সোমবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৭

মনুসংহিতায় যু্দ্ধে জয়ের পর লুটপাট করা নিয়ে দাবির খন্ডন

বেদের নিয়মের কারনে মনুসংহিতাতেও সব কিছু দখল
করতে বলা হয়েছে -
“গাড়ি, ঘোড়া, হাতি, অর্থ, শস্য , গবাদিপশু ও
নারী তার দখলে যে যুদ্ধের মাধ্যমে তা জয় করে।”(মনু
৭।৯৬)
অর্থাৎ শত্রু পরিবারের নারীরাও যাবে দখলকারীর
ভোগের জন্য।
.
যৌক্তিকতা বিচারঃ
মনুসংহিতার ৭ম অধ্যায়টি হলো রাজধর্ম বিষয়ক, রাজার আচরন ও
বৈশিষ্ট্য কেমন হওয়া উচিত এখানে তা ব্যাখ্যা করা হয়েছে ৷
অনেকগুলো বৈশিষ্ট্যের মধ্যে কতকগুলো হলো
মদ্যপান, পাশাখেলা বা জুয়াখেলা, স্ত্রীসম্ভোগ, মৃগয়া বা
অকারন পশুহত্যা, পরধনঅপহরন, অকারনে দন্ডদান ও কঠোর
বাক্য প্রয়োগ এইগুলির থেকে দূরে থাকতে রাজাকে
উপদেশ করা হয়েছে (মনু ৭/৫২) ৷
এবং মনু ৭।৫০ এ স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে মদ্যপান,
পাশক্রীড়া, স্ত্রীসম্ভোগ, পশুমারন এ চারটি অতিশয়
দুঃখহেতু। অর্থাৎ মনু মহারাজ কোন পরস্ত্রীকে ভোগ
অথবা পরের সম্পদকে দখল করাকে সমর্থন করে নি বরং
দুঃখদায়ক বলেছেন। একজন ক্ষত্রিয় রাজা হিসেবে বিভিন্ন
সময় যুদ্ধে অবতীর্ণ হতেই হয় সেই যুদ্ধে
অনেকসময় ধনাদি লাভ হয়, শত্রুপক্ষের নিরীহ স্ত্রীও
হস্তগত হয় ৷ এখানে সেটাই বলা হয়েছে ৷ সেই অসহায়
স্ত্রীর রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্বও তাকেই নিতে হবে ৷
ধনসম্পদ রাজাকে হস্তান্তরিত করতে হবে যাতে সেগুলো
রাজকার্যে ব্যায়িত হতে পারে (মনু ৭/৯৭) ৷ এবং রাজা নিরীহ
নরনারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন ৷ কারন
যুদ্ধসজ্জাবিহীন বা অস্ত্রধারী লোকেদের হত্যা করা
যাবে না (মনু ৭/৯২)। অর্থাৎ পরাজীতনারী ও পুরুষের
নিরাপত্তা ও তাদের স্বাভাবিক জীবনের দায়িত্ব রাজাকেই
নিতে হবে ৷ যেমনটা রামচন্দ্র লঙ্কা বিজয়ের পর পরাজিত
লঙ্কা রাজ্যের সকল নরনারীদের নিরাপত্তা প্রদান
করেছিলেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

শৌচকার্য করার পর কি করা উচিত??

✅প্রশ্ন---- হিন্দু ধর্মে শৌচকার্য করার অাগে ও পরে কি কি করতে হবে এই ব্যপারে কোন গাইড লাইন অাছে কি না? _____________________________________...