাম সুমতি অর্থ সুন্দর মন যা মুহাম্মদ সাঃ এর মাতার নাম আমিনার অর্থের সাথে মিলে না।
কল্কি অবতারের জন্মস্থান হল শম্ভুল গ্রাম যা ভারতের উত্তরপ্রদেশে অবস্থিত, শম্ভুল অর্থ শম্ভু বা শিবের নিবাস, শান্তির স্থান নয়।
কল্কি অবতার জন্মের সময় তাঁর পিতা জীবিত ছিলেন কিন্তু মুহাম্মদ সাঃ এর জন্মের ছয় মাস আগেই তাঁর পিতা মারা যান।
কল্কি অবতার ছিলেন তাঁর পিতা মাতার চতুর্থ সন্তান কিন্তু মুহাম্মদ সাঃ এর কোনো ভাইবোন ছিল না।
কল্কি অবতার তাঁর গুরু রামদেবের কাছ থেকে বেদ শিখবেন কিন্তু মুহাম্মদ সাঃ নিরক্ষর ছিলেন এবং কারো কাছ থেকে শিক্ষা লাভ করেননি।
নবী মুহাম্মদ এর প্রথম স্ত্রী খাদিজার গর্ভেই তার ৬ সন্তান হয় যার মাঝে দুই পুত্র এবং প্রথম পুত্র কাসিম ১ বছর বয়সেই মারা যায়।অপরদিকে কল্কি পুরাণ ১৩.৩৬ মতে কল্কি অবতারের সন্তান ২ টি,২ টি ই পুত্র সন্তান।তাঁদের নাম জয় এবং বিজয়। পৌরাণিক বিশ্বাস অনুযায়ী তারা অনেক বড় বীর এবং অনেক যুদ্ধে অংশ গ্রহন করবেন।
কল্কি পুরান মতে কল্কি অবতারের এর স্ত্রী দুজন যার প্রথমজনের নাম হবে পদ্মাবতী এবং তিনি"সিংহল" এর অধিবাসী যা চতুর্দিকে একটি সমুদ্রবেষ্টিত দ্বীপ।(কল্কিপুরান ৮.৩৯) অপরজনের নাম হবে রমা(৩২.৬) অপরদিকে নবী মুহম্মদের ১৩ জন স্ত্রী ছিলেন এবং তাদের সবাই আরব অঞ্চল এর অধিবাসী ছিলেন।আরব অঞ্চল বিশেষত মক্কা-মদিনা নিশ্চয় সমুদ্রবেষ্টিত কোন দ্বীপ নয়।
১/ অল্লোপনিষদ হচ্ছে উপনিষদ নামের একটা হাইস্যকর বিষয় অল্লোপনিষদের হাইস্যকর দিক হচ্ছে এতে মাত্র ১০ টি শ্লোক বৃদ্যমান। এবার আপনিই বলুন এটা কি হাইস্যকর নয়? 😁
মুছুন।
২/ অল্লোপনিষদের ৩ নং শ্লোক দেখুন- ওখানে লেখা আছে - ( অল্লোরাসুল মোহাম্মদ আকবরস্য)
*এবার এই বাক্যটার সন্ধিবিচ্ছেদ ও অর্থ বের করে দেখা যাক-
অল্লোরাসুল = আল্লাহর রাসুল,,
মোহাম্মদ + আকবরস্য = মোহাম্মদ আকবর
।
অর্থাৎ এই লাইনটার অর্থ দাড়ায়:- আল্লাহর রাসুল হচ্ছে মোহাম্মদ আকবর।
।
৩/ ২ নং পয়েন্ট থেকে বোঝা যায় যে এই উপনিষদটি সম্রাট আকবরের সময়ে লেখা এবং আকবরের গুনগান করবার জন্য এটা লেখা হয় :- এই উপনিষদটি যে মানবে সে আকবরকে রাসুল তথা নবী মনে করিবে।
।
৪/ এ ছাড়াও আরো ভূল আছে যেমন -
অল্লোপনিষদে-
সংস্কৃত ও আরবি ভাষা ভাজাল-
।
যেমন (অল্লো রাসুল) এগুলো আরবি শব্দ- (হরতি পাপহং) এগুলো সংস্কৃত-
তা মন্ত্র কি আরবি আর সংস্কৃত ভজিয়ে হয়?😂 অল্লোপনিষদের লেখক কি জানিতনা যে মন্ত্র শুধু সংস্কৃত ভাষায় হয়?
।
৫/ আল্লোপনিষদের ৬ নং শ্লোকে বলা আছে (অল্লো ঋষিনাং) অর্থ :- আল্লাহই ঋষি।
।
মুসলিম ভায়েরা আমার এইসব ভুজুং ভাজুং মন্ত্রের অর্থ না জেই হিন্দুদের বিভ্রান্ত করবার জন্য উঠে পড়ে লাগে।
।
কিন্তু দেখেনা যে এখানে আল্লাহকে ঋষি বলা হয়েছে- 😂
।
আর সনাতনধর্ম মতে ঋষি হচ্ছে মানুষ।
।
৬/ অল্লোপনিষদে ৮ নং শ্লোকে বলা আছে (ইল্লা করব ইল্লা কবর ইল্লাল্লেতি ইল্লাল্লা)
অর্থ:- আল্লাহর কবর আল্লাহর কবর আল্লাহই আল্লা।
।
* এবার আপনিই বলুন এ কেমন বাক্য?😂 প্রথমে আল্লাহকে কবর দেওয়া হলো পরে আল্লাহই আল্লা বলা হইলো।
।
৭/ অল্লোপনিষদের ৯ নং শ্লোকে বলা আছে ( অল্লোমূর্তং কুরু কুরু ফট 😁)
অর্থ:- আল্লাহর মূর্তি আছে। (বিদ্র:- কুরু কুরু ফট অর্থ আমার জানা নেই)
।
*এবার বলুন আল্লাহর মূর্তি আছে এটা আপনি মানেন?😁
।
৮/ অল্লোপনিষদের ১০ নং শ্লোকে বলা আছে (অসুর সংহারী্ অল্লোরাসূলো আকবরস্য)
অর্থ:- আল্লাহর রাসূল সম্রাট আকবর ছিলেন অসূর সংহারি।
।
।
* এবার মুসলিম ভাইকে জীজ্ঞাস করিতে হইবে যে আপনি কি মানেন আল্লাহর রাসূল বা নবী হচ্ছেন সম্রাট আকবর?
https://bn.m.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%AA%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A6%A6%E0%A7%8D#:~:text=%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%8D%E2%80%8C%20%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E2%80%8C%20%E0%A6%AC%E0%A6%BE%20%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%AA%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E2%80%8C%20%E0%A6%B9%E0%A6%B2,%E0%A6%86%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%87%20%E0%A6%88%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A6%A6%E0%A7%82%E0%A6%A4%20%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A6%BE%20%E0%A6%B9%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A5%A4
ভগবত গীতা – অধ্যায় ৭ – স্তব ২০ –যাদের বোধশক্তি পার্থিব আকাঙক্ষার মাধ্যমে বিলুপ্ত হয়ে গেছে,শুধুমাএ তারাই উপদেবতার নিকটে উপাসনা করে।
উত্তরমুছুনভগবত গীতা – অধ্যায় ১০ – স্তব ৩ –তারা হচ্ছে বস্তুবাদি লোক ,তারা উপদেবতার উপাসনা করে ,তাই তারা সত্যিকার স্রস্টার উপসনা করে না।
উপনিষদ – ছান্দোগ্য উপনিষদ – অধ্যায় ৬ – সেকসন ২ – ভলিউম ১ – একাম এবাদ্বিতীয়ম ” স্রস্টা একজনই ,তার কোন শরীক নেই।
শ্বেতাস্বতরা উপনিষদ – অধ্যায় ৬ – অনুচ্ছেদ ৯ – ২য় খন্ড – পৃস্ঠা ২৬৩ – না কছ্য কছুজ জানিত না কধিপহ – তার কোন পিতা মাতা নেই,এমনকি প্রভু নেই।
শ্বেতাস্বতরা উপনিষদ – অধ্যায় ৬ – অনুচ্ছেদ ১ ৯ – না তছ্য প্রতিমা অস্তি – স্রস্টার কোন প্রতিমা নেই
যজুর্বেদ – অধ্যায় ৩২ – অনুচ্ছেদ ৩ – ন তস্য প্রতিমা আস্তি -স্রস্টার কোন প্রতিমা নেই
যজুর্বেদ ,দেবী চাদ এম এ পৃস্ঠা ৩৭৭ – যেহেতু তিনি চিরন্জীব,তাই তাকেই উপাসনা করতে হবে
যজুর্বেদ – অধ্যায় ৪০- অনুচ্ছেদ ৯ – অন্ধতম প্রভিশান্তি ইয়ে অশম্ভুতি মুপাস্তে – যারা অশম্ভুতির পুজা করে তারা অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়।তারা অধিকতর অন্ধকারে পতিত হয় শাম মুর্তির পুজা করে ।অশম্ভুতি হল – প্রাকৃতিক বস্তু যেমন-বাতাস,পানি,আগুন ।শাম মুর্তি হল – মানুষের তৈরী বস্তু যেমন -চেয়ার ,টেবিল ,মূর্তি।
ঋগবেদ – বই ১ – অধ্যায় ১৬৪ ভলিউম ৪৬ –ন তস্য প্রতিমা আস্তি – স্রস্টার কোন প্রতিমা নেই
ঋগবেদ – বই ৮ – অধ্যায় ১ ভলিউম ১ – মা চিদান্যদভি শাংসত – ও বন্ধু , স্রস্টার সাথে কাউকে ডাকিওনা।
হিন্দু বেদান্ত’র ব্রক্ষসূএ -ব্রক্ষ সূএ কে হিন্দু ধর্মে বেদান্ত বা মুল বিশ্বাস বলা হয়, ব্রক্ষ সূএ হচ্ছে – একাম ব্রক্ষ , দ্বিতীয় নাস্তি নেহ না নাস্তি কিঙ্কন -সৃস্টিকর্তা মাএ একজনই ,দ্বিতীয় কেউ নেই , নেই , নেই ,কিছুই নেই ।
ভগবত গীতা – অধ্যায় ৭ – স্তব ২০ –যাদের বোধশক্তি পার্থিব আকাঙক্ষার মাধ্যমে বিলুপ্ত হয়ে গেছে,শুধুমাএ তারাই উপদেবতার নিকটে উপাসনা করে।
উত্তরমুছুনভগবত গীতা – অধ্যায় ১০ – স্তব ৩ –তারা হচ্ছে বস্তুবাদি লোক ,তারা উপদেবতার উপাসনা করে ,তাই তারা সত্যিকার স্রস্টার উপসনা করে না।
উপনিষদ – ছান্দোগ্য উপনিষদ – অধ্যায় ৬ – সেকসন ২ – ভলিউম ১ – একাম এবাদ্বিতীয়ম ” স্রস্টা একজনই ,তার কোন শরীক নেই।
শ্বেতাস্বতরা উপনিষদ – অধ্যায় ৬ – অনুচ্ছেদ ৯ – ২য় খন্ড – পৃস্ঠা ২৬৩ – না কছ্য কছুজ জানিত না কধিপহ – তার কোন পিতা মাতা নেই,এমনকি প্রভু নেই।
শ্বেতাস্বতরা উপনিষদ – অধ্যায় ৬ – অনুচ্ছেদ ১ ৯ – না তছ্য প্রতিমা অস্তি – স্রস্টার কোন প্রতিমা নেই
যজুর্বেদ – অধ্যায় ৩২ – অনুচ্ছেদ ৩ – ন তস্য প্রতিমা আস্তি -স্রস্টার কোন প্রতিমা নেই
যজুর্বেদ ,দেবী চাদ এম এ পৃস্ঠা ৩৭৭ – যেহেতু তিনি চিরন্জীব,তাই তাকেই উপাসনা করতে হবে
যজুর্বেদ – অধ্যায় ৪০- অনুচ্ছেদ ৯ – অন্ধতম প্রভিশান্তি ইয়ে অশম্ভুতি মুপাস্তে – যারা অশম্ভুতির পুজা করে তারা অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়।তারা অধিকতর অন্ধকারে পতিত হয় শাম মুর্তির পুজা করে ।অশম্ভুতি হল – প্রাকৃতিক বস্তু যেমন-বাতাস,পানি,আগুন ।শাম মুর্তি হল – মানুষের তৈরী বস্তু যেমন -চেয়ার ,টেবিল ,মূর্তি।
ঋগবেদ – বই ১ – অধ্যায় ১৬৪ ভলিউম ৪৬ –ন তস্য প্রতিমা আস্তি – স্রস্টার কোন প্রতিমা নেই
ঋগবেদ – বই ৮ – অধ্যায় ১ ভলিউম ১ – মা চিদান্যদভি শাংসত – ও বন্ধু , স্রস্টার সাথে কাউকে ডাকিওনা।
হিন্দু বেদান্ত’র ব্রক্ষসূএ -ব্রক্ষ সূএ কে হিন্দু ধর্মে বেদান্ত বা মুল বিশ্বাস বলা হয়, ব্রক্ষ সূএ হচ্ছে – একাম ব্রক্ষ , দ্বিতীয় নাস্তি নেহ না নাস্তি কিঙ্কন -সৃস্টিকর্তা মাএ একজনই ,দ্বিতীয় কেউ নেই , নেই , নেই ,কিছুই নেই ।
apnader reffrence deyar age atleast porte na parun search kre hleo dekha dorkar.muslimra dhormo procar krte giye erkm faizlami kre egula dekhei ekhn christian ra apnader upor hashe...kichu bolar age nijer dormo ar jeta niye ktha bolben setao valo kre pore niben
মুছুনapnar ekta ques er ans dilam baki gulo kmn seta apni nijei buje jaben.apni bolechen
মুছুনভগবত গীতা – অধ্যায় ১০ – স্তব ৩ –তারা হচ্ছে বস্তুবাদি লোক ,তারা উপদেবতার উপাসনা করে ,তাই তারা সত্যিকার স্রস্টার উপসনা করে না। welll.now see
যো মামজমনাদিং চ বেত্তি লোকমহেশ্বরম্ ।
অসংমূঢ়ঃ স মর্ত্যেষু সর্বপাপৈঃ প্রমুচ্যতে ॥৩॥
যঃ, মাম্, অজম্, অনাদিম্, চ, বেত্তি, লোক-মহা-ঈশ্বরম্,
অসংমূঢ়ঃ, সঃ, মর্ত্যেষু, সর্বপাপৈঃ, প্রমুচ্যতে
যিনি আমাকে জন্মরহিত, অনাদি ও সমস্ত গ্রহলোকের মহেশ্বর বলে জানেন, তিনিই কেবল মানুষদের মধ্যে মোহশুন্য হয়ে সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হন।
লাল মিয়া সাব বানানের দিকে নজর দিন একটু।
উত্তরমুছুনঅাপনাদের এই ভাঙ্গা ক্যাসেট এর জবাব এই ব্লগে অলরেডি দেয়া অাছে, তাই ত্যানাবাজি না করে ব্লগ ঘুরে দেখুন।
AMI SHARE KORE DILAM ,APNAR ANUMATI CHHARI KENONA EI JOBAB DEUA JORURI .R 1TA KATHA AMADER HINDU PONDIT RA KI NIJEDER KACHHEI " BED , SHRIMATBHAGBAT, RAMAYANA,MAHABHARATA, PURAN," ARTHAT SANATAN DHORMO GUCHHIYE RAKHBE ? EI SANATAN DHARMO BISWAKE DIYE6E PORIPURNO GYAN .AMAR MONE HOI SEI GYAN DESHE BIDESHE RAJJE RAJJE JELAI JELAI THANAI THANAI PROTYEK MASE 1BAR KORE ANTOTO PROCHAR KARA DARKAR , JA BIPATHGAMI MANUSER MANUSATTO JODI FIRE ASE.ETE MONE HOY BISWA SUSTHO 1TA PARIBESH FIRE PABE.
উত্তরমুছুনধন্যবাদ #Aritra দিদি। শেয়ার করুন সত্য সবাইকে জানান।
উত্তরমুছুনজয় সনাতন।
কি যে উত্তর দিলেন !!! :) :) যাক নিজের কথাটা ই কি অাপনার উপর খাটছে না ..............
উত্তরমুছুনঅবশেষে বলব এখন সময় আছে বিশুদ্ধ মনে স্রষ্টাকে চিনার চেষ্টা করুন
আল্লাহ ছাড়া আর কোন স্রষ্টা নাই ...
আমরা তাকে দেখি না কিন্তু তার খারাপ ভাল সৃষ্টি দেখি , মানুষ দেখি ,সুর্য দেখি , আগুন দেখি ,পৃথিবী দেখি ,বায়ু দেখি
অন্তরীক্ষ দেখিদেখি দ্যৌঃ দেখি
,আদিত্য দেখি
,চন্দ্র দেখি ,নক্ষত্র দেখি
একাদশ দেখি রুদ্র দেখি,প্রাণ দেখি,অপান দেখি ,ব্যান দেখি ,সমান দেখি,উদান দেখি ,নাগ দেখি ,কুর্ম দেখি ,কৃকর দেখি ,দেবদত্ত দেখি,ধনঞ্জয় দেখি,জীবাত্মা দেখি.... এগুলা সবই সৃষ্টি স্রষ্টা নয় আর অনেক কিছু দেখিনা ব্যথা দেখি না , ফেরেস্তা দেখিনা , জান্নাত দেখি না এ অদেখাও আল্লাহর সৃষ্টি এগুলা আছে ............ তাই এক আল্লাহ কে কাছে মাথা নত করি নামাজে ...:) :)
allah chara kono srasta nei,ta vhai allah chara jdi keo nai thake toder islam aste etodin holo kno????allah iejdi baniye thaken thle allah keno islam age anlen na???ar allah jdi duniya banai apnader nunur camra ta bad diye pathate pareni???thle ar natok kre kete musol man hte hoto na.lol
মুছুনapnar jukti gulo ekta class 2 er cheleo bisas krbena.amni hassokor
মুছুনআমাদের ছোট বেলায় একটা কথা প্রচলিত ছিলো "অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী জুতারে কয় আলমারী" এইসব ইসলামী পণ্ডিতদের ব্যাখ্যা পড়ে সেই কথাটাই মনে পড়ে গেলো।
উত্তরমুছুনদাদা কি বলে কার উদাহরন দিলেন ?
উত্তরমুছুনএইসব ভন্ডামি বাদ দিয়ে আসেন সবাই সবার গ্রন্থগুলো ভালোবভাবে বুঝে পেই
ভাই, যজুর্বেদ অধ্যায় 32, মন্ত্র নম্বর ৩। এতে বলা হয়েছে "ঈশ্বরের ফটো,ছবি কিছুই নেই" আপনারা হিন্দুরা না খুবই চিটিং
উত্তরমুছুননাতাস্তি প্রতিমাআসতি যজুর্বেদ অধ্যায় 32, মন্ত্র নম্বর ৩
উত্তরমুছুনএটার বাংলা অর্থটা বললে খুশি হবো।
er uttor uporei deya ache.gadhar moto ques kre nijer jater poricoy diben na
মুছুনভাই এইহিন্দুগুলো আসলে ব্যাক্তিপূজা করে নিজেরা একহরফ ধম সম্পর্কে জানে না বরং লোকের বানানো মনগড়া ব্যাক্ষা চালায়
মুছুনধন্যবাদ দাদা,,এই রকম উত্তরআসা করে ছিলাম
উত্তরমুছুনসত্যি প্রচারের জন্য অনেক অনেক অভিনন্দন
উত্তরমুছুনহিন্দু ধর্মে পূজা নিষিদ্ধ। রেফারেন্স সহ প্রমান দিলামঃ
উত্তরমুছুন==================
১. না তাস্তে প্রাতীমা আস্থি ( রীগ বেদ ৩২ অধ্যায় ৩ নং অনুচ্ছেদ )
অর্থাৎ ঈশ্বরের কোন প্রতি মূর্তি নেই ।
২. যারা নিজের বিবেক বুদ্ধি হারিয়েছে তাঁরাই মূর্তি পূজা করে ( ভগবৎ গীতা অধ্যায় ৭, অনুচ্ছেদ ২০ নম্বর ) ।
রেফারেন্স সহ দিলাম ।
৩. হিন্দুরা অনেক দেব দেবির পুজা করলেও হিন্দু ধর্ম গ্রন্থ গুলোতে হিন্দুদের কেবল মাত্র এক জন ইশ্বরের উপাসনা করতে বলা হয়েছে॥
বেদের ‘ব্রহ্ম সুত্র’ তে আছে “একম ব্রহ্মা দ্বৈত্য নাস্তি নহিনা নাস্তি কিঞ্চন” অর্থাৎ ইশ্বর এক তার মত কেউ নেই কেউ নেই সামান্যও নেই । আরও আছে “সে একজন তারই উপাসনা কর” (ঋকবেদ ২;৪৫;১৬)।
“একম এবম অদ্বৈত্তম” অর্থাৎ সে একজন তাঁর মত আর দ্বিতীয় কেউ নেই (ঋকবেদ ১;২;৩) ।
“এক জনেই বিশ্বের প্রভু” (ঋকবেদ ১০;১২১;৩) ।
৪. হিন্দু ধর্মে মুর্তি পুজা করতে নিষেধ করা হয়েছে॥
ভগবত গীতা – অধ্যায় ৭ – স্তব ২০ - [ যাদের বোধশক্তি পার্থিব আকাঙক্ষার মাধ্যমে বিলুপ্ত হয়ে গেছে শুধু তারাই উপদেবতার নিকটে উপাসনা করে। ]
৫. ভগবত গীতা – অধ্যায় ১০ – স্তব ৩ -
[ তারা হচ্ছে বস্তুবাদি লোক ,তারা উপদেবতার উপাসনা করে ,তাই তারা সত্যিকার স্রস্টার উপাসনা করে না।]
৬. যজুর্বেদ – অধ্যায় ৪০- অনুচ্ছেদ ৯ –
[ অন্ধতম প্রভিশান্তি ইয়ে অশম্ভুতি মুপাস্তে – যারা অশম্ভুতির পুজা করে তারা অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। তারা অধিকতর অন্ধকারে পতিত হয় শাম মুর্তির পুজা করে । অশম্ভুতি হল – প্রাকৃতিক বস্তু যেমন- বাতাস,পানি,আগুন । শাম মুর্তি হল – মানুষের তৈরী বস্তু যেমন - চেয়ার ,টেবিল ,মূর্তি ইত্যাদি।]
সুতরাং আমরা জানতে পারলাম হিন্দুধর্মে মূর্তিপূজা কঠিনভাবে নিষেধ ৷ কিন্তু পন্ডিতরা সাধারণ হিন্দুদের ধোকা দেয় নিজেদের পেট পালার জন্য ৷ তাই সাবধান হোন কারণ আপনার ধর্মেই মূর্তি পূজা নিষিদ্ধ
১. না তাস্তে প্রতিমা অস্তি
মুছুনএখানে প্রতিমা অর্থ হলো তুলনা, মানে ঈশ্বরের তুলনা নেই। যেমন আমরা বলি মাতৃপ্রতিম, মানে মাতৃতুল্য। সংস্কৃত প্রতিমা আর বাংলা প্রতিমা এক নয়। তেমনি একটি ভুল ধারণা হলো হিন্দু ধর্মে তেত্রিশ কোটি দেবদেবী। সংস্কৃত কোটি আর বাংলা কোটি এক নয়। সংস্কৃত কোটি মানে প্রকার, অর্থাৎ সনাতন ধর্মে ৩৩ প্রকার দেবদেবী।
২. যজুর্বেদ অধ্যায় ৪০ মন্ত্র ৯ এর কথা বলে। কিন্তু নিজেদের মিথ্যাচার ধরা পড়ে যাবার ভয়ে তারা ১০ ও ১১ নং মন্ত্র এরিয়ে যায়। আসলে সেখানে সম্ভূতি ও অসম্ভূতি নামে দুটো শব্দ আছে। জাকির নায়েকের অনুসারীরা সম্ভুতি এর অর্থ করে মূর্তি বা জড় জিনিসের পূজা আর অসম্ভূতি অর্থ করে প্রকৃতিপূজা। কিন্তু এটা তাদের ধারাবাহিক মিথ্যাচারেরই একটা অংশ। আসলে সম্ভূতি অর্থ সৃষ্টি এবং অসম্ভূতি অর্থ বিনাশ। যেমন আমরা বলি সজ্ঞানসম্ভূত মানে সজ্ঞানে সৃষ্ট। ৯ নং মন্ত্রে বলা হয়েছে, যারা কেবলমাত্র সম্ভূতি বা অসম্ভূতির উপাসনা করে, তারা অন্ধকারে লিপ্ত। ১০ নং মন্ত্রে বলা হয়েছে, এর কারণ এই দুইরকম উপাসনার ফল দুরকম। ১১ নং মন্ত্রে বলা হয়েছে, সম্ভূতি ও বিনাশ (অসম্ভূতি) কে যারা সমন্বয় করতে পারে, তারাই বিনাশ (অসম্ভূতি) দ্বারা মৃত্যুকে তরণ করে সম্ভূতির দ্বারা অমৃতকে লাভ করে। এবার যদি আমরা তাদের দেওয়া অনুবাদ অর্থাৎ সম্ভূতি মানে মূর্তিপুজাও ধরি, তবুও ১১ নং মন্ত্রে সম্ভূতি বা মূর্তিপুজা করতেই বলা হয়েছে।
৩. গীতা অধ্যায় ৭ অনুচ্ছেদ ২০
মূল মন্ত্রটি হলো জড় কামনা-বাসনার দ্বারা যাদের জ্ঞান অপহৃত হয়েছে, তারা অন্য দেব-দেবীর শরণাগত হয় এবং তাদের স্বীয় স্বভাব অনুসারে বিশেষ নিয়ম পালন করে দেবতাদের উপাসনা করে। লক্ষ্য করি, এখানে মূর্তিপুজার কোনো কথাই নেই, আছে দেবোপসনার কথা যেটাকে জাকির নায়েকের অনুসারীরা মূর্তিপুজা বানিয়ে ফেলেছে। আমরা জানি, গীতা হলো শ্রীকৃষ্ণের বাণী। আর একমাত্র শ্রীকৃষ্ণই ঈশ্বরের পূর্ণ অবতার, অন্যান্য দেবদেবী হলেন আংশিক অবতার। তাই শ্রীকৃষ্ণ মানুষকে অন্য দেবদেবীর উপাসনা না করে তারই উপাসনা করতে বলেছেন। তাই হিন্দুদের মধ্যে ইস্কন সম্প্রদায়কে দেখা যায়, যারা শুধুমাত্র শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা করে। আর যারা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা করেন, তারাও কিন্তু মূর্তিপুজাই করেন। কিন্তু এই দেবোপসনা যে বৃথা নয়, তা ২১ ও ২২ নং মন্ত্রেই আছে। জাকির নায়েকের অনুসারীরা ইচ্ছা করেই পরের মন্ত্রগুলো বাদ দেয় যেন তাদের মিথ্যাচার ধরা না পড়ে।
৪. আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মিথ্যাচার হলো ভগবত গীতা – অধ্যায় ১০ – স্তব ৩ -
[ তারা হচ্ছে বস্তুবাদি লোক ,তারা উপদেবতার উপাসনাকরে ,তাই তারা সত্যিকার স্রস্টার উপাসনা করে না।]
আমরা দেখবো আসলে গীতা অধ্যায় ১০ স্তব ৩ এ কি বলা হয়েছে
যো মামজমনাদিং চ বেত্তি লোকমহেশ্বরম্।
অসংমূঢ়ঃ স মর্ত্যেষু সর্বপাপৈঃ প্রমুচ্যতে।।৩।।
অনুবাদঃ যিনি আমাকে জন্মরহিত, অনাদি ও সমস্ত গ্রহলোকের মহেশ্বর বলে জানেন, তিনিই কেবল মানুষদের মধ্যে মোহশূন্য হয়ে সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হন।
ভূয়া, বানোয়াট তথ্যঃ
মুছুনবেদের ‘ব্রহ্ম সুত্র’ তে আছে “একম ব্রহ্মা দ্বৈত্য নাস্তি নহিনা নাস্তি কিঞ্চন” অর্থাৎ ইশ্বর এক তার মত কেউ নেই কেউ নেই সামান্যও নেই ।
♥জবাবঃ
ব্রহ্ম সুত্র বেদের নয়।ব্রহ্ম সুত্র উপনিষদ দর্শনের ব্যাখ্যা।
♦ভূয়া,মিথ্যা তথ্যঃ
“সে একজন তারই উপাসনা কর” (ঋকবেদ ২;৪৫;১৬)।
♥জবাবঃ
ঋগ্বেদের ২য় মন্ডলে আছেই ৪৩টা সূক্ত।সেখানে ৪৫সূক্তেরসূক্তের ১৬নং ঋক কোথা থেকে আসলো??
♦ভূয়া ব্যাখ্যাঃ
“একম এবম অদ্বৈত্তম” অর্থাৎ সে একজন তাঁর মত আর দ্বিতীয় কেউ নেই (ঋকবেদ ১;২;৩) ।
♥জবাবঃ
ঋগ্বেদের ১ম মন্ডলের ২য় সূক্তের ৩য় ঋকে গিয়ে পাওয়া গেলো এই মন্ত্রটি,
ঋষি,মধুচ্ছন্দা।ছন্দ,গায়েত্রী।
বয়ো তব প্রপৃঞ্চতী ধেনা জিগাতী দাশুষে।উরুচী সোমপীতয়ে।।(ঋগ্বেদ ১/২/৩)📖
অর্থঃ
হে বায়ু, তোমার সোমগুণ প্রকাশক বাক্য সোম পানর্থে হব্যদাতা যজমানের নিকট আসছে,অনেকের নিকট আসছে।
*সোমরস-এক ধরণের লতার রস,যা ঘৃতের মত দেবতাদের নিকট প্রিয় পানীয়।
♦মিথ্যা তথ্যঃ
“এক জনেই বিশ্বের প্রভু” (ঋকবেদ ১০;১২১;৩) ।
♥জবাবঃ
ঋগ্বেদের ১০ম মন্ডলের ১২১সূক্তের ৩য় ঋকে গিয়ে পাওয়া যায় এই মন্ত্রটি,
ঋষি-হিরণ্যগর্ভ। ছন্দ-ত্রিষ্টুপ্।
যঃ প্রাণতো নিমিষতো মহিত্বৈক ইদ্রজা জগতো বভূব।
য ঈশে অস্য দ্বিপদশ্চতুষ্পদঃ কস্মৈ দেবায় হবিষা বিধেম।।(ঋগ্বেদ,১০/১২১/৩)📖
অর্থঃ
যিনি নিজ মহিমা দ্বারা যাবতীয় দর্শননেন্দ্রিয়সম্পন্ন গতিশক্তিযুক্ত জীবদের অদ্বিতীয় রাজা হয়েছেন,যিনি এ সকল দ্বিপদ চতুষ্পদের প্রভু।আমরা উপসনায় কি নৈবেদ্য দেবো?
আল্লাহ বলেছে " তাদের দেবতাদের গালি দিওনা কারন অজ্ঞতা বসত আমাকে গালি দেয়"
উত্তরমুছুনহযরত আদম (আঃ) এর মাধ্যমে পৃথিবীতে মানুষের আবাস শুরু হয়।
আদম আঃ থেকে শুরু করে সকল নবী রাসুল গন ইসলামের প্রচার ই করে আসেন।
অবাস্তব 😂😂😂
উত্তরমুছুনএইগুলা কোনো সভ্য জাতির ধর্ম হতে পারে না।
ভালের যুক্তি লইয়া আইসে 😂😂
তো যা না, জাকির নায়েক কে গিয়ে প্রশ্ন কর,
আপনাদের কি অন্যধর্ম কে বিকৃত করা ছাড়া আর কোন কাজ নাই?এখানে আপনি প্রায় সবগুলো মন্ত্রই বিকৃত করেছেন। আসলটা দিলে ভালো হত
উত্তরমুছুনযারা চোখে দেখে না তাদের কাছে সুন্দর ভাবে দেখালেও দেখবে না
উত্তরমুছুন১. না তাস্তে প্রতিমা অস্তি
উত্তরমুছুনএখানে প্রতিমা অর্থ হলো তুলনা, মানে ঈশ্বরের তুলনা নেই। যেমন আমরা বলি মাতৃপ্রতিম, মানে মাতৃতুল্য। সংস্কৃত প্রতিমা আর বাংলা প্রতিমা এক নয়। তেমনি একটি ভুল ধারণা হলো হিন্দু ধর্মে তেত্রিশ কোটি দেবদেবী। সংস্কৃত কোটি আর বাংলা কোটি এক নয়। সংস্কৃত কোটি মানে প্রকার, অর্থাৎ সনাতন ধর্মে ৩৩ প্রকার দেবদেবী।
২. যজুর্বেদ অধ্যায় ৪০ মন্ত্র ৯ এর কথা বলে। কিন্তু নিজেদের মিথ্যাচার ধরা পড়ে যাবার ভয়ে তারা ১০ ও ১১ নং মন্ত্র এরিয়ে যায়। আসলে সেখানে সম্ভূতি ও অসম্ভূতি নামে দুটো শব্দ আছে। জাকির নায়েকের অনুসারীরা সম্ভুতি এর অর্থ করে মূর্তি বা জড় জিনিসের পূজা আর অসম্ভূতি অর্থ করে প্রকৃতিপূজা। কিন্তু এটা তাদের ধারাবাহিক মিথ্যাচারেরই একটা অংশ। আসলে সম্ভূতি অর্থ সৃষ্টি এবং অসম্ভূতি অর্থ বিনাশ। যেমন আমরা বলি সজ্ঞানসম্ভূত মানে সজ্ঞানে সৃষ্ট। ৯ নং মন্ত্রে বলা হয়েছে, যারা কেবলমাত্র সম্ভূতি বা অসম্ভূতির উপাসনা করে, তারা অন্ধকারে লিপ্ত। ১০ নং মন্ত্রে বলা হয়েছে, এর কারণ এই দুইরকম উপাসনার ফল দুরকম। ১১ নং মন্ত্রে বলা হয়েছে, সম্ভূতি ও বিনাশ (অসম্ভূতি) কে যারা সমন্বয় করতে পারে, তারাই বিনাশ (অসম্ভূতি) দ্বারা মৃত্যুকে তরণ করে সম্ভূতির দ্বারা অমৃতকে লাভ করে। এবার যদি আমরা তাদের দেওয়া অনুবাদ অর্থাৎ সম্ভূতি মানে মূর্তিপুজাও ধরি, তবুও ১১ নং মন্ত্রে সম্ভূতি বা মূর্তিপুজা করতেই বলা হয়েছে।
৩. গীতা অধ্যায় ৭ অনুচ্ছেদ ২০
মূল মন্ত্রটি হলো জড় কামনা-বাসনার দ্বারা যাদের জ্ঞান অপহৃত হয়েছে, তারা অন্য দেব-দেবীর শরণাগত হয় এবং তাদের স্বীয় স্বভাব অনুসারে বিশেষ নিয়ম পালন করে দেবতাদের উপাসনা করে। লক্ষ্য করি, এখানে মূর্তিপুজার কোনো কথাই নেই, আছে দেবোপসনার কথা যেটাকে জাকির নায়েকের অনুসারীরা মূর্তিপুজা বানিয়ে ফেলেছে। আমরা জানি, গীতা হলো শ্রীকৃষ্ণের বাণী। আর একমাত্র শ্রীকৃষ্ণই ঈশ্বরের পূর্ণ অবতার, অন্যান্য দেবদেবী হলেন আংশিক অবতার। তাই শ্রীকৃষ্ণ মানুষকে অন্য দেবদেবীর উপাসনা না করে তারই উপাসনা করতে বলেছেন। তাই হিন্দুদের মধ্যে ইস্কন সম্প্রদায়কে দেখা যায়, যারা শুধুমাত্র শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা করে। আর যারা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা করেন, তারাও কিন্তু মূর্তিপুজাই করেন। কিন্তু এই দেবোপসনা যে বৃথা নয়, তা ২১ ও ২২ নং মন্ত্রেই আছে। জাকির নায়েকের অনুসারীরা ইচ্ছা করেই পরের মন্ত্রগুলো বাদ দেয় যেন তাদের মিথ্যাচার ধরা না পড়ে।
৪. আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মিথ্যাচার হলো ভগবত গীতা – অধ্যায় ১০ – স্তব ৩ -
[ তারা হচ্ছে বস্তুবাদি লোক ,তারা উপদেবতার উপাসনাকরে ,তাই তারা সত্যিকার স্রস্টার উপাসনা করে না।]
আমরা দেখবো আসলে গীতা অধ্যায় ১০ স্তব ৩ এ কি বলা হয়েছে
যো মামজমনাদিং চ বেত্তি লোকমহেশ্বরম্।
অসংমূঢ়ঃ স মর্ত্যেষু সর্বপাপৈঃ প্রমুচ্যতে।।৩।।
অনুবাদঃ যিনি আমাকে জন্মরহিত, অনাদি ও সমস্ত গ্রহলোকের মহেশ্বর বলে জানেন, তিনিই কেবল মানুষদের মধ্যে মোহশূন্য হয়ে সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হন।
ভূয়া, বানোয়াট তথ্যঃ
উত্তরমুছুনবেদের ‘ব্রহ্ম সুত্র’ তে আছে “একম ব্রহ্মা দ্বৈত্য নাস্তি নহিনা নাস্তি কিঞ্চন” অর্থাৎ ইশ্বর এক তার মত কেউ নেই কেউ নেই সামান্যও নেই ।
♥জবাবঃ
ব্রহ্ম সুত্র বেদের নয়।ব্রহ্ম সুত্র উপনিষদ দর্শনের ব্যাখ্যা।
♦ভূয়া,মিথ্যা তথ্যঃ
“সে একজন তারই উপাসনা কর” (ঋকবেদ ২;৪৫;১৬)।
♥জবাবঃ
ঋগ্বেদের ২য় মন্ডলে আছেই ৪৩টা সূক্ত।সেখানে ৪৫সূক্তেরসূক্তের ১৬নং ঋক কোথা থেকে আসলো??
♦ভূয়া ব্যাখ্যাঃ
“একম এবম অদ্বৈত্তম” অর্থাৎ সে একজন তাঁর মত আর দ্বিতীয় কেউ নেই (ঋকবেদ ১;২;৩) ।
♥জবাবঃ
ঋগ্বেদের ১ম মন্ডলের ২য় সূক্তের ৩য় ঋকে গিয়ে পাওয়া গেলো এই মন্ত্রটি,
ঋষি,মধুচ্ছন্দা।ছন্দ,গায়েত্রী।
বয়ো তব প্রপৃঞ্চতী ধেনা জিগাতী দাশুষে।উরুচী সোমপীতয়ে।।(ঋগ্বেদ ১/২/৩)📖
অর্থঃ
হে বায়ু, তোমার সোমগুণ প্রকাশক বাক্য সোম পানর্থে হব্যদাতা যজমানের নিকট আসছে,অনেকের নিকট আসছে।
*সোমরস-এক ধরণের লতার রস,যা ঘৃতের মত দেবতাদের নিকট প্রিয় পানীয়।
♦মিথ্যা তথ্যঃ
“এক জনেই বিশ্বের প্রভু” (ঋকবেদ ১০;১২১;৩) ।
♥জবাবঃ
ঋগ্বেদের ১০ম মন্ডলের ১২১সূক্তের ৩য় ঋকে গিয়ে পাওয়া যায় এই মন্ত্রটি,
ঋষি-হিরণ্যগর্ভ। ছন্দ-ত্রিষ্টুপ্।
যঃ প্রাণতো নিমিষতো মহিত্বৈক ইদ্রজা জগতো বভূব।
য ঈশে অস্য দ্বিপদশ্চতুষ্পদঃ কস্মৈ দেবায় হবিষা বিধেম।।(ঋগ্বেদ,১০/১২১/৩)📖
অর্থঃ
যিনি নিজ মহিমা দ্বারা যাবতীয় দর্শননেন্দ্রিয়সম্পন্ন গতিশক্তিযুক্ত জীবদের অদ্বিতীয় রাজা হয়েছেন,যিনি এ সকল দ্বিপদ চতুষ্পদের প্রভু।আমরা উপসনায় কি নৈবেদ্য দেবো?
এই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।
উত্তরমুছুন
উত্তরমুছুনবেদ থেকে ঈশ্বরের পরিচয় দেন দেখি ?
পুরনো গ্রন্থ গুলো ওরা পড়ে না। জাকির নায়েক তো হিন্দু গুরু দের সাথে নিয়েই আলোচনা করে। তারা ভুল প্রমাণিত করতে পারে না কেনো?? আমার হিন্দু ফ্রেন্ড কিছু দিন আগে জানতে পারছে ঈশ্বর একজন। তাদের বোকামি দেখলে হাসি পায়
মুছুনএকটা জবাবও দাঁতভাঙ্গা হয়নি হয়েছে গোঁজামিল দেওয়া!
উত্তরমুছুনঅর্থাৎ উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে...