আমার কিছু কথা

মানুষ সৃষ্টির অন্যতম শ্রেষ্ঠ
সৃষ্টি । মানুষকে সৃষ্টি করে
ঈশ্বর তাদের ভক্তি
পরীক্ষা করতে বিভিন্ন
পরীক্ষা অবলম্বন করেন ।
মানুষের জীবন ধারন
ভিত্তিক পরীক্ষাটি
অনেক গুরুত্বপূর্ন । প্রধান
দুটি বিষয় দেহ ও আত্মা
নিয়ে গঠিত । এই দুয়ের
মধ্যে যারা দেহ নিয়ে
পরে থাকে তারা খুব কমই
উত্তীর্ন হয় , কিন্তু যারা
আত্মা অর্থাত মনের সাথে
র্কায করেন তারাই অধিক
নাম্বারে উত্তীর্ন হয় ।
অর্থাত বিষয়টা হচ্ছে
এরকম যে , যাদের চিন্তা
কেবল দৈহিক সুখ ভোগ
নিয়ে তারা কখনো প্রকৃত
সত্যের খোজ পায়না ………
তারাই প্রকৃত সুখের সন্ধান
পায় যারা আত্মার উপাসক
হয় । তারা জীবের আত্মার
প্রেমিক হয় । ‍ুআত্মায় কোন
ভেজাল নেই , দেহ যেমন
অবস্থাভেদে পরিবর্তন হয়
আত্মায় তেমন কোন রুপভেদ
হয় না । আত্মা সব সময়
র্নিমল পবিত্র । তাই
আমাদের আত্মা উপাসক
হতে হবে । তাহলেই আমরা
সহজেই ঈশ্বরের নিকট
পৌছতে পারব । কিন্তু
যারা দেহকেই ভালবাসে
তারা দেহের সুখের
নিমিত্তে যে কোন কাজ
করতে দ্বিধা বোধ করে
না । বর্তমানে খুন , ধর্ষন ,
চুরি , ডাকাতি ইত্যাদি
অপরাধের অনেক নজির
হারহামেশাই পাওযা যায় ।
কিন্তু অপরাধী এগুলো
কেন করছে???
হয়ত অর্থের লোভে, হয়ত
কোন নারীকে পাওয়ার
লোভে ,হয়ত কোন জমি
দখল করতে ইত্যাদি
ইত্যাদি ………
কিন্তু এগুলো তো সব দেহ
সুখের আয়োজন , এইসব
কার্য করে কেবল দৈহিক
সুখ লাভ করা যায় । তাহলে
বিষয়টা কি দারালো ???
যারা দেহ নিয়ে কার্য
করে অর্থাত দেহ সুখকেই
প্রকৃত সুখ মনে করে তারাই
এ ধরনের অপরাধে
প্ররোচিত হয় । তারা সুখ
ভোগে এতোটাই বিভোর
থাকে যে সব ধরনের
অপরাধ করতে পারে সেই
সুখের জন্য । কিন্তুর
আত্মার উপাসক রা কি
করে ??? হ্যা !!! তারা মগ্ন
থাকে সেই শাশ্বত
আত্মাকে উদঘাটন করতে ,
আত্মকে জানতে, । এতেই
সে পরম আনন্দ লাভ করে ।
আত্মাকে জানতে গিয়েই
সে ঈশ্বর কে জানতে
পারে । আত্মার সাথে যে
নিত্য প্রেম করে সে
জগতের সব চেয়ে বড় সুখী ।
তার কোন কিছুর অভাব হয়
না তাই সে কোন জাগতিক
বিষয়ে লোভ করেন না ।
সে সর্বানন্দময় হয় । সে
জীবের সম্পদ আত্মসাত
করতে নয় , রক্ষা করতে –
ভালবাসতে এগিয়ে আসে ।
তাই বলি সেই উত্কৃষ্ট।
শ্রীভগবানের প্রীতি
সাধনে তার নিকটে যেতে
আজই দেহের মায়া ত্যাগ
করে দাও । আত্মাকে
জানার চেষ্টা করো ।
এতেই পরম সিদ্ধি আসবে।
জয় শ্রীকৃষ্ণ
[অধমের ভুল ত্রুটি ক্ষমা
করিবেন]
রচনায় :- কাঞ্চন দাশ।
তারিখ :- ১৫/০১/২০১৭
রোজ :- শনিবার।